নিজস্ব প্রতিবেদক :
এক জামায়াত নেতার মন্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, কে কাকে লাল কার্ড দেখাবে, তা ঠিক করবে জনগণ। কে কী বলেছে, তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আদৌ কোনো আলোচনা বা সমালোচনার প্রয়োজন মনে করে না।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির পেশাজীবীদের আলোচনাসভার ভেন্যু পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি আশাবাদী যে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ডা. জাহিদ বলেন, আজকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবকে যে সমস্ত কথা কতিপয় লোক বলেছেন; আমরা বলতে চাই, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক, আমরা খালেদা জিয়ার সৈনিক, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা কোনো ষড়যন্ত্রে পা দিতে চাই না। আমরা শুধু বন্ধুদেরকে বলতে চাই, ধৈর্য ধরুন…অন্যায় সমর্থন করবেন না। নিজেরটা সমর্থন করবেন, অন্যেরটার সময়ে কথা বলবেন- এটা হয় না। অন্যায়কে বিএনপি কোনোদিন প্রশ্রয় দেয় না, সমর্থন দেয় না। বিএনপি অন্যায়ের বিচার চায়। মব সন্ত্রাস বিএনপি চায় না।
তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট ষড়যন্ত্র চলছে। যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো যায়, তাহলে নিশ্চয় কোনো না কোনো কর্নারের লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা আশাবাদী, ইনশাল্লাহ প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে…আমরা আশা রাখতে চাই, ইনশাল্লাহ ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগের মধ্যে নির্বাচনের যে কমিটমেন্ট তারা করেছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন।
মিটফোর্ড এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে জাহিদ হোসেন বলেন, গতকালকে জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় মহাসচিব স্পষ্টভাবে লিখিতভাবে বলেছেন, ঘটনা-দুর্ঘটনা হোক- অন্যায় অন্যায়। কোনো অন্যায়কে ছোট করে দেখা, কোনো অন্যায়কে বড় করে দেখার যে প্রবণতা, কোনো অন্যায়কে একটি কর্নার থেকে কোনো একটি দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা- এটিকে রাজনীতিকরণ করা ঠিক না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুল আলম লাবু, নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শামসুল ইসলাম শামস, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম কাগজী, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন।