Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে, বাংলাদেশকে রক্ষা করা কঠিন হবে : দুদু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে, বাংলাদেশকে রক্ষা করা কঠিন হবে। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশকে যদি সত্যিকারের বাংলাদেশ রাখতে হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক, মানবাধিকারের, স্বাধীনতার বাংলাদেশ গড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন-এর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও সাবেক এমপি আহসান হাবীব লিংকনের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সত্যিকারের বাংলাদেশ গড়তে হলে মানবাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ গড়তে হবে। আর সেজন্য এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।

দুদু বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা আজ এরকম যে আপনি স্বাভাবিকভাবে কোনো কাজ করতে পারবেন না। রাস্তায় বের হলে, বাজারে গেলে, চিকিৎসা করতে গেলেও চিকিৎসা পাবেন না, আপনি যত বড় কর্তাই হন না কেন! মামলায় জামিন নিতে গেলে আপনি জামিন পাবেন না যদি এই সরকারের কৃপায় না থাকেন। আর যদি আপনি এই সরকারের কৃপায় থাকেন তাহলে আপনাকে ব্যাংক লুট করতে হবে। দুর্নীতির চরম শিখায় পৌঁছাবেন কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে কোনো তদন্তই হবে না।

তিনি বলেন, লুটেরা, গণতন্ত্র হত্যাকারী এরা এখন বাংলাদেশের প্রভুত্ব করছেন। আজ যাদেরকে নিয়ে এ অনুষ্ঠান তারা নির্বাচন করলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারাই জিতবে। আর এই কারণে তাদেরকে সাজা দেওয়া হয়েছে। হাবিবুর রহমান হাবিব ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের নেতা। যদি স্বাভাবিক সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তিনি জিতবেন। নির্বাচন করতে না দেওয়ার জন্য তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। আহসান হাবীব লিংকন একটা পার্টির মহাসচিব, একাধিকবারের সংসদ সদস্য। একই কারণে তাকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। গায়েবি মামলার সাজা হয়। লুটেরা দুর্নীতিকারীদের মামলার সাজা হয় না। তারা মন্ত্রী-এমপি হয় পার্লামেন্টে থাকে।

ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা, ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। সেজন্য পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। সেই বাংলাদেশকে পাকিস্তানিদের কায়দায় শোষণ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ওপর ভর করেছে। এদের থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।

দুদু বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে স্বাভাবিক জীবন তো দূরে, উন্নত চিকিৎসাও বন্ধ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। তারেক রহমান সুদূর লন্ডন থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নামেও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু ও ভালো নির্বাচন চাচ্ছি। আর এ কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে বলছি। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ চাচ্ছি এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন চাচ্ছি। আওয়ামী লীগ একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল। তত্ত্বাবধায়কের জন্য আন্দোলন করেছিল। কিন্তু এখন তত্ত্বাবধায়ক দিতে ভয় পায়। কারণ, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায়।

কৃষকদলের সাবেক এ আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা অবরোধ করলে নাকি মতিঝিলে শাপলা চত্বরের মতো অবস্থা করা হবে। অনেকে বলেছেন হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে। এগুলো সুস্থ চিন্তার লক্ষণ নয়। এত ভাঙাভাঙি না করাই ভালো। নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন ভালো। নির্বাচনে হার-জিত আছে, এতে কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই।

সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, কৃষকদলের সাবেক নেতা এসকে সাদী ও জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে, বাংলাদেশকে রক্ষা করা কঠিন হবে : দুদু

প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে, বাংলাদেশকে রক্ষা করা কঠিন হবে। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশকে যদি সত্যিকারের বাংলাদেশ রাখতে হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক, মানবাধিকারের, স্বাধীনতার বাংলাদেশ গড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন-এর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও সাবেক এমপি আহসান হাবীব লিংকনের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সত্যিকারের বাংলাদেশ গড়তে হলে মানবাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ গড়তে হবে। আর সেজন্য এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।

দুদু বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা আজ এরকম যে আপনি স্বাভাবিকভাবে কোনো কাজ করতে পারবেন না। রাস্তায় বের হলে, বাজারে গেলে, চিকিৎসা করতে গেলেও চিকিৎসা পাবেন না, আপনি যত বড় কর্তাই হন না কেন! মামলায় জামিন নিতে গেলে আপনি জামিন পাবেন না যদি এই সরকারের কৃপায় না থাকেন। আর যদি আপনি এই সরকারের কৃপায় থাকেন তাহলে আপনাকে ব্যাংক লুট করতে হবে। দুর্নীতির চরম শিখায় পৌঁছাবেন কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে কোনো তদন্তই হবে না।

তিনি বলেন, লুটেরা, গণতন্ত্র হত্যাকারী এরা এখন বাংলাদেশের প্রভুত্ব করছেন। আজ যাদেরকে নিয়ে এ অনুষ্ঠান তারা নির্বাচন করলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারাই জিতবে। আর এই কারণে তাদেরকে সাজা দেওয়া হয়েছে। হাবিবুর রহমান হাবিব ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের নেতা। যদি স্বাভাবিক সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তিনি জিতবেন। নির্বাচন করতে না দেওয়ার জন্য তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। আহসান হাবীব লিংকন একটা পার্টির মহাসচিব, একাধিকবারের সংসদ সদস্য। একই কারণে তাকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। গায়েবি মামলার সাজা হয়। লুটেরা দুর্নীতিকারীদের মামলার সাজা হয় না। তারা মন্ত্রী-এমপি হয় পার্লামেন্টে থাকে।

ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা, ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। সেজন্য পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। সেই বাংলাদেশকে পাকিস্তানিদের কায়দায় শোষণ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ওপর ভর করেছে। এদের থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।

দুদু বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে স্বাভাবিক জীবন তো দূরে, উন্নত চিকিৎসাও বন্ধ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। তারেক রহমান সুদূর লন্ডন থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নামেও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু ও ভালো নির্বাচন চাচ্ছি। আর এ কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে বলছি। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ চাচ্ছি এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন চাচ্ছি। আওয়ামী লীগ একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল। তত্ত্বাবধায়কের জন্য আন্দোলন করেছিল। কিন্তু এখন তত্ত্বাবধায়ক দিতে ভয় পায়। কারণ, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায়।

কৃষকদলের সাবেক এ আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা অবরোধ করলে নাকি মতিঝিলে শাপলা চত্বরের মতো অবস্থা করা হবে। অনেকে বলেছেন হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে। এগুলো সুস্থ চিন্তার লক্ষণ নয়। এত ভাঙাভাঙি না করাই ভালো। নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন ভালো। নির্বাচনে হার-জিত আছে, এতে কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই।

সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, কৃষকদলের সাবেক নেতা এসকে সাদী ও জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।