টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, অল্প কিয়েকদিনের মধ্যে একটা বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। এটাকে বিপ্লব বলা চলে, মহাবিপ্লবও বলা চলে। এই বিপ্লব যদি ব্যর্থ হয়, তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সেই জন্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সফলতা ধরে রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ার নির্জনের টাঙ্গাইল শহরের করের বেতকা বাড়িতে তার স্বজনদের সঙ্গে সমবেদনা ও স্বাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, গত ১৬-১৭ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা ভালো চলে নাই। অনেকে মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে দেশ ভালো চলে নাই, আমি বলবো না। আওয়ামী লীগের সরকারও ছিলো না, মানুষের সরকারও ছিলো না। শেখ হাসিনার সরকার ছিলো। যতকিছু অন্যায় কাজ হয়েছে তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা, বাকি ১০ ভাগ অন্যায় কাজ বাধ্য হয়ে হয়তো ২-৪ জনে করেছে। এর পরিবর্তন দরকার।
তিনি বলেন, দেশটা কেমন জানি হয়েছে গেছে। মানবিক মূল্যবোধ একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। একটা সেনাবাহানীর গায়ে ডাকাত, লস্কর, চোর আঘাত হানতে পারে। তাহলে বুঝতে হবে সমাজে আইন-কানুন বলতে কিছু নাই। সেনাবাহিনীর পোশাক পড়া একজন মানুষের গায়ে দুস্কৃতিকারীরা যখন আঘাত হানতে পারে বা সাহস পায় তখন বুঝতে হবে আইন শৃঙ্খলা বলতে অথবা দেশের শাসন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে একটা শ্রদ্ধা ভালোবাসা, দুষ্ট লোকের যে ভয় থাকে তা নেই।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, সেনাবাহিনীর পোশাক পরা এক মানুষের গায়ে দুষ্কৃতকারীরা যখন আঘাত করতে পারে তাহলে বুঝতে হবে দেশে আইন-শৃঙ্খলা বলে অথবা দেশে শাসন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধা ভালোবাসা এবং দুষ্টু লোকের যে ভয় থাকে তা কিছুই নেই। সমাজটাকে বদলাতে হবে।
তিনি বলেন, আমি রাজনীতিকে ইবাদতের মতো মনে করে রাজনীতি করি। এজন্য আমি প্রচুর সম্মান পেয়েছি। প্রচুর অসম্মানও পেয়েছি। গালাগালিও শুনেছি। এতদিন বেঁচে না থাকলে আমি গালাগালি শুনতাম না। আমি যদি ৭১ এর যুদ্ধ করতে না পারতাম যারা গালাগালি করেন তাদের অধিকাংশের জন্ম হয়তো পাকিস্তানের জারজ হিসেবে হতে পারত।
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি 




















