Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোম্পানীগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলার আসামি চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে ঢাকায় আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে তাকে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৭ আগস্ট বিএনপি নেতা তোতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করার পর রাজ্জাক চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেন। এরপর সে গোপনে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকত। রোববার বিকালে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার এক বাসিন্দা রাজ্জাকের অবস্থানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাৎক্ষণিক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে খবরটি ছড়িয়ে দেয়। পরে তারা তাকে ভাটারা থানা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টের কক্ষ থেকে আটক করে মারধর করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, বিএনপি নেতা তোতা হত্যা মামলার আসামি রাজ্জাককে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে ভাটারা থানার পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশকে ভাটারা থানায় পাঠানো হয়েছে। আটক রাজ্জাককে তোতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হবে। এরপর আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাতে চরএলাহী বাজারে বিএনপির আত্মকোন্দলের জেরে প্রতিপক্ষ আবদুল মতিন তোতা চেয়ারম্যানকে বাজারে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনার চারদিন পর গত ৩০ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ও নিদের্শদাতা ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যানের কথোপকথনের এমন একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।

নিহত বিএনপি নেতার স্বজন ও এলাকাবাসী রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ফাঁসির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

আবহাওয়া

নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড আছে বলেই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে : ইসি সচিব

কোম্পানীগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশের সময় : ০২:১৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলার আসামি চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে ঢাকায় আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে তাকে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৭ আগস্ট বিএনপি নেতা তোতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করার পর রাজ্জাক চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেন। এরপর সে গোপনে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকত। রোববার বিকালে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার এক বাসিন্দা রাজ্জাকের অবস্থানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাৎক্ষণিক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে খবরটি ছড়িয়ে দেয়। পরে তারা তাকে ভাটারা থানা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টের কক্ষ থেকে আটক করে মারধর করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, বিএনপি নেতা তোতা হত্যা মামলার আসামি রাজ্জাককে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে ভাটারা থানার পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশকে ভাটারা থানায় পাঠানো হয়েছে। আটক রাজ্জাককে তোতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হবে। এরপর আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাতে চরএলাহী বাজারে বিএনপির আত্মকোন্দলের জেরে প্রতিপক্ষ আবদুল মতিন তোতা চেয়ারম্যানকে বাজারে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনার চারদিন পর গত ৩০ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ও নিদের্শদাতা ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যানের কথোপকথনের এমন একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।

নিহত বিএনপি নেতার স্বজন ও এলাকাবাসী রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ফাঁসির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।