Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন : আইএসপিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে বিদ্রোহী এম-২৩ গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জাতিসংঘের ১৩ শান্তিরক্ষীর মৃত্যুর খবর জানা যায়। তবে এ সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি সব শান্তিরক্ষী নিরাপদে রয়েছেন। জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ডিআর কঙ্গোতে চলমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি সব শান্তিরক্ষী নিরাপদে রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, কঙ্গোর বড় শহর গোমা নিয়ে সোমবার নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, যেখানে রুয়ান্ডাভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ শহরটি দখলের দাবি করেছে। কঙ্গো সরকার এই ঘটনার পর বলছে, বিদ্রোহীদের এই পদক্ষেপ যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

খবরে বলা হয়েছে, কঙ্গোলিজ সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণের জন্য এম২৩ বিদ্রোহীরা ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল, কিন্তু সোমবার সকালে গোমা শহরজুড়ে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়। শহরের বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিদ্রোহীরা কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে কঙ্গো সেনাদের সমবেত করার চেষ্টা করছে।

এম২৩ বিদ্রোহীরা আফ্রিকার দীর্ঘ সময়ের চলমান সংঘাতে কঙ্গোর খনিজ-সমৃদ্ধ অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গোমা শহর উত্তর কিভু প্রদেশে অবস্থিত, যেখানে এক তৃতীয়াংশ মানুষ ইতিমধ্যেই বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকার দুই শান্তিরক্ষী এবং উরুগুয়ের এক শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন, এছাড়া আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। তিনি এম২৩ বিদ্রোহীদের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং তাদেরকে সব ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন : আইএসপিআর

প্রকাশের সময় : ০২:২০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে বিদ্রোহী এম-২৩ গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জাতিসংঘের ১৩ শান্তিরক্ষীর মৃত্যুর খবর জানা যায়। তবে এ সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি সব শান্তিরক্ষী নিরাপদে রয়েছেন। জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ডিআর কঙ্গোতে চলমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি সব শান্তিরক্ষী নিরাপদে রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, কঙ্গোর বড় শহর গোমা নিয়ে সোমবার নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, যেখানে রুয়ান্ডাভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ শহরটি দখলের দাবি করেছে। কঙ্গো সরকার এই ঘটনার পর বলছে, বিদ্রোহীদের এই পদক্ষেপ যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

খবরে বলা হয়েছে, কঙ্গোলিজ সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণের জন্য এম২৩ বিদ্রোহীরা ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল, কিন্তু সোমবার সকালে গোমা শহরজুড়ে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়। শহরের বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিদ্রোহীরা কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে কঙ্গো সেনাদের সমবেত করার চেষ্টা করছে।

এম২৩ বিদ্রোহীরা আফ্রিকার দীর্ঘ সময়ের চলমান সংঘাতে কঙ্গোর খনিজ-সমৃদ্ধ অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গোমা শহর উত্তর কিভু প্রদেশে অবস্থিত, যেখানে এক তৃতীয়াংশ মানুষ ইতিমধ্যেই বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকার দুই শান্তিরক্ষী এবং উরুগুয়ের এক শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন, এছাড়া আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। তিনি এম২৩ বিদ্রোহীদের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং তাদেরকে সব ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।