Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এখনো উদ্ধার হয়নি ১৪০০ অস্ত্র, আড়াই লাখ গুলি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হওয়া প্রায় ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র এবং আড়াই লাখ গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চেয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ।

উপদেষ্টা পদ মর্যাদার আব্দুল হাফিজ বলেন, জেলা প্রশাসক হিসেবে আগামী দিনে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে সে বিষয়ে বলেছি। যেমন- আমি বলেছি প্রায় ১৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি, যেগুলো ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হয়েছিল। আড়াই লাখ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। সেগুলো তাদের জেলাতে কোনো না কোনো জায়গায় আছে। সেগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে পড়তে পারে এবং তারা ব্যবহার করতে পারে।

তিনি বলেন, আমি উল্লেখ করেছি স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরা বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হচ্ছে এবং কর্মসূচি দিচ্ছে, তারা দেশকে একটা অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

এখন অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে আরও কোন অপারেশন চালানোর নির্দেশনা তাদের দেওয়া হয়েছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছিল। তার মানে যে অস্ত্র লুট হয়েছিল তার তিন-চতুর্থ অংশের বেশি উধাও। ৬ লাখ গুলির মধ্যে আড়াই লাখ এখনো উদ্ধার হয়নি। তার মানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চলমান যে অভিযান আছে, তার মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভবপর হবে।

সামনে রমজান মাস ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, দ্রব্যমূল্য তাদের (জেলা প্রশাসক) নিজ জেলায় কম রাখতে পারেন সেজন্য চেষ্টা করতে হবে। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেটা যাতে মোকাবিলা করা যায়, কৃষকরা যাতে সেচের উপকরণ এবং কৃষি উপকরণ সময়মতো পান সেসব বিষয় বলেছি।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের তিনটি প্রত্যাশা এবং এই প্রত্যাশাগুলা আকাশচুম্বী নয়। প্রথম বলেছি- জীবন জীবিকার জন্য তারা নিরাপদে চলাফেরা করতে চাই এবং রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চাই। দ্বিতীয় বলেছি- দ্রব্যমূল্য তাদের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে যেন থাকে, এটা তারা দেখতে চায়। আর তিন নম্বরটা বলেছি, যে সার্ভিস বা সেবা সরকারের কাছে তাদের পাওয়ার কথা সেটা যেন কোনো হ্যাচল ছাড়া, কষ্ট ছাড়া, কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া তারা যেন পেতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক যারা আছেন মানুষের জন্য তারাই সরকার। কাজেই যে সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা বিধান করার কথা সেগুলো তাদেরই করতে হবে।

আব্দুল হাফিজ বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য প্রশ্ন ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তার কারণে কয়েকটি জেলায় পর্যটন শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যটন শিল্প ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার ইয়াং জেনারেশন কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ করতে পারি সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।

কুকি চিনের বিষয়ে কী বলা হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কুকি চিনের বিরুদ্ধে আমাদের যে অভিযান সেটা চলছে এবং এ পর্যন্ত কুকি চিনের বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে আমাদের সাতজন সেনা সদস্য নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এ অভিযান চলবে তারা নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, নরসিংদীর ছয়টি ইউনিয়ন চরাঞ্চল, দুর্গম সেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষ হত্যা হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সেখানে অভিযান পরিচালনা করতে চান। সেখানে স্পেশাল অপারেশন দরকার। এই একটা প্রশ্ন ছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

এখনো উদ্ধার হয়নি ১৪০০ অস্ত্র, আড়াই লাখ গুলি

প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হওয়া প্রায় ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র এবং আড়াই লাখ গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চেয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ।

উপদেষ্টা পদ মর্যাদার আব্দুল হাফিজ বলেন, জেলা প্রশাসক হিসেবে আগামী দিনে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে সে বিষয়ে বলেছি। যেমন- আমি বলেছি প্রায় ১৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি, যেগুলো ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হয়েছিল। আড়াই লাখ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। সেগুলো তাদের জেলাতে কোনো না কোনো জায়গায় আছে। সেগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে পড়তে পারে এবং তারা ব্যবহার করতে পারে।

তিনি বলেন, আমি উল্লেখ করেছি স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরা বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হচ্ছে এবং কর্মসূচি দিচ্ছে, তারা দেশকে একটা অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

এখন অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে আরও কোন অপারেশন চালানোর নির্দেশনা তাদের দেওয়া হয়েছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছিল। তার মানে যে অস্ত্র লুট হয়েছিল তার তিন-চতুর্থ অংশের বেশি উধাও। ৬ লাখ গুলির মধ্যে আড়াই লাখ এখনো উদ্ধার হয়নি। তার মানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চলমান যে অভিযান আছে, তার মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভবপর হবে।

সামনে রমজান মাস ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, দ্রব্যমূল্য তাদের (জেলা প্রশাসক) নিজ জেলায় কম রাখতে পারেন সেজন্য চেষ্টা করতে হবে। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেটা যাতে মোকাবিলা করা যায়, কৃষকরা যাতে সেচের উপকরণ এবং কৃষি উপকরণ সময়মতো পান সেসব বিষয় বলেছি।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের তিনটি প্রত্যাশা এবং এই প্রত্যাশাগুলা আকাশচুম্বী নয়। প্রথম বলেছি- জীবন জীবিকার জন্য তারা নিরাপদে চলাফেরা করতে চাই এবং রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চাই। দ্বিতীয় বলেছি- দ্রব্যমূল্য তাদের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে যেন থাকে, এটা তারা দেখতে চায়। আর তিন নম্বরটা বলেছি, যে সার্ভিস বা সেবা সরকারের কাছে তাদের পাওয়ার কথা সেটা যেন কোনো হ্যাচল ছাড়া, কষ্ট ছাড়া, কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া তারা যেন পেতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক যারা আছেন মানুষের জন্য তারাই সরকার। কাজেই যে সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা বিধান করার কথা সেগুলো তাদেরই করতে হবে।

আব্দুল হাফিজ বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য প্রশ্ন ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তার কারণে কয়েকটি জেলায় পর্যটন শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যটন শিল্প ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার ইয়াং জেনারেশন কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ করতে পারি সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।

কুকি চিনের বিষয়ে কী বলা হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কুকি চিনের বিরুদ্ধে আমাদের যে অভিযান সেটা চলছে এবং এ পর্যন্ত কুকি চিনের বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে আমাদের সাতজন সেনা সদস্য নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এ অভিযান চলবে তারা নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, নরসিংদীর ছয়টি ইউনিয়ন চরাঞ্চল, দুর্গম সেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষ হত্যা হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সেখানে অভিযান পরিচালনা করতে চান। সেখানে স্পেশাল অপারেশন দরকার। এই একটা প্রশ্ন ছিল।