নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। কিডনি প্রতিস্থাপনসহ বাংলাদেশে এখন অনেক জটিল অপারেশন সম্ভব।
সোমবার (৩ এপ্রিল) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃতে সফল কিডনি প্রতিস্থাপনে সুস্থ হওয়া শামীমা আক্তার এবং কিডনি দানকারী মৃত সারা ইসলামের মা শবনম সুলতানাসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশে এখন অনেক জটিল অপারেশন সম্ভব।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। সরকার জনগনকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল ক্লিনিক্যালি মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত কিডনি দুই রোগীর মধ্যে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। এটি ছিল দেশে প্রথম ক্যাডেভারিক কিডনি প্রতিস্থাপন। তারা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা ২০ বছর বয়সী রোগী সারা ইসলামের কাছ থেকে কিডনি নিয়েছিলেন। ১৮ জানুয়ারি বিকালে তাকে ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করা হয়। সারার মা অপারেশনে সম্মতি দেওয়ার পর কিডনি সংগ্রহ করা হয়।
জীবিত দাতাদের কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে শুরু হয়েছিল। কিন্তু মৃত রোগীর কিডনি নেওয়া আইনত সীমাবদ্ধ ছিল।
২০১৮ সালে অঙ্গ দান আইনটি সংশোধিত হয়, যা সংশ্লিষ্ট আত্মীয়দের সম্মতিতে মৃতদের কাছ থেকে অঙ্গ সংগ্রহের অনুমতি দেয়।