Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের চলমান কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর উত্তরায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে সকাল থেকে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই ভরে যায় প্রতিষ্ঠানটির সামনের সড়ক। শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। এসময় স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে ঢাকার উত্তরায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে গণমিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও অভিভাবক। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভের কারণে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ দিন প্রথমে সমাবেশ করে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে চারপাশ। স্লোগানগুলোর মধ্যে ছিল, ‘তোমার কোটা তুমি নাও, আমার ভাইকে ফিরিয়ে দাও’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই, ’ ‘সামনে আসছে ফাল্গুন, আমরা হব দ্বিগুণ’ ইত্যাদি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলেন তারা। কিন্তু সেখানে কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই ছাত্রলীগ হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাদের আন্দোলন দমানোর জন্য গুলি চালিয়ে নির্বিচার অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। হত্যার পর বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারা যেকোনো মূল্যে এ ধরনের অন্যায় বন্ধের দাবি জানান।

সকাল থেকেই কর্মসূচিতে অংশ নিতে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমাবেশে অংশ নেন কলেজের অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক। তারাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্লোগান ধরেন।

তারা বলেন, এ ধরনের অন্যায়ের বিচার চাই। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মেয়ের সঙ্গে কর্মসূচিতে এসেছি।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুক্রবার (২ আগস্ট) ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। সেদিন বিকেলে এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণহত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন এবং জুমার নামাজ শেষে ছাত্র-জনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উত্তরায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

প্রকাশের সময় : ০৪:০৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের চলমান কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর উত্তরায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে সকাল থেকে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই ভরে যায় প্রতিষ্ঠানটির সামনের সড়ক। শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। এসময় স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে ঢাকার উত্তরায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে গণমিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও অভিভাবক। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভের কারণে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ দিন প্রথমে সমাবেশ করে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে চারপাশ। স্লোগানগুলোর মধ্যে ছিল, ‘তোমার কোটা তুমি নাও, আমার ভাইকে ফিরিয়ে দাও’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই, ’ ‘সামনে আসছে ফাল্গুন, আমরা হব দ্বিগুণ’ ইত্যাদি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলেন তারা। কিন্তু সেখানে কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই ছাত্রলীগ হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাদের আন্দোলন দমানোর জন্য গুলি চালিয়ে নির্বিচার অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। হত্যার পর বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারা যেকোনো মূল্যে এ ধরনের অন্যায় বন্ধের দাবি জানান।

সকাল থেকেই কর্মসূচিতে অংশ নিতে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমাবেশে অংশ নেন কলেজের অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক। তারাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্লোগান ধরেন।

তারা বলেন, এ ধরনের অন্যায়ের বিচার চাই। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মেয়ের সঙ্গে কর্মসূচিতে এসেছি।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুক্রবার (২ আগস্ট) ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। সেদিন বিকেলে এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণহত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন এবং জুমার নামাজ শেষে ছাত্র-জনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।’