নিজস্ব প্রতিবেদক :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনী ব্যয় সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া নারী সদস্যদের নির্বাচনী ব্যয় এক লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে জামানত এক লাখ টাকা, ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার এবং নারী সদস্যের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারণায় একটির বেশি শব্দযন্ত্র (মাইক) বা জনসভায় চারটির বেশি শব্দযন্ত্রের (মাইকের) ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিসের আয়তন ৬০০ বর্গফুটের বেশি হতে পারবে না। চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ইসি।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ২৮তম কমিশন সভায় ইসি এ অনুমোদন দেয় বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার ক্ষেত্রে ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দেওয়ার বিধান বাতিল; প্রতীক বরাদ্দের আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে সর্বোচ্চ ৫ জন লোক নিয়ে জনসংযোগ করতে পারবেন প্রার্থীরা; কোনো পদে সমান ভোট পেলে পুনরায় ভোটের পরিবর্তে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ; প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ না পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত।
ইসি সচিব বলেন, পোস্টার, ব্যানার সাদা-কালো অথবা রঙিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচরণার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাঁচজনের অধিক কর্মী বা সমর্থককে নিয়ে জনসংযোগ করা যাবে না। প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং পৌরসভার প্রতি ৩টি ওয়ার্ডে একটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস রাখা যাবে না। শব্দদূষণ প্রতিরোধে শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মান মাত্রা ৬০ ডেসিবলের অতিরিক্ত হতে পারবে না। প্রচারণায় পোস্টার বা ব্যানারে পলিথিনের ব্যবহার করা যাবে না।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক। সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ অপেক্ষা কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্তের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জাহাংগীর আলম বলেন, মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে তৃতীয় লিঙ্গ অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটগ্রহণে কমিশনের ক্ষমতার বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে। ভোটে মনিটরিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হওয়ায় প্রতীক অন্তর্ভুক্তি-সংশোধনের প্রস্তাবও উঠেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা-২০১৩ এর সংশোধনীতে ২৬টি এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ এ সংশোধনীর কাজে হাত দেয় ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি।
ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির সভাপতি নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় প্রাথমিক খসড়ার প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। মঙ্গলবার সেটি কমিশন সভায় উপস্থাপনের পর কিছু কাটছাঁট করে অনুমোদন দেয় কমিশন।
ইতোমধ্যে ইসি জানিয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপ ৪ মে ১৫৩টি, দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে ১১১টি এবং চতুর্থ ধাপ ২৫ মে ৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















