আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিপাইনের নোবেলজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসা কর ফাঁকির আরেকটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। এ নিয়ে কর ফাঁকির পাঁচ মামলার শেষটিতেও খালাস পেলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া।
মারিয়ার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির এই পাঁচ মামলার সব কটিই দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের আমলে করা হয়েছিল। দুতার্তের একজন সমালোচক হিসেবে পরিচিত মারিয়া।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ফিলিপাইনের একটি বিচারিক আদালত এ মামলায় মারিয়া ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট র্যাপলারকে খালাসের রায় দেন।
খালাসের এ রায়কে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একটি বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
মামলাটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে মারিয়ার ৩৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারত। রায়ের পর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের মারিয়া বলেন, ‘আপনাদের বিশ্বাস থাকতে হবে।’
২০১৫ সালে নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে তোপ দাগাতে শুরু করেন দুতার্তে। তখনই প্রথম মামলাটি হয় রেকার বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে দুর্তাতে দেশের ১৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর রেসার বিরুদ্ধে আরো কিছু মামলা হয়। পাঁচটি ছিল কর ফাঁকির মামলা।
গত জানুয়ারিতে একটি আদালত চারটি মামলা থেকে খালাস দেয়ায় কর ফাঁকির চলমান সর্বশেষ মামলাটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সবাই। আদালত সেই মামলাতেও নির্দোষ ঘোষণা করায় মঙ্গলবার নোবেলজয়ী অনুসন্ধানী সাংবাদিক বলেন, এই খালাস বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাজনৈতিকভাবে অপদস্থ করার যাবতীয় প্রয়াস, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সব ধরনের আক্রমণ সত্ত্বেও অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
কর ফাঁকির পাঁচ মামলার সব কটিতে খালাস পাওয়া সত্ত্বেও মারিয়া ও র্যাপলারের পুরোপুরি স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই। কারণ, উভয়ের বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি।
২০২০ সালে সাইবার মানহানির এক মামলায় মারিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেওয়া হয়। এ মামলায় তিনি এখন জামিনে রয়েছেন। মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করে আসছেন মারিয়া।
৫৯ বছর বয়সী মারিয়া ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে এ পুরস্কার পান রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ।