Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত হলেন ইরফান সেলিম

ইরফান সেলিম

অবশেষে কাউন্সিলর পর থেকে বরখাস্ত হলেন এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। মঙ্গলবার ইরফান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আ ন ম ফয়জুল হক স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বিদেশি মদ সেবন করা দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।

৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদয়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ইতিমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ ও ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারে দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং তার মাদক রাখার মামলা চলমান আছে।

তার কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ লঙ্ঘিত হয়েছে। যা নৈতিক স্খলন এবং অসদাচরণের শামিল। নৈতিক স্খলন ও অসদাচরণের কারণে স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯, ধারা ১২ এর উপধারা ১ এর ক্ষমতা বলে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ হতে বরখাস্ত করা হলো।

এর আগে বিকালে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের শাস্তির বিষয়ে লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে জানিয়েছে ডিএসসিসি।

আরও পড়ুন : হাজী সেলিমের ছেলে গ্রেফতার: বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধার

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আইন অনুসারে প্রথমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। পরে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে। যেহেতু বিচারাধীন বিষয় আছে সেহেতু আমাদের আইনগত বিষয়গুলো আজকে আমরা সম্পন্ন করতে পারব। সেটা হলো তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা এবং এরপর পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও পরদিন ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ। ২৬ অক্টোবর সকালেই ইরফানকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে আদালত তাকে কারাদণ্ড দেন।

আবহাওয়া

ডিসেম্বরে বিয়ে করছেন মধুমিতা

কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত হলেন ইরফান সেলিম

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০

অবশেষে কাউন্সিলর পর থেকে বরখাস্ত হলেন এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। মঙ্গলবার ইরফান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আ ন ম ফয়জুল হক স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বিদেশি মদ সেবন করা দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।

৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদয়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ইতিমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ ও ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারে দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং তার মাদক রাখার মামলা চলমান আছে।

তার কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ লঙ্ঘিত হয়েছে। যা নৈতিক স্খলন এবং অসদাচরণের শামিল। নৈতিক স্খলন ও অসদাচরণের কারণে স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯, ধারা ১২ এর উপধারা ১ এর ক্ষমতা বলে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ হতে বরখাস্ত করা হলো।

এর আগে বিকালে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের শাস্তির বিষয়ে লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে জানিয়েছে ডিএসসিসি।

আরও পড়ুন : হাজী সেলিমের ছেলে গ্রেফতার: বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধার

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আইন অনুসারে প্রথমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। পরে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে। যেহেতু বিচারাধীন বিষয় আছে সেহেতু আমাদের আইনগত বিষয়গুলো আজকে আমরা সম্পন্ন করতে পারব। সেটা হলো তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা এবং এরপর পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও পরদিন ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ। ২৬ অক্টোবর সকালেই ইরফানকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে আদালত তাকে কারাদণ্ড দেন।