Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসপি বাবুল আক্তারের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মিতুর বাবার করা আবেদনের শুনানিতে এই আদেশ দেন আদালত।

এর আগে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

তার আগে গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তার জামিন আবেদন নাকচ হয়েছিল।

এর আগে, ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান এবং বিচারপতি আলী রেজার নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ বাবুল আক্তারকে জামিন দেন।

চট্টগ্রাম পুলিশের সাবেক এসপির জামিনের বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী ইসমাত জাহান মুক্তা।

গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাবুল আক্তার জামিনের আবেদন করেছিলেন, তবে ১৮ আগস্ট আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের নিজাম রোডে মিতু গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে তদন্তে পিবিআই জানতে পারে, মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ২০২১ সালের ১২ মে পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বাবুলকে প্রধান আসামি করে দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন। এর পর বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিনি কারাগারে ছিলেন।

২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর, প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বাতিল করে এবং নারাজির আবেদন গ্রহণ করে আদালত ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামলাটির অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা হয়। গত বছরের ১৩ মার্চ, আদালত এই মামলায় বাবুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

এসপি বাবুল আক্তারের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই

প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মিতুর বাবার করা আবেদনের শুনানিতে এই আদেশ দেন আদালত।

এর আগে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

তার আগে গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তার জামিন আবেদন নাকচ হয়েছিল।

এর আগে, ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান এবং বিচারপতি আলী রেজার নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ বাবুল আক্তারকে জামিন দেন।

চট্টগ্রাম পুলিশের সাবেক এসপির জামিনের বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী ইসমাত জাহান মুক্তা।

গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাবুল আক্তার জামিনের আবেদন করেছিলেন, তবে ১৮ আগস্ট আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের নিজাম রোডে মিতু গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে তদন্তে পিবিআই জানতে পারে, মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ২০২১ সালের ১২ মে পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বাবুলকে প্রধান আসামি করে দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন। এর পর বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিনি কারাগারে ছিলেন।

২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর, প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বাতিল করে এবং নারাজির আবেদন গ্রহণ করে আদালত ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামলাটির অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা হয়। গত বছরের ১৩ মার্চ, আদালত এই মামলায় বাবুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়।