Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিছু শিল্পী এখনও লাল প্রোফাইল ধারীদের রাষ্ট্রদ্রোহী বলে যাচ্ছে : জিতু আহসান

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের আন্দোলন পর্যন্ত দেশের শিল্পীরা ছিল দুই ভাগে বিভক্ত। পাঁচ আগস্টের পর বিষয়টি ভয়াবহ আকারে রূপ নেয়। শিল্পীদের সংকট নিরসনে সংস্কার কমিটিও গঠন করা হয়। সেই কমিটির একজন সদস্য এক সময়ের ব্যস্ত অভিনেতা জিতু আহসান। এরইমধ্যে নিজের কিছু সহকর্মীকে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।

সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে জিতু লেখেন, ‘নিজের প্রফেশন এর মানুষদের নিয়ে সাধারণত আমি কোনো পোস্ট দেই না। ৫ আগস্ট এর পরবর্তীতে আমার কিছু সহকর্মী নানা রকম ট্রল এর শিকার হচ্ছেন, কিন্তু তারা ভীষণ ধৈর্য এবং নীরবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা ভীষণ সমর্থনযোগ্য ব্যাপার।’

কিছু অভিযোগ ছুঁড়ে জিতু আরও লেখেন, কিন্তু দুই একজন সহকর্মী আছেন, যার লজ্জিত হওয়া তো দূরের কথা, নানান রকম উসকানিমূলক পোস্ট, লাল প্রোফাইল ধারীদের রাষ্ট্রদ্রোহী এবং নানান কথা বলেই যাচ্ছেন; যেন দেশটায় অশান্তি আরও বাড়ে।

সেই সহকর্মীকে ইঙ্গিত দিয়ে জিতু লেখেন, আজকে যা অন্যায় হচ্ছে সেটার কথা বলছেন, ভালো, সমর্থনযোগ্য। কিন্তু লজ্জা লাগে না, ১৫ বছরের এই ভয়াবহ দুর্নীতি, অন্যায় এবং হত্যার বিরুদ্ধে একটা টু শব্দ কখনও করেন নাই? দুর্নীতিবাজগুলোর সাথে হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোস্ট করেছেন। যেই ভয়াবহ দুর্নীতি আর অন্যায় হয়েছে, তার ব্যাপারে যদি একটা কথা, আবারও বলছি, একটা কথা এই ১৫ বছর কিংবা এখনও যদি বলতেন, বুঝতাম বিন্দু মাত্র মোরাল ভ্যালু আছে। কখনোই বলেন নাই, উন্নতির ফিরিস্তি দিয়েছেন আর আসল উদ্দেশ্য ছিল এমপি হওয়া। যেটা পারেন নাই, নিজে শান্তিতে থাকেন, দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেন।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু আহসান। একটা সময় হামেশাই তাকে পর্দায় দেখা গেলেও এখন শোবিজে ব্যস্ততা কম অভিনেতার। সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন বিপ্লব তথা জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিপীড়িত ছাত্র ও সাধারণ গণমানুষের পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন অভিনেতা।

এর আগে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দুই ভাগে বিভক্ত দেশের শোবিজ তারকারা দুই ধরনের ভূমিকা পালন করে। স্বেচ্ছাচার-স্বৈরতন্ত্রের পক্ষের তারকারা ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে আড়ালে বিভিন্ন নীল নকশা আঁকে। অপরদিকে আরেক পক্ষ তারকারা ছাত্রদের সঙ্গে সংহতি জানায়। আন্দোলনে নিহতদের পক্ষে সোচ্চার হয়ে কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ করেন তারা। জিতু আহসান ছিলেন এমনই একজন, যিনি আন্দোলনের পক্ষে ছাত্রদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কিছু শিল্পী এখনও লাল প্রোফাইল ধারীদের রাষ্ট্রদ্রোহী বলে যাচ্ছে : জিতু আহসান

প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের আন্দোলন পর্যন্ত দেশের শিল্পীরা ছিল দুই ভাগে বিভক্ত। পাঁচ আগস্টের পর বিষয়টি ভয়াবহ আকারে রূপ নেয়। শিল্পীদের সংকট নিরসনে সংস্কার কমিটিও গঠন করা হয়। সেই কমিটির একজন সদস্য এক সময়ের ব্যস্ত অভিনেতা জিতু আহসান। এরইমধ্যে নিজের কিছু সহকর্মীকে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।

সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে জিতু লেখেন, ‘নিজের প্রফেশন এর মানুষদের নিয়ে সাধারণত আমি কোনো পোস্ট দেই না। ৫ আগস্ট এর পরবর্তীতে আমার কিছু সহকর্মী নানা রকম ট্রল এর শিকার হচ্ছেন, কিন্তু তারা ভীষণ ধৈর্য এবং নীরবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা ভীষণ সমর্থনযোগ্য ব্যাপার।’

কিছু অভিযোগ ছুঁড়ে জিতু আরও লেখেন, কিন্তু দুই একজন সহকর্মী আছেন, যার লজ্জিত হওয়া তো দূরের কথা, নানান রকম উসকানিমূলক পোস্ট, লাল প্রোফাইল ধারীদের রাষ্ট্রদ্রোহী এবং নানান কথা বলেই যাচ্ছেন; যেন দেশটায় অশান্তি আরও বাড়ে।

সেই সহকর্মীকে ইঙ্গিত দিয়ে জিতু লেখেন, আজকে যা অন্যায় হচ্ছে সেটার কথা বলছেন, ভালো, সমর্থনযোগ্য। কিন্তু লজ্জা লাগে না, ১৫ বছরের এই ভয়াবহ দুর্নীতি, অন্যায় এবং হত্যার বিরুদ্ধে একটা টু শব্দ কখনও করেন নাই? দুর্নীতিবাজগুলোর সাথে হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোস্ট করেছেন। যেই ভয়াবহ দুর্নীতি আর অন্যায় হয়েছে, তার ব্যাপারে যদি একটা কথা, আবারও বলছি, একটা কথা এই ১৫ বছর কিংবা এখনও যদি বলতেন, বুঝতাম বিন্দু মাত্র মোরাল ভ্যালু আছে। কখনোই বলেন নাই, উন্নতির ফিরিস্তি দিয়েছেন আর আসল উদ্দেশ্য ছিল এমপি হওয়া। যেটা পারেন নাই, নিজে শান্তিতে থাকেন, দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেন।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু আহসান। একটা সময় হামেশাই তাকে পর্দায় দেখা গেলেও এখন শোবিজে ব্যস্ততা কম অভিনেতার। সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন বিপ্লব তথা জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিপীড়িত ছাত্র ও সাধারণ গণমানুষের পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন অভিনেতা।

এর আগে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দুই ভাগে বিভক্ত দেশের শোবিজ তারকারা দুই ধরনের ভূমিকা পালন করে। স্বেচ্ছাচার-স্বৈরতন্ত্রের পক্ষের তারকারা ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে আড়ালে বিভিন্ন নীল নকশা আঁকে। অপরদিকে আরেক পক্ষ তারকারা ছাত্রদের সঙ্গে সংহতি জানায়। আন্দোলনে নিহতদের পক্ষে সোচ্চার হয়ে কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ করেন তারা। জিতু আহসান ছিলেন এমনই একজন, যিনি আন্দোলনের পক্ষে ছাত্রদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছিলেন।