Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশন ও রেললাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সুধী সমাবেশের মঞ্চে উপবিষ্ট হন তিনি। এ সময় উপস্থিত সুধীজনের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার (১১ নভেম্বর) ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ১১টা ২৫ মিনিটে আইনিক রেল স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানিয়ে রাখাইন নৃত্য পরিবেশন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুণী দল। নৃত্য শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল ভেঙে রাখাইন তরুণীদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

সুধী সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তা এবং নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।

মতবিনিময় শেষে আইকনিক রেল স্টেশন ও রেলপথ উদ্বোধন করবেন। পরে রেলে চড়ে রামু যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে রামু ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে দুপুরের নামাজ ও খাবার শেষে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ১৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও তিনটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে তার।

পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। এখন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ সমাপ্ত হল।

মোট ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে নয়টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট।

তারপর চলতি বছরের আগস্ট মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে রেললাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারজন্য এ প্রকল্প আরও পিছিয়ে যায় কয়েক মাস।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে ঝিনুকের আদলে আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের পাশাপাশি দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত বন এলাকায় রেললাইন স্থাপন করায় বন্যহাতি ও বন্যপ্রাণী চলাচলের জন্য ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর দৃশ্যমান আইকনিক রেল স্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন এ স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা বিশিষ্ট স্টেশনটি নির্মাণে বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক স্টেশনের সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। চার বছরের শ্রমে আইকনিক রেলস্টেশন ভবনটি আজ সত্যিই চোখ জুড়ানো বাস্তবতা।

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১২:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশন ও রেললাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সুধী সমাবেশের মঞ্চে উপবিষ্ট হন তিনি। এ সময় উপস্থিত সুধীজনের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার (১১ নভেম্বর) ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ১১টা ২৫ মিনিটে আইনিক রেল স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানিয়ে রাখাইন নৃত্য পরিবেশন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুণী দল। নৃত্য শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল ভেঙে রাখাইন তরুণীদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

সুধী সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তা এবং নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।

মতবিনিময় শেষে আইকনিক রেল স্টেশন ও রেলপথ উদ্বোধন করবেন। পরে রেলে চড়ে রামু যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে রামু ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে দুপুরের নামাজ ও খাবার শেষে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ১৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও তিনটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে তার।

পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। এখন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ সমাপ্ত হল।

মোট ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে নয়টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট।

তারপর চলতি বছরের আগস্ট মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে রেললাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারজন্য এ প্রকল্প আরও পিছিয়ে যায় কয়েক মাস।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে ঝিনুকের আদলে আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের পাশাপাশি দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত বন এলাকায় রেললাইন স্থাপন করায় বন্যহাতি ও বন্যপ্রাণী চলাচলের জন্য ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর দৃশ্যমান আইকনিক রেল স্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন এ স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা বিশিষ্ট স্টেশনটি নির্মাণে বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক স্টেশনের সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। চার বছরের শ্রমে আইকনিক রেলস্টেশন ভবনটি আজ সত্যিই চোখ জুড়ানো বাস্তবতা।