বরিশাল জেলা প্রতিনিধি :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার, প্রার্থী, গণমাধ্যমকর্মীসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এই নির্বাচনে সাংবাদিকদের গায়ে যদি কেউ আঁচড় দেয় তার শাস্তি হবে। ছোট বিষয়েও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, পূর্বের নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্য হয়েছে। সেই সব নির্বাচনগুলোতে যেসব ভুলভ্রান্তি হয়েছে তা শুধরে নিয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আরও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চাই।
আহসান হাবিব খান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, চুরি করলে চোরকে চোর বলুন, সে যেই হোক। সাংবাদিকদের সঙ্গে কমিশন, র্যাব-পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ সকল প্রশাসন থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। আপনারা সঠিক তথ্য উপস্থাপন করায়, সেই তথ্যকে প্রাধান্য দিয়ে অ্যাকশন নিয়েছি। স্বচ্ছতা, সততা ও সঠিকতার কোনো বিকল্প নেই, যা আপনারা প্রমাণ করেছেন বস্তুনিষ্ঠ সঠিক তথ্য পরিবেশন করে।
তিনি বলেন, আমরা ভালো করলে ভালো, খারাপ করলে খারাপ বিষয়গুলো প্রচার করুন। নির্বাচনে কারও কোনো প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই। আমি সংসদ সদস্যদের অনুরোধ জানিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও জানাবো, যাতে উপজেলা নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার না করেন। আর প্রশাসনকে আমি বলেছি যেন তারা বিনয়ের ব্যবহার করেন এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা বলেন। তবে অনিয়ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ ও আইন প্রয়োগ শতভাগ অব্যাহত থাকবে।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ভোটার কিন্তু প্রার্থীদেরই ভোট দিবে, সুতরাং ভোটারদের কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের। ভোটার উপস্থিতি যদি বলেন, তাহলে সর্বোশেষ একটা নির্বাচনে পটুয়াখালীর আমতলীতে ইভিএমএ-৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। একটা ভোটও জালিয়াতি হয়নি। সুতরাং নিশ্চিন্তে থাকেন ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি হবে। আর এজন্য প্রয়োজনে প্রচারের ব্যবস্থাও করা হবে। তিনি আরও বলেন, অতীতের থেকেও একমাত্রায় বেশি সুন্দর নির্বাচন চাই। তার থেকে যেন নীচে না নামি, সেভাবে প্রশাসন আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সকলের সহযোগিতা ছাড়া সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী, রেঞ্জ ডিআইজি মো. জামিল হাসান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।