কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজারে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মহেশখালী মাতারবাড়িতে রব্বত আলী হত্যা মামলায় তিনজন এবং রামু উপজেলার পানিরছড়া মামুন বাজার এলাকায় খোরশেদ আলম বাবুল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিন আসামিকে দুই লাখ ও অপরজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোশারফ হোসাইন পৃথক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন জালাল আহমেদ, আব্দুল মালেক, শামসুল আলম, করিম দাদ, আব্দুল মুনাফ ও শেরে ফরহাদ। এদের মধ্যে জালাল আহমেদ ও আব্দুল মালেক মারা যান।
এজাহার ও আদালত সুত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ২০ ডিসেম্বর রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে ডাকাত শেরে ফরহাদের নেতৃত্বে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় ভারুয়াখালীর খোরশেদ আলম বাবুলকে। পরে বাবুলর বাবা বাদী হয়ে রামু থানায় মামলা করেন। ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
অপরদিকে ১৯৯৪ সালের ৪ মার্চ মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় আব্দুল মুনাফ, করিম দাদ ও সামসুল আলমের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে ছয়জন লব্বত আলী নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করেন। পরে স্বজনরা বাদী হয়ে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা করেন। সে মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শওকত বেলাল বলেন, ‘সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক এ রায়ের আদেশ দিয়েছেন। মহেশখালীর মাতারবাড়ির মামলায় পাঁচ আসামির দুজন এবং রামুর মামলায় একজনের মৃত্যু হওয়ায় তাদের এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নাছির উদ্দিন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের (৪র্থ আদালত) রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ন্যায়বিচারের জন্য তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।