Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলনকারীরা মনে হয় লিমিট ক্রস করে যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শিক্ষার্থীরা তাদের সীমা লঙ্ঘন (লিমিট ক্রস) করছে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, তারা যেন (কোটা আন্দোলনকারীরা) অযথা সড়কে ভীর করে লেখাপড়া নষ্ট না করেন। তাদের প্রতি অনুরোধ তারা যেন নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালত শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে চাচ্ছেন। রাস্তায় তাদের কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের দাবি আমারা খেয়াল করছি। অনেকেই তাদেরকে ব্যবহার করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করা উচিত শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলন চলতে থাকলে পুলিশ অ্যাকশনে যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ কখন অ্যাকশনে যায়? জানমালের ক্ষতি করলে, অগ্নিসংযোগ ও জনদুর্ভোগ করলে তো পুলিশ বসে থাকবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালতের যে নির্দেশনাটা এসেছিল, শিক্ষার্থীরা মনে করেছেন তাদের যে চিন্তা-ভাবনা, সেটা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সে জন্য তারা রাস্তায় চলে এসেছিলেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশকে আমরা বলেছি, এদের ডিমান্ড যেটা আছে, সেটা আমরা শুনব। কিন্তু শোনারও একটা লিমিট বোধ হয় থাকে। তারা বোধ হয় এগুলো ক্রস করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, তারা যেটা চেয়েছিলেন সেই দিকেই যখন যাচ্ছে, তখন রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার দরকার নেই। আর আদালত সব ধরনের সুযোগ তাদের জন্য রেখেছেন। তাদের কথা শুনতে চাচ্ছেন আদালত। এখন আমার মনে হয়, রাস্তায় অবস্থান করার কোনো প্রয়োজন নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা আদালতে গিয়ে তাদের যা বলার তা যাতে বলে। এটা স্পষ্ট সুন্দরভাবে বলে দিয়েছেন। কাজেই এরপর রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার কোনও প্রয়োজন আমার মনে হয় নেই। তারা যেটা চেয়েছিলেন, সেদিকেই তো যাচ্ছে। আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো, অযথা যাতে ভিড় না করেন। তারা তাদের লেখাপড়া ছেড়ে বসে থাকবেন, জনগণের দুর্ভোগ হবে। এটাও যাতে তাদের মাথায় থাকে।

আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, তাদের দাবির প্রতি সরকার সব সময় খেয়াল রাখছে। যেহেতু বিষয়টি কোর্টে আছে, এজন্য কোর্টের মাধ্যমে এটি নিষ্পত্তি হবে।

তিনি বলেন, আদালতের যে নির্দেশনাটা এসেছিল, শিক্ষার্থীরা মনে করেছেন তাদের যে চিন্তাভাবনা, সেটা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেজন্য তারা রাস্তায় চলে এসেছিলেন। আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী, বিশেষ করে পুলিশকে আমরা বলেছি, এদের ডিমান্ড যেটা আছে, সেটা আমরা শুনবো। কিন্তু শোনারও একটা লিমিট বোধহয় থাকে। তারা বোধহয় এগুলো ক্রস করে যাচ্ছে।

বেশ কয়েকদিন হলো তারা (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) কিন্তু একই কাজ করছেন। এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, যে নির্দেশনা হাইকোর্ট দিয়েছেন সেটি স্থগিত। যে মামলাটি চলছে সেটির রায় না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তাই হাইকোর্ট যে নির্দেশনা (কোটা বহাল করে) দিয়েছিলেন সেটি অচল, সেটি এখন নেই বলেও জানান মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হলো, তারা শিক্ষিত ছেলে, তারা মেধাবী, তারা কেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাবে? নিশ্চয়ই সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে তারা ফিরে যাবেন। পুলিশের পদক্ষেপ কখন আসে, যখন অপারগ হয়ে যায়, অগ্নিসংযোগ করতে যায়, যখন ধ্বংস করতে যায়, যখন জানমালের নিশ্চয়তার অভাব হয়ে যায়, যখন অনৈতিকভাবে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়, তেমন কিছু হলে পুলিশ বসে থাকবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন। দেশের বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আদালত থেকে যে নির্দেশনা এসেছিল—ছাত্ররা মনে করেছেন তাদের যে চিন্তাভাবনা, সেটা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সে কারণে তারা রাস্তায় চলে এসেছেন। আমরা বলেছি, এরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তারা খুবই মেধাবী, এদের চাহিদা আমরা শুনবো। কিন্তু শোনারও একটা সীমা বোধহয় থাকে, তারা বোধহয় সেটা অতিক্রম করে যাচ্ছেন। আজ বেশ কয়েকদিন হলো, তারা একই কাজ করছেন। এরইমধ্যে দেখেছেন, প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছেন, সেটা স্থগিত। পরবর্তীতে যে মামলা চলছে, সেই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত এটা স্থগিত থাকবে। কাজেই হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছিল, সেটা অচল, সেটা এখন নেই।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, ছাত্রদের এগুলো বোঝা উচিত যে রায় যখন নেই, তখন আন্দোলন করছেন কেন? আমার মনে হয়, আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটা খুবই পরিষ্কার। ছাত্রদেরও অনুরোধ করা হয়েছে, তাদের যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে আদালত তাদের কথা শুনবেন। তারা যেন আদালতে আসেন।

রাস্তায় থেকে ছাত্রদের কোনো কষ্ট করার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, তারা যেটা চেয়েছিলেন, সেই দিকেই যখন যাচ্ছে, তখন রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার দরকার নেই। আর আদালত সব ধরনের সুযোগ তাদের জন্য রেখেছেন। তাদের কথা শুনতে চাচ্ছে আদালত। রাস্তায় অবস্থান করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) হার্ডলাইনে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গতকাল আপনারা যারা যাতায়াত করেছেন, তাদের কী রকম কষ্ট পেতে হয়েছে। আমি অনুরোধ করছি, কোমলমতি ছাত্ররা, যাদের নিয়ে আমরা গর্ব করি, তারা যেন এখানে কষ্ট না করে আদালতে গিয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

কোটা আন্দোলনকারীরা মনে হয় লিমিট ক্রস করে যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শিক্ষার্থীরা তাদের সীমা লঙ্ঘন (লিমিট ক্রস) করছে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, তারা যেন (কোটা আন্দোলনকারীরা) অযথা সড়কে ভীর করে লেখাপড়া নষ্ট না করেন। তাদের প্রতি অনুরোধ তারা যেন নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালত শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে চাচ্ছেন। রাস্তায় তাদের কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের দাবি আমারা খেয়াল করছি। অনেকেই তাদেরকে ব্যবহার করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করা উচিত শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলন চলতে থাকলে পুলিশ অ্যাকশনে যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ কখন অ্যাকশনে যায়? জানমালের ক্ষতি করলে, অগ্নিসংযোগ ও জনদুর্ভোগ করলে তো পুলিশ বসে থাকবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালতের যে নির্দেশনাটা এসেছিল, শিক্ষার্থীরা মনে করেছেন তাদের যে চিন্তা-ভাবনা, সেটা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সে জন্য তারা রাস্তায় চলে এসেছিলেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশকে আমরা বলেছি, এদের ডিমান্ড যেটা আছে, সেটা আমরা শুনব। কিন্তু শোনারও একটা লিমিট বোধ হয় থাকে। তারা বোধ হয় এগুলো ক্রস করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, তারা যেটা চেয়েছিলেন সেই দিকেই যখন যাচ্ছে, তখন রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার দরকার নেই। আর আদালত সব ধরনের সুযোগ তাদের জন্য রেখেছেন। তাদের কথা শুনতে চাচ্ছেন আদালত। এখন আমার মনে হয়, রাস্তায় অবস্থান করার কোনো প্রয়োজন নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা আদালতে গিয়ে তাদের যা বলার তা যাতে বলে। এটা স্পষ্ট সুন্দরভাবে বলে দিয়েছেন। কাজেই এরপর রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার কোনও প্রয়োজন আমার মনে হয় নেই। তারা যেটা চেয়েছিলেন, সেদিকেই তো যাচ্ছে। আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো, অযথা যাতে ভিড় না করেন। তারা তাদের লেখাপড়া ছেড়ে বসে থাকবেন, জনগণের দুর্ভোগ হবে। এটাও যাতে তাদের মাথায় থাকে।

আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, তাদের দাবির প্রতি সরকার সব সময় খেয়াল রাখছে। যেহেতু বিষয়টি কোর্টে আছে, এজন্য কোর্টের মাধ্যমে এটি নিষ্পত্তি হবে।

তিনি বলেন, আদালতের যে নির্দেশনাটা এসেছিল, শিক্ষার্থীরা মনে করেছেন তাদের যে চিন্তাভাবনা, সেটা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেজন্য তারা রাস্তায় চলে এসেছিলেন। আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী, বিশেষ করে পুলিশকে আমরা বলেছি, এদের ডিমান্ড যেটা আছে, সেটা আমরা শুনবো। কিন্তু শোনারও একটা লিমিট বোধহয় থাকে। তারা বোধহয় এগুলো ক্রস করে যাচ্ছে।

বেশ কয়েকদিন হলো তারা (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) কিন্তু একই কাজ করছেন। এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, যে নির্দেশনা হাইকোর্ট দিয়েছেন সেটি স্থগিত। যে মামলাটি চলছে সেটির রায় না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তাই হাইকোর্ট যে নির্দেশনা (কোটা বহাল করে) দিয়েছিলেন সেটি অচল, সেটি এখন নেই বলেও জানান মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হলো, তারা শিক্ষিত ছেলে, তারা মেধাবী, তারা কেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাবে? নিশ্চয়ই সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে তারা ফিরে যাবেন। পুলিশের পদক্ষেপ কখন আসে, যখন অপারগ হয়ে যায়, অগ্নিসংযোগ করতে যায়, যখন ধ্বংস করতে যায়, যখন জানমালের নিশ্চয়তার অভাব হয়ে যায়, যখন অনৈতিকভাবে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়, তেমন কিছু হলে পুলিশ বসে থাকবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন। দেশের বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আদালত থেকে যে নির্দেশনা এসেছিল—ছাত্ররা মনে করেছেন তাদের যে চিন্তাভাবনা, সেটা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সে কারণে তারা রাস্তায় চলে এসেছেন। আমরা বলেছি, এরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তারা খুবই মেধাবী, এদের চাহিদা আমরা শুনবো। কিন্তু শোনারও একটা সীমা বোধহয় থাকে, তারা বোধহয় সেটা অতিক্রম করে যাচ্ছেন। আজ বেশ কয়েকদিন হলো, তারা একই কাজ করছেন। এরইমধ্যে দেখেছেন, প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছেন, সেটা স্থগিত। পরবর্তীতে যে মামলা চলছে, সেই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত এটা স্থগিত থাকবে। কাজেই হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছিল, সেটা অচল, সেটা এখন নেই।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, ছাত্রদের এগুলো বোঝা উচিত যে রায় যখন নেই, তখন আন্দোলন করছেন কেন? আমার মনে হয়, আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটা খুবই পরিষ্কার। ছাত্রদেরও অনুরোধ করা হয়েছে, তাদের যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে আদালত তাদের কথা শুনবেন। তারা যেন আদালতে আসেন।

রাস্তায় থেকে ছাত্রদের কোনো কষ্ট করার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, তারা যেটা চেয়েছিলেন, সেই দিকেই যখন যাচ্ছে, তখন রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার দরকার নেই। আর আদালত সব ধরনের সুযোগ তাদের জন্য রেখেছেন। তাদের কথা শুনতে চাচ্ছে আদালত। রাস্তায় অবস্থান করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) হার্ডলাইনে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গতকাল আপনারা যারা যাতায়াত করেছেন, তাদের কী রকম কষ্ট পেতে হয়েছে। আমি অনুরোধ করছি, কোমলমতি ছাত্ররা, যাদের নিয়ে আমরা গর্ব করি, তারা যেন এখানে কষ্ট না করে আদালতে গিয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।