আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় বুধবার (৩ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, নিখোঁজ মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এর সন্ধান আবারো ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। বেইজিংগামী এই ফ্লাইটটি নিখোঁজ হওয়ার এক দশকেরও বেশি সময় পরে অনুসন্ধান পুনরায় শুরু হচ্ছে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এই নিখোঁজ ফ্লাইটটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিমান চলাচল সংক্রান্ত সবচেয়ে রহস্যময় ঘটনাগুলোর একটি।
২০১৪ সালে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ২২৭ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর থেকে বিমানটির সন্ধানে একাধিক অনুসন্ধান অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু সবগুলোই ব্যর্থ হয়।
সবশেষ অনুসন্ধান অভিযানটি দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে চালানো হয়েছিল। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়। পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান ওশান ইনফিনিটি নিশ্চিত করেছে যে তারা দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের সাগরতলে ৫৫ দিন ধরে খোঁজ চালাবে। অনুসন্ধান চলবে পর্যায়ক্রমে এবং খোঁজা হবে সেসব এলাকায় যেগুলোকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ওশান ইনফিনিটি ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিমানটির জন্য অনুসন্ধান চালিয়েছিল কিন্তু উল্লেখযোগ্য ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়নি। বিগত বছরগুলোতে আফ্রিকার উপকূল ও ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপে প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ বলে ধারণা করা কিছু অংশ পাওয়া গেছে।
২০১৮ সালের ৪৯৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বোয়িং ৭৭৭-এর নিয়ন্ত্রণ ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করে দিকভ্রষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তকারীরা কে দায়ী তা নির্ধারণ করতে পারেননি এবং কী ঘটেছে সে সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। তারা বলেন, এমন প্রশ্নের উত্তর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে।
তদন্তকারীরা বলেন, পাইলট ও কো-পাইলটের আর্থিক অবস্থা, ব্যক্তিগত তথ্য বা মানসিক স্বাস্থ্য- কোনো বিষয়েই সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৫০ জনের বেশি চীন এবং ৫০ জন মালয়েশিয়ার নাগরিক ছিলেন। এছাড়া ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও কানাডার নাগরিকও ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 





















