আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দেশটির দুর্নীতিবিষয়ক তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাখার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১ এপ্রিল) নয়াদিল্লির বিশেষ বিচারক কাবেরী বাওয়েজা এ নির্দেশ দেন।
মদ নীতিমালায় কেলেঙ্কারির অভিযোগে অর্থপাচার বিষয়ক এক মামলায় ২১ মার্চ দিল্লির সিভিল লাইনস এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১ এপ্রিল পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ইডির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার ইডির আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু অভিযোগ করেন, আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান কেজরিওয়াল তাদের সহযোগিতা করছেন না। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন। বারবার অনুরোদ সত্ত্বেও বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রের (কম্পিউটার বা মোবাইল) পাসওয়ার্ড দিতে সম্মত হননি তিনি। এভাবে চললে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও হেফাজতে রাখা হতে পারে।
এএপির অভিযোগ, রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারণ তথাকথিত মদ নীতিমালা ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।
ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট ‘ইন্ডিয়া’ও একই ধরনের অভিযোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার বিদেশিদের উদ্বেগ প্রকাশকে ভালোভাবে নেয়নি। তারা দিল্লিতে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
১৯ এপ্রিল থেকে ভারতের ১৮তম জাতীয় বা লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। সাত ধাপে ১ জুন এটা শেষ হবে। এ নির্বাচনের মাত্র কিছুদিন আগে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা নিয়ে ভারতের বিশ্লেষকরাও প্রায় সবাই একমত।