বিনোদন ডেস্ক :
ঘরোয়া আয়োজনে মেতে উঠলেন অভিনয় জগতের জীবন্ত কিংবদন্তিরা । সম্প্রতি প্রাণবন্ত আড্ডার মাঝে এক ফ্রেমে ক্যামেরাবন্দি হতে দেখা গেল বর্ষীয়ান তারকাদের।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জনপ্রিয় অভিনেতা মাসুদ আলী খানের বাড়িতে বসে ঘরোয়া পরিসরে এক প্রাণবন্ত আড্ডা। যেখানে উপস্থিত সব তারকারই বয়স ছিল ৭০-এর ওপর। এত গুণী ও বর্ষীয়ান সব তারকাকে একসঙ্গে দেখে আপ্লুত ভক্তরাও।
টানা পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এমন একটি ঘরোয়া আড্ডার তারিখ চূড়ান্ত করেন। শত ব্যস্ততার মাঝে প্রবীণ শিল্পীরাও ভীষণ আগ্রহ নিয়ে সাড়া দেয় এমন আয়োজনে অংশ নিতে। ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠতে উপস্থিত ছিলেন দিলারা জামান, আবুল হায়াত, আমিরুল হক চৌধুরী, আসাদুজ্জামান নূর, খায়রুল আলম সবুজসহ আরো অনেকে।
তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য আড্ডায় অংশ নিতে পারেননি অভিনেত্রী মীরানা জামান ও ডলি জহুর। তাই আগামী মাসের শেষের দিকে আবারও এমন আয়োজন বড় পরিসরে করার ইচ্ছা রয়েছে সবার।
বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে প্রাণবন্ত এই আড্ডা। দীর্ঘদিন পর শিল্পীদের দেখা হয় একে অন্যের সঙ্গে। পুরোটা সময় দারুণ আনন্দে কাটিয়েছেন তারা। বিশেষ করে মাসুদ আলী খানকে কাছে পেয়ে সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। পুরোনো দিনের নানা গল্পে মগ্ন হয়ে ওঠেন।
আড্ডার একসময় আসাদুজ্জামান নূরের আহ্বানে গান গেয়ে শোনান শিল্পী রাইসা ও তার ছোট বোন প্রতিভা। আড্ডার শেষ পর্যায়ে প্রয়াস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদারের সৌজন্যে উপহার তুলে দেওয়া হয় অভিনেতা মাসুদ আলী খানের হাতে।
গুণী অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘জীবনের অনন্য সাধারণ কিছু মুহূর্ত পার করলাম। আগামী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ রেখে গেলাম যে আমরা এই বয়সেও বিচ্ছিন্ন নই। সবার কাছে দোয়া চাই। অবশ্যই ধন্যবাদ নূর ও অভিকে।
আবুল হায়াত বলেন, ‘আমার মনে হলো এটাই একটা বড় উৎসব। এ ধরনের উৎসব জীবনের এই পর্যায়ে এসে ভীষণ প্রয়োজন। বিশেষ ধন্যবাদ নূর ও অভিকে।’
আমীরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মাসুদ ভাইকে দেখতে আসার খুব ইচ্ছে ছিল, আমার সেই ইচ্ছেটা পূরণ হলো।’
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘একসঙ্গে হওয়ার ইচ্ছেটা অনেক দিনের। তাই অভির এই উদ্যোগের কথা শুনে আমিও এগিয়ে এলাম আগ্রহ নিয়ে। আশা করছি মাঝেমধ্যেই এ ধরনের চমৎকার আড্ডার আয়োজন করা যাবে।’
খায়রুল আলম সবুজ বলেন, ‘অনেক দিন পর আমরা একসঙ্গে হলাম। ভালো সময় কাটালাম। এই বয়সে এমন নির্ভেজাল একটি আড্ডা মনকে ফুরফুরে করে দেয়। আমি চাই এমন আয়োজন নিয়মিত হোক।’
মাসুদ আলী খান সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আমি তোমাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ যে তোমরা সবাই আমাকে দেখতে এসেছো। এই ৯৪ বছর বয়সে আরও বহুদিন বাঁচার সাহস পেলাম। নূর ও অভির কাছে ঋণী হয়ে গেলাম।’
পুরো আয়েজনটির জন্য মাসুদ আলী খানের স্ত্রী তাহমিনা খান সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।