Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, হবেও না : নিরাপত্তা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিতে চাই, করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কোনো কথা হবেও না। করিডর ব্যবস্থাটি বুঝতে হবে। করিডর হচ্ছে একটা জরুরি সময়ে দুর্যোগপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা। আমরা এখানে কাউকে সরাচ্ছি না।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা যেটা করছি সেটা হচ্ছে, যেহেতু আরাকানে সাহায্য সহযোগিতা অন্যান্য সাপ্লাইডোর দিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘ আমাদের এইটুকু বলল, আপনারা আমাদের এইটুকু সহযোগিতা করেন যাতে আমরা সাহায্যগুলো এ জায়গা দিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ তো গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে আমাদের চোখের সামনে রোহিঙ্গাদের সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা বলেছে আপনার আমাদের এইটুকু জায়গাতে সাহায্য করবেন, যাতে করে জাতিসংঘ তার বিভিন্ন সহযোগীদের মাধ্যমে রাখাইনের ভেতরে যে চ্যানেলগুলো আছে সেখানে এসব সহযোগিতা পৌঁছে দিতে পারে।

তিনি বলেন, আপনারা চাইলে খবর নিতে পারেন জাতিসংঘে, আমরা করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনা করি নাই। আরাকানে যে অবস্থা সেখানে করিডোরের কোনো প্রয়োজন নেই। করিডোর সৃষ্টি করে লোকজনের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। সেখানে যে প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া।

তিনি আরো বলেন, আরাকানের পরিস্থিতি যতদিন অস্থিতিশীল থাকবে ততদিন আমরা প্রত্যাবাসনের কথা বলতেই পারব না। প্রত্যাবাসনের পূর্বশর্তে আমরা এখনো আসি নাই। অনেকেই বলছেন, করিডোর নিয়ে আমরা কারও সঙ্গে আলোচনা কেন করিনি? আমি বলতে চাই অস্তিত্ববিহীন বিষয় নিয়ে আমরা কীভাবে আলোচনা করব। যার অস্তিত্ব নাই সেই বিষয়ে কী করে আলোচনা হয় বলেও প্রশ্ন রাখেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

বাংলাদেশে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ত্রাণ পাঠানোর জন্য মানবিক করিডোর সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সরকার বলছে, এ করিডোর শুধু মানবিক উদ্দেশে ব্যবহারের জন্য, কোনো সামরিক বা বাণিজ্যিক কাজে নয়। তবে সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।

বাংলাদেশ ছাড়া আমার আর কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেই বলে জানিয়ে খলিলুর রহমান বলেন, আমার একটাই নাগরিকত্ব সেটা হলো বাংলাদেশি নাগরিকত্ব। আমি দেশে আসার আগে কিছুদিন আমেরিকায় পরিবারের সঙ্গে থেকেছি। আমার আমেরিকান কোনো পাসপোর্ট নাই। বাংলাদেশ ছাড়া আমার আর কোনো দেশের জাতীয়তা নাই। আমি আমেরিকায় থেকেছি বলে যদি বলা হয় আমি আমেরিকার নাগরিক তাহলে তারেক রহমানকেও সেই কথা বলতে হয়।

তিনি বলেন, আমি আবেদন করব আপনারা বুঝে শুনে কথা বলবেন। আমাকে যদি ঢিল নিক্ষেপ করেন সেই ঢিল কিন্তু অন্যের ওপরও পড়তে পারে। আমি যেটা নই আমাকে সেটা বানাবেন না। আর পারলে প্রমাণ করেন। আমার একটা অধিকার আছে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে। সেই অধিকারে যদি সম্মান না করে তাহলে দুঃখজনক। দয়া করে এসব বন্ধ করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, হবেও না : নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিতে চাই, করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কোনো কথা হবেও না। করিডর ব্যবস্থাটি বুঝতে হবে। করিডর হচ্ছে একটা জরুরি সময়ে দুর্যোগপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা। আমরা এখানে কাউকে সরাচ্ছি না।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা যেটা করছি সেটা হচ্ছে, যেহেতু আরাকানে সাহায্য সহযোগিতা অন্যান্য সাপ্লাইডোর দিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘ আমাদের এইটুকু বলল, আপনারা আমাদের এইটুকু সহযোগিতা করেন যাতে আমরা সাহায্যগুলো এ জায়গা দিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ তো গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে আমাদের চোখের সামনে রোহিঙ্গাদের সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা বলেছে আপনার আমাদের এইটুকু জায়গাতে সাহায্য করবেন, যাতে করে জাতিসংঘ তার বিভিন্ন সহযোগীদের মাধ্যমে রাখাইনের ভেতরে যে চ্যানেলগুলো আছে সেখানে এসব সহযোগিতা পৌঁছে দিতে পারে।

তিনি বলেন, আপনারা চাইলে খবর নিতে পারেন জাতিসংঘে, আমরা করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনা করি নাই। আরাকানে যে অবস্থা সেখানে করিডোরের কোনো প্রয়োজন নেই। করিডোর সৃষ্টি করে লোকজনের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। সেখানে যে প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া।

তিনি আরো বলেন, আরাকানের পরিস্থিতি যতদিন অস্থিতিশীল থাকবে ততদিন আমরা প্রত্যাবাসনের কথা বলতেই পারব না। প্রত্যাবাসনের পূর্বশর্তে আমরা এখনো আসি নাই। অনেকেই বলছেন, করিডোর নিয়ে আমরা কারও সঙ্গে আলোচনা কেন করিনি? আমি বলতে চাই অস্তিত্ববিহীন বিষয় নিয়ে আমরা কীভাবে আলোচনা করব। যার অস্তিত্ব নাই সেই বিষয়ে কী করে আলোচনা হয় বলেও প্রশ্ন রাখেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

বাংলাদেশে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ত্রাণ পাঠানোর জন্য মানবিক করিডোর সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সরকার বলছে, এ করিডোর শুধু মানবিক উদ্দেশে ব্যবহারের জন্য, কোনো সামরিক বা বাণিজ্যিক কাজে নয়। তবে সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।

বাংলাদেশ ছাড়া আমার আর কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেই বলে জানিয়ে খলিলুর রহমান বলেন, আমার একটাই নাগরিকত্ব সেটা হলো বাংলাদেশি নাগরিকত্ব। আমি দেশে আসার আগে কিছুদিন আমেরিকায় পরিবারের সঙ্গে থেকেছি। আমার আমেরিকান কোনো পাসপোর্ট নাই। বাংলাদেশ ছাড়া আমার আর কোনো দেশের জাতীয়তা নাই। আমি আমেরিকায় থেকেছি বলে যদি বলা হয় আমি আমেরিকার নাগরিক তাহলে তারেক রহমানকেও সেই কথা বলতে হয়।

তিনি বলেন, আমি আবেদন করব আপনারা বুঝে শুনে কথা বলবেন। আমাকে যদি ঢিল নিক্ষেপ করেন সেই ঢিল কিন্তু অন্যের ওপরও পড়তে পারে। আমি যেটা নই আমাকে সেটা বানাবেন না। আর পারলে প্রমাণ করেন। আমার একটা অধিকার আছে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে। সেই অধিকারে যদি সম্মান না করে তাহলে দুঃখজনক। দয়া করে এসব বন্ধ করেন।