বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দেয়া লোডশেডিং জনজীবনে যে প্রাথমিক ধাক্কা দেয় তাতে সজোরে আঘাত করে তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা। এ ঘোষণার কয়েকঘণ্টা আগে গণমাধ্যমের সাথে আলাপে তেলের দাম সমন্বয়ের কথা জানিয়েছিলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। আভাস দেন বিদ্যুৎ-গ্যাসের দামও বাড়ানোর। তবে কি এই দুটিতেও কেবলই ঘোষণার অপেক্ষা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, সরকারের এ ধরণের চিন্তা কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা। তেলের দামের পাশাপাশি যদি বিদ্যুৎ-গ্যাসের দামও বাড়ানো হয় তবে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা দায় হয়ে দাঁড়াবে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকারের একের পর এক এমন সিদ্ধান্ত দেখে মনে হয় তারা জনগণের সহ্য পরীক্ষা করছে। এখন জনবিরোধী নয়, বরং জনবান্ধব চিন্তা করা উচিত সরকারের।
অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, সরকার এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন যেগুলা জনদুর্ভোগ চরমভাবে বাড়িয়ে তুলছে। একটি মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের এই যে বাড়তি খরচ এটা আসবে কোথা থেকে, আয় তো বাড়ানোর ব্যবস্থা করছে না। এটা একটি বাড়তি বিড়ম্বনা যা সরকার অন্যায্য ভাবে সরকার জনগণের উপর চাপিয়েছে।
মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক ঋণের অযাচিত দায়, জনগণের কাঁধে চাপানোটাও অন্যায় বলে জানান তারা।