Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একদিকে বিজয় আনন্দ,অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে উদ্বিগ্ন : আব্বাস

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি :

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজ আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বিজয় আনন্দ করছি। আমার মনে হচ্ছিল ঈদের আগে চাঁদ রাত পালন করছি। একদিকে বিজয় আনন্দ, আরেক দিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২ টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার থেকে বিদেশের চিকিৎসা দিতে সুযোগ দিচ্ছে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমি ম্যাডামকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ্য। আমি তখন ম্যাডামকে বলে এসেছি সারাদেশবাসী অত্যন্ত চিন্তিত। মানুষ আপনার জন্য দোয়া করছেন। সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবো।

তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে একটি দেশ চলতে পারে না। কারও রাজত্ব কায়েম করার জন্য এ দেশ স্বাধীন হয়নি। দেশটা হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। হিরক রাজার প্রথম দিকে যেমন ভালো ছিল, শেষের দিকে কিন্তু তেমন ভালো ছিল না। দড়ি ধরে টান দেওয়ার সময় এসেছে। বর্তমান সরকারের অবস্থায় হীরক রাজার মতই হবে। তাই জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান। দেশ থেকে যে টাকা পাচার হয়েছে তা পাই পাই করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, একদিন গণতন্ত্র অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লড়াই। কিছু দিন আগে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছিলাম। তিনি আমার দিকে চেয়ে ছিলেন, তার চাহনিতে প্রশ্ন ছিল। তিনি আমাকে বলতে চেয়েছেন তোমরা আমার জন্য কি করেছো। তিনি বলতে চেয়েছেন আমি কি দেশের জন্য কিছু করি নাই। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিই নাই। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিই নাই। তিনি আমাকে কথা গুলো বলতে চাইছেন। আমি তার কোনো উত্তর দিতে পারি নাই।

সরকার অর্থনীতি শেষ করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির খুব খারাপ অবস্থা। বাংলাদেশে এখন ডলারের রিজার্ভ নাই বললেই চলে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের খেলাপী ঋণ ছিল ২১ হাজার কোটি টাকা। আজকে বাংলাদেশে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ১০৯ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কে খেল, এই টাকা গেল কোথায়? আপনার টাকা, আমার টাকা, জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এই টাকা কোথায় গেল জনগণ জানতে চায়?

মির্জা আব্বাস বলেন, দেশ আজ মারাত্মক হারে ঋণ খেলাপিতে দাঁড়িয়েছে। কারা এ অর্থ পাচার করেছে তা ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করা হবে। এ অর্থের হিসাব পই পই করে দিতে হবে। এতে দেশের জনগণের হক আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশকে বর্তমান সরকার হিরক রাজার দেশে পরিণত করেছে। তাই হিরক রাজার যেমন শেষ পরিণতি হয়েছিল আপনাদেরও তাই হবে।

এদিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বর্তমান সরকারকে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় করতে পারবো না ততোক্ষণ আমরা রাস্তা ছাড়বো না। শয়তানীর একটা সীমা আছে, আপনি চোরের প্রধানমন্ত্রী। আপনি নেতাকর্মীদের বন্দি রেখেছেন। তাই বলছি সময় থাকতে মুক্তি দেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, নির্দলীয় সরকার গঠন করেন। নইলে মার যদি জনগণ শুরু করে তাহলে রেহাই পাবেন না।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সমাবেশে বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিত, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান বক্তব্য দেন।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

একদিকে বিজয় আনন্দ,অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে উদ্বিগ্ন : আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি :

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজ আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বিজয় আনন্দ করছি। আমার মনে হচ্ছিল ঈদের আগে চাঁদ রাত পালন করছি। একদিকে বিজয় আনন্দ, আরেক দিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২ টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার থেকে বিদেশের চিকিৎসা দিতে সুযোগ দিচ্ছে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমি ম্যাডামকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ্য। আমি তখন ম্যাডামকে বলে এসেছি সারাদেশবাসী অত্যন্ত চিন্তিত। মানুষ আপনার জন্য দোয়া করছেন। সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবো।

তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে একটি দেশ চলতে পারে না। কারও রাজত্ব কায়েম করার জন্য এ দেশ স্বাধীন হয়নি। দেশটা হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। হিরক রাজার প্রথম দিকে যেমন ভালো ছিল, শেষের দিকে কিন্তু তেমন ভালো ছিল না। দড়ি ধরে টান দেওয়ার সময় এসেছে। বর্তমান সরকারের অবস্থায় হীরক রাজার মতই হবে। তাই জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান। দেশ থেকে যে টাকা পাচার হয়েছে তা পাই পাই করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, একদিন গণতন্ত্র অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লড়াই। কিছু দিন আগে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছিলাম। তিনি আমার দিকে চেয়ে ছিলেন, তার চাহনিতে প্রশ্ন ছিল। তিনি আমাকে বলতে চেয়েছেন তোমরা আমার জন্য কি করেছো। তিনি বলতে চেয়েছেন আমি কি দেশের জন্য কিছু করি নাই। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিই নাই। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিই নাই। তিনি আমাকে কথা গুলো বলতে চাইছেন। আমি তার কোনো উত্তর দিতে পারি নাই।

সরকার অর্থনীতি শেষ করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির খুব খারাপ অবস্থা। বাংলাদেশে এখন ডলারের রিজার্ভ নাই বললেই চলে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের খেলাপী ঋণ ছিল ২১ হাজার কোটি টাকা। আজকে বাংলাদেশে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ১০৯ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কে খেল, এই টাকা গেল কোথায়? আপনার টাকা, আমার টাকা, জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এই টাকা কোথায় গেল জনগণ জানতে চায়?

মির্জা আব্বাস বলেন, দেশ আজ মারাত্মক হারে ঋণ খেলাপিতে দাঁড়িয়েছে। কারা এ অর্থ পাচার করেছে তা ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করা হবে। এ অর্থের হিসাব পই পই করে দিতে হবে। এতে দেশের জনগণের হক আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশকে বর্তমান সরকার হিরক রাজার দেশে পরিণত করেছে। তাই হিরক রাজার যেমন শেষ পরিণতি হয়েছিল আপনাদেরও তাই হবে।

এদিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বর্তমান সরকারকে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় করতে পারবো না ততোক্ষণ আমরা রাস্তা ছাড়বো না। শয়তানীর একটা সীমা আছে, আপনি চোরের প্রধানমন্ত্রী। আপনি নেতাকর্মীদের বন্দি রেখেছেন। তাই বলছি সময় থাকতে মুক্তি দেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, নির্দলীয় সরকার গঠন করেন। নইলে মার যদি জনগণ শুরু করে তাহলে রেহাই পাবেন না।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সমাবেশে বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিত, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান বক্তব্য দেন।