নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জীবন চলে যাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে সওজের সড়ক সংস্কার করার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬ টায় কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে স্যালো ইঞ্জিন চালিত ভ্যানের সাথে মাছ বোঝাই পিকআপের সংঘর্ষে স্বামী ও স্ত্রীর মৃত্যু হয়। সেসময় আহত হয় ভ্যানের আরো ৩ জন যাত্রী। এ দুর্ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনাস্থলে বড় ধরনের গর্ত ও উঁচু নিচু রাস্তা সংস্কার করতে কালীগঞ্জ সড়ক বিভাগকে তড়িঘড়ি করে কাজ করতে দেখা যায়।
কালীগঞ্জ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানায়, ঝিনাইদহ টু যশোর মহাসড়কের ছালাভরা থেকে বারোবাজার মান্দারতলা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে ব্যস্ততম এ মহাসড়কের কালীগঞ্জ এলাকার মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এর ১৫ কিলোমিটার এর মধ্যে ৬ কিলোমিটার রাস্তা বেশি খারাপ।
রাস্তায় চলাচলকারী ইমান আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কার হচ্ছে না । যার করণে ঘটছে দুর্ঘটনা । কিন্তু দেখবে কে? মহাসড়কের দুপাশে বিভিন্ন স্থানে ছোটো বড় অসংখ্য ঢালু গর্ত রয়েছে। সেই সাথে কোথাও রাস্তা ফুলে-ফেপে ঢোল হয়েছে। যেগুলো সড়ক বিভাগের লোকজন মাঝে মধ্যে যতসামান্য ঠিক করলেও তা ব্যবহার উপযোগী হয়না।
বারবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম জানান, রমজান এবং ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকে বেশি। এ কারণে আমরা টহলও বাড়িয়েছি। শুধু থ্রি হুইলার যানই নয় ভাঙ্গাচোরা উঁচু-নিচু গর্তযুক্ত মহাসড়কের কারণেও দুর্ঘটনা বাড়ছে।
কালিগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শ্রী তুষার কান্তি প্রামাণিক জানান, প্রতিনিয়তই আমার এরিয়ার মধ্যে আমারা মহাসড়ক সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি। ১৫ কিলোমিটার এর মধ্যে ৬ কিলোমিটার রাস্তা বেশি খারাপ। খারাপ স্থানগুলো চিহ্নিত করে কাজ করা হচ্ছে। বাকি রাস্তার কাজও দ্রুত শেষ হবে।
গত ২৪ মার্চ যশোর মহাসড়কে কালীগঞ্জ কেয়াবাগান এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মিজান (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়। এ সময় আহত হয় অন্তত ২০ যাত্রী। অন্যদিকে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে মাছবোঝাই পিকআপের ধাক্কায় ইঞ্জিন চালিত ভ্যানের দুই যাত্রী স্বামী-স্ত্রী নিহত হয় । আহত হয় ভ্যানের আরো ৩ জন ।