Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনায় লকডাউনের পথে ইউরোপ

  • যোগাযোগ ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯১ জন দেখেছেন

ফাইল ছবি

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। শীতের মাসগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে, এমন পূর্বাভাস সত্ত্বেও তারা সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তারা লকডাউন ঘোষণা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছে। খবর: ডয়চে ভেলে।

ডব্লিউএইচও’র জরুরি অবস্থার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইকেল রায়ান বলেন, মূলত কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ঠিকমতো কার্যকর করা হচ্ছে না বলেই উত্তর গোলার্ধে সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলেছে।

গত সোমবার আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলস করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আবার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন গত বুধবার রাত থেকে ‘স্টে অ্যাট হোম’ নির্দেশ কার্যকর করছেন। সরকারি এ বিধিনিয়মের আওতায় অতি প্রয়োজনীয় ব্যবসাবাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্র বন্ধ থাকবে। তবে স্কুল খোলা রাখা হবে।

ব্রিটেনের ওয়েলস প্রদেশে দুই সপ্তাহের জন্য ‘ফায়ারব্রেক’ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। ফলে অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না। ঘরে-বাইরে মানুষের মেলেমেশাও সীমিত রাখতে হবে।

আরও পড়ুন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা বাড়ছে

জার্মানির একটি জেলায় লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। ফলে ব্যারশ্টেসগার্ডেনার লান্ড এলাকার মানুষ মঙ্গলবার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ২৭২ জনেরও বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এমন চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। স্কুল, রেস্তোরাঁ, বার, সিনেমা-থিয়েটার, জিম, হোটেল প্রভৃতি বন্ধ রাখা হচ্ছে।

জার্মানির অন্য কিছু প্রান্তেও সংক্রমণের হার বাড়ছে। ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের অভাবে দেশজুড়ে এখনও খুব বেশি কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপের কারণে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হচ্ছে।

ইউরোপের অন্য অনেক দেশও করোনা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বেলজিয়াম সোমবার থেকে এক মাসের জন্য বার ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে সে দেশের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ইটালিও একই পদক্ষেপ নিয়ে মানুষকে যতটা সম্ভব ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।

পোল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক অংশ ‘রড জোন’ হয়ে ওঠায় রাজধানী ওয়ারশ’র জাতীয় স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে প্যারিসসহ ফ্রান্সের ৯টি শহরে সারারাত কারফিউ জারি করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

করোনায় লকডাউনের পথে ইউরোপ

প্রকাশের সময় : ০৬:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। শীতের মাসগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে, এমন পূর্বাভাস সত্ত্বেও তারা সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তারা লকডাউন ঘোষণা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমন পরিস্থিতির জন্য সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছে। খবর: ডয়চে ভেলে।

ডব্লিউএইচও’র জরুরি অবস্থার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইকেল রায়ান বলেন, মূলত কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ঠিকমতো কার্যকর করা হচ্ছে না বলেই উত্তর গোলার্ধে সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলেছে।

গত সোমবার আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলস করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আবার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন গত বুধবার রাত থেকে ‘স্টে অ্যাট হোম’ নির্দেশ কার্যকর করছেন। সরকারি এ বিধিনিয়মের আওতায় অতি প্রয়োজনীয় ব্যবসাবাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্র বন্ধ থাকবে। তবে স্কুল খোলা রাখা হবে।

ব্রিটেনের ওয়েলস প্রদেশে দুই সপ্তাহের জন্য ‘ফায়ারব্রেক’ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। ফলে অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না। ঘরে-বাইরে মানুষের মেলেমেশাও সীমিত রাখতে হবে।

আরও পড়ুন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা বাড়ছে

জার্মানির একটি জেলায় লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। ফলে ব্যারশ্টেসগার্ডেনার লান্ড এলাকার মানুষ মঙ্গলবার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ২৭২ জনেরও বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এমন চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। স্কুল, রেস্তোরাঁ, বার, সিনেমা-থিয়েটার, জিম, হোটেল প্রভৃতি বন্ধ রাখা হচ্ছে।

জার্মানির অন্য কিছু প্রান্তেও সংক্রমণের হার বাড়ছে। ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের অভাবে দেশজুড়ে এখনও খুব বেশি কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপের কারণে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হচ্ছে।

ইউরোপের অন্য অনেক দেশও করোনা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বেলজিয়াম সোমবার থেকে এক মাসের জন্য বার ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে সে দেশের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ইটালিও একই পদক্ষেপ নিয়ে মানুষকে যতটা সম্ভব ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।

পোল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক অংশ ‘রড জোন’ হয়ে ওঠায় রাজধানী ওয়ারশ’র জাতীয় স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে প্যারিসসহ ফ্রান্সের ৯টি শহরে সারারাত কারফিউ জারি করা হচ্ছে।