স্পোর্টস ডেস্ক :
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্লে অফ নিশ্চিত হলেও যদিকিন্তুর সুতোয় ঝুলছিল ফরচুন বরিশালের ভাগ্য। ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে কুমিল্লাকে নাগালে রেখে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন তাইজুল-সাইফউদ্দিনরা। এরপর রান তাড়ায় সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিলে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ড্যাশিং এই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান বিপিএলের ৪১তম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এরপর রান তাড়ায় তামিম ইকবালের পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের পর রিয়াদের ফিনিশিংয়ে ২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।
কুমিল্লার দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১০ রানেই বিদায় নেন দলটির বিদেশী ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। তবে ব্যাট হাতে আজ সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। শেহজাদের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্সের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
এই জুটিতে রানের চাকা সচল রাখে বরিশাল। তবে ২৫ বলে ২৫ রান করে মুশফিক হাসানের বলে আউট হন মায়ার্স। তবে ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার ফেরার পর ক্রিজে তামিমের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম।
তৃতীয় উইকেটে এ দুজন মিলে গড়েছিলেন ৩৯ রানের জুটি। তবে দলীয় ১১৩ রানে মুশফিকও ফিরেন ব্যক্তিগত ১৭ রানেই। এদিকে একপ্রান্তে উইকেট হারালেও অপরপ্রান্তে আজ দায়িত্বশীল একটি ইনিংস খেলেছেন তামিম। কুমিল্লার বোলারদের সামলে নিজের ফিফটি তুলে নেন তিনি।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আজ ৪৮ বলে ৬৬ রানের এক ইনিংস খেলেছেন তামিম। ৬ চার এবং ৩ ছয়ে এই রান করেন তিনি। তবে দলীয় ১২২ রানে ১৮ তম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের মুঠোবন্দী হন দেশসেরা এই ওপেনার। এদিকে তামিম ফেরার পর বরিশালের জয় নিশ্চিত করেছেন মাহমুদউল্লাহ। শেষদিকে দুর্দান্ত এক চার এবং এক ছয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। বরিশালের এই জয়ে প্লে-অফের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো খুলনা টাইগার্সের।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের সুনিল নারিন ওপেনিংয়ে থাকলেও সুবিধা করতে পারেননি। ১৮ বলে ১৬ রান যোগ করে তিনি বিদায় নেন। অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যাট থেকেও তেমন রান আসেনি। ১২ বলে ১২ রান করেন তিনি। তিনে নেমে অবশ্য থিতু হন তাওহীদ হৃদয়। তাকে সঙ্গ দেন মঈন আলি। ৩০ বলে তাদের ৩৬ রানের জুটিই ইনিংসে সর্বোচ্চ।
চতুর্দশ ওভারে ম্যাককয়ের ওয়াইড বল ব্যাটে লাগিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন হৃদয়। ২৬ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মঈনও। ২২ বলে ২৩ রান করেন তিনি। ছয়ে নেমে ১১ বলে ১৪ রান করে উইকেট হারান আন্দ্রে রাসেল।
শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন জাকের আলি অনিক। ১৬ বলে ৩৮ রানের এক ক্যামিও ইনিংসে কুমিল্লাকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন তিনি। ৪ ছক্কা ও ২ চারে ইনিংসটি সাজানো ছিল তার। বরিশালের পক্ষে ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন ও ম্যাককয়।