নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এখনো ভোটের জন্য দাবি জানাতে হচ্ছে, এটির মতো লজ্জাকর কোনো ঘটনা আর নেই। দেশের সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে, তত দেশের জন্য মঙ্গল হবে। বিশৃঙ্খলা থেকে দেশ রক্ষা পাবে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে আপনি যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিবেন, তত দেশের জন্য মঙ্গল হবে। বিশৃঙ্খলা থেকে দেশ রক্ষা পাবে এবং আপনাদেরও মানসম্মান থাকবে। মানুষ ৫ আগস্টের পর স্বপ্ন দেখেছে তারা যে ১৬ বছর ভোট দিতে পারেনি, হাসিনার পতনের পর দেশের মানুষ ভাবতে শুরু করেছে এবার ভোট দেয়ার দিনটা এসেছে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই আন্দোলনে যারা কখনো ছিল না, তারা এখন সরকার পরিচালনা করছে। আমি তাদের ছোট করছি না। গণতন্ত্র ফেরত চেয়ে রাস্তায় নেমে মিছিল করার কারণে তাদের কারো নামে মামলা ছিল না। এর জন্য সরকারের সমালোচনা করছি না। ভালো একটা কাজ আপনারা করে যান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নাম লেখা থাকবে।
দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপিকে জেতানোর জন্য নির্বাচনের কথা বলছি না। তবে বিএনপি ছাড়া কোনো দ্বিতীয় দল নেই বাংলাদেশ পরিচালনা করার জন্য। কারণ, দলটি গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছে, যত ত্যাগ স্বীকার করেছে, যত নির্মমতা ও নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছে আর কেউ করেনি।
তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়া লন্ডন থেকে যখন দেশে আসলেন, শুধু ঢাকা শহর নয়, সারা বাংলাদেশটা যেন রাস্তায় নেমে এসেছে। সারা দেশটা উদগ্রীব হয়েছিল। তিনি (খালেদা জিয়া) শুধু আমাদের নেত্রীই নন, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের আন্দোলনের প্রতীকে রুপান্তরিত হয়েছে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। হাসিনা করেছে ১৬-১৭ বছর ধরে। কোনোভাবেই সে নির্বাচন মানতে চায়নি। একটা জালিয়াতির নির্বাচন করে ক্ষমতায় ছিল। এত বড় খুনি, গণহত্যাকারী, নির্যাতনকারী, লুটেরা আর এই বাংলাদেশে দ্বিতীয় কেউ জন্মেছে বলে আমার জানা নেই। শেখ হাসিনাকে বিদায় করা হয়েছে গণতন্ত্রের প্রত্যাশায়। এখনো যদি ভোটের কথা দাবি জানাতে হয়, এর থেকে লজ্জা আর কিছু নেই।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই আন্দোলনে যারা কখনোই ছিল না, তারা এখন সরকার পরিচালনা করছে। আমি তাদের ছোট করছি না। গণতন্ত্র চাওয়ার কারণে, রাস্তায় মিছিল করার কারণে হয়নি তাদের বিরুদ্ধে একটা মামলাও হয়নি। এখন আপনারা একটা ভালো কাজ করে যান, ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে আপনাদের নাম থাকবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কোভিদ ব্যাপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কৃষকদলের সাবেক দফতর সম্পাদক এস কে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, রেজাবউদ্দোলা প্রমুখ।