কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :
কুমিল্লায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এই সঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-০১ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
দণ্ডিত ব্যক্তির নাম মো. আলাউদ্দিন (৪৮)। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার কুণ্ডলি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, ধর্ষণের শিকার শিশুর গর্ভের সন্তান মা বা স্বজনের তত্ত্বাবধানে রাখা যাবে। সন্তানটি তার বাবা বা মা কিংবা উভয় পরিচয়ে পরিচিত হতে অধিকারী। সন্তানের বয়স ২১ বছর হওয়া পর্যন্ত ভরণপোষণের ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে। সন্তানের ভরণপোষণের অর্থ সরকার ধর্ষক আলাউদ্দিনের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে। তার বিরুদ্ধে আরোপিত জরিমানার অর্থ ধর্ষণের শিকার শিশুর ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য করা হলো। অর্থ পরিশোধ না করলে আলাউদ্দিনের সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে পাওয়া অর্থ শিশুকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হলো।
কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন রায় দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আলাউদ্দিন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত কৌঁসুলি প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, ২০২০ সালের ১৮ জুলাই সকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এক শিশু ২০ টাকা নিয়ে আলাউদ্দিনের প্রসাধনী দোকানে কাজল কিনতে যায়। সেখানে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। কয়েক মাস পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শিশু ২৪ সপ্তাহ ১ দিনের অন্তঃসত্ত্বা বলে চিকিৎসক জানান।
প্রদীপ কুমার আরও জানান, শিশুর বাবা আলাউদ্দিনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। থানার এসআই মো. কামাল উদ্দিন আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন। বিচার চলাকালীন ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন আলাউদ্দিন।