Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এগার ঘণ্টায় প্রায় ৯ লাখ টাকা টোল আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল চালু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রথম ১১ ঘণ্টায় চলাচল করেছে ১০ হাজার ৮৫৪টি গাড়ি। এই সময়ে আট লাখ ৮৩ হাজার ৫২৯ টাকার টোল আদায় হয়েছে।

বিমানবন্দরের কাওলা র‌্যাম্প থেকে উঠেছে ছয় হাজার ৬১৬টি গাড়ি। কুড়িল থেকে উঠেছে এক হাজার ১৯৮টি, বনানী থেকে এক হাজার ৯১টি গাড়ি উঠেছে। আর বিজয় সরণি র‌্যাম্প ব্যবহার করেছে এক হাজার ৯৪৯টি গাড়ি।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ।

টোল প্লাজাগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বিকাল ৫টা পর্যন্ত কুড়িলে ১১৯৮টি, বিমানবন্দরে ৬৬১৬টি, বনানিতে ১০৯১টি এবং তেজগাঁওয়ে ১৯৪৯টি গাড়ি টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে।

দিনের প্রথমাংশে উত্তরার দিক থেকে আসা গাড়িগুলো সচিবালয় কিংবা মতিঝিলে যেতে বিমানবন্দরের কাওলা র‌্যাম্প ব্যবহার করেছে। বিকেলের ফিরতি যাত্রায় এসব গাড়ি বনানী ও বিজয় সরণি র‌্যাম্প ব্যবহার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী শফিকুল ইসলাম উত্তরার বাসা থেকে সকাল আটটায় বের হয়ে কাকরাইলের অফিসে পৌঁছেন সকাল ৯ টার আগেই। অন্যদিন তার দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যেতো। তবে আজকের সকালটা ছিল ব্যতিক্রম।

তিনি বলেন, আমার জন্য সুবিধা হয়েছে, ফার্মগেট যেতে ৯-১০ মিনিট লেগেছে। এক ঘণ্টা সময়ের তুলনায় ৮০ টাকার টোল তেমন সমস্যা নয়। এখন ফার্মগেট থেকে কাকরাইল যেতে আরও এক ঘণ্টা লেগেছে। পুরো প্রকল্প চালু হলে বাসা থেকে অফিস যেতে তখন ১৫ মিনিট লাগবে। তখন বড় ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচব।

প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সকালে কাওলা ওই অংশ থেকেই বেশি যানবাহন শহরের দিকে ঢোকে। আবার বিকেলে তেজগাঁওয়ের দিক থেকে বেশি যানবাহন যাবে। মাঝখানের পয়েন্টগুলো থেকেও কিছু যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠছে। এখন পর্যন্ত মানুষ জানে না, মাত্র চলাচল শুরু হলো, আরও অনেক যানবাহন এটি ব্যবহার করবে আশা করি।

যানজটে নাকাল রাজধানীবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিতে রাজধানীতে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। রোববার ভোর থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় উড়াল সড়কটি।

তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ের কোথাও কোনো যানবাহন দাঁড়াতে পারবে না এবং যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না। পথচারীরা উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না। অবশ্য ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কেউ কেউ গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলেছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে প্রথম দিন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচলে যানবাহনকে চার শ্রেণিতে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে টোল। এতে সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চার শ্রেণির যানবাহনের মধ্যে কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) ক্ষেত্রে ১৬০ টাকা টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঝারি ধরনের ট্রাকের (৬ চাকা পর্যন্ত) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২০ টাকা এবং বড় ট্রাকের (৬ চাকার বেশি) ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ টাকার মধ্যে টোল এবং ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করা আছে।

তবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীরা চলাচল করতে পারবে না। আর মোটরসাইকেল এখনই চলতে দেয়া হবে না। এছাড়া গাড়ি নিয়ে উড়ালসড়কে দাঁড়ানো ও ছবি তোলা নিষিদ্ধ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মেসি জোড়া গোলের নৈপুন্যে ইন্টার মায়ামির জয়

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এগার ঘণ্টায় প্রায় ৯ লাখ টাকা টোল আদায়

প্রকাশের সময় : ০৮:২৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল চালু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রথম ১১ ঘণ্টায় চলাচল করেছে ১০ হাজার ৮৫৪টি গাড়ি। এই সময়ে আট লাখ ৮৩ হাজার ৫২৯ টাকার টোল আদায় হয়েছে।

বিমানবন্দরের কাওলা র‌্যাম্প থেকে উঠেছে ছয় হাজার ৬১৬টি গাড়ি। কুড়িল থেকে উঠেছে এক হাজার ১৯৮টি, বনানী থেকে এক হাজার ৯১টি গাড়ি উঠেছে। আর বিজয় সরণি র‌্যাম্প ব্যবহার করেছে এক হাজার ৯৪৯টি গাড়ি।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ।

টোল প্লাজাগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বিকাল ৫টা পর্যন্ত কুড়িলে ১১৯৮টি, বিমানবন্দরে ৬৬১৬টি, বনানিতে ১০৯১টি এবং তেজগাঁওয়ে ১৯৪৯টি গাড়ি টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে।

দিনের প্রথমাংশে উত্তরার দিক থেকে আসা গাড়িগুলো সচিবালয় কিংবা মতিঝিলে যেতে বিমানবন্দরের কাওলা র‌্যাম্প ব্যবহার করেছে। বিকেলের ফিরতি যাত্রায় এসব গাড়ি বনানী ও বিজয় সরণি র‌্যাম্প ব্যবহার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী শফিকুল ইসলাম উত্তরার বাসা থেকে সকাল আটটায় বের হয়ে কাকরাইলের অফিসে পৌঁছেন সকাল ৯ টার আগেই। অন্যদিন তার দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যেতো। তবে আজকের সকালটা ছিল ব্যতিক্রম।

তিনি বলেন, আমার জন্য সুবিধা হয়েছে, ফার্মগেট যেতে ৯-১০ মিনিট লেগেছে। এক ঘণ্টা সময়ের তুলনায় ৮০ টাকার টোল তেমন সমস্যা নয়। এখন ফার্মগেট থেকে কাকরাইল যেতে আরও এক ঘণ্টা লেগেছে। পুরো প্রকল্প চালু হলে বাসা থেকে অফিস যেতে তখন ১৫ মিনিট লাগবে। তখন বড় ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচব।

প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সকালে কাওলা ওই অংশ থেকেই বেশি যানবাহন শহরের দিকে ঢোকে। আবার বিকেলে তেজগাঁওয়ের দিক থেকে বেশি যানবাহন যাবে। মাঝখানের পয়েন্টগুলো থেকেও কিছু যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠছে। এখন পর্যন্ত মানুষ জানে না, মাত্র চলাচল শুরু হলো, আরও অনেক যানবাহন এটি ব্যবহার করবে আশা করি।

যানজটে নাকাল রাজধানীবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিতে রাজধানীতে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। রোববার ভোর থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় উড়াল সড়কটি।

তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ের কোথাও কোনো যানবাহন দাঁড়াতে পারবে না এবং যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না। পথচারীরা উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না। অবশ্য ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কেউ কেউ গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলেছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে প্রথম দিন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচলে যানবাহনকে চার শ্রেণিতে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে টোল। এতে সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চার শ্রেণির যানবাহনের মধ্যে কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) ক্ষেত্রে ১৬০ টাকা টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঝারি ধরনের ট্রাকের (৬ চাকা পর্যন্ত) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২০ টাকা এবং বড় ট্রাকের (৬ চাকার বেশি) ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ টাকার মধ্যে টোল এবং ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করা আছে।

তবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীরা চলাচল করতে পারবে না। আর মোটরসাইকেল এখনই চলতে দেয়া হবে না। এছাড়া গাড়ি নিয়ে উড়ালসড়কে দাঁড়ানো ও ছবি তোলা নিষিদ্ধ।