Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরবঙ্গ বিভিন্নভাবে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার : জিএম কাদের

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : 

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, উত্তরবঙ্গ বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। আমাদের জাতীয় পার্টি মোটামুটি একটা উত্তরবঙ্গের দল। হয়তো সে কারণেও বিভিন্নভাবে বঞ্চনার শিকার। রংপুর সিটি কর্পোরেশন আয়তনের দিক থেকে বিশাল। কিন্তু এখানে বরাদ্দ খুব সামান্য দেওয়া হয়। এটাও উত্তরবঙ্গের প্রতি একটা বৈষম্য, বিশেষ করে রংপুর বিভাগের প্রতি। আরেকটা বৈষম্য জাতীয় পার্টির প্রতি।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর চেম্বার ভবনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যৌথ উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চল উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষ হিসেবে রাজনীতি, অর্থনীতি, জাতীয় বরাদ্দ সব দিক থেকে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। আমাাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়। জাতীয়ভাবে উন্নয়ন বরাদ্দ কম দেওয়া হয়। তাই রংপুরের উন্নয়ন করতে হলে ‘রংপুরে শিল্পায়ন দরকার।

জিএম কাদের বলেন, রংপুরে শিল্পকলকারখানা গড়ে না উঠলে এখানে গ্যাস আসবে না। গ্যাস এখন বিশ্বব্যাপী অনেক এক্সপেনসিভ হয়েছে। সরকার বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ দেবে না। কেননা এটা আর লাভজনক নয়। সরকার এখন শিল্প-কলকারখানায় গ্যাস দেবে। কাজেই রংপুরে যখন শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে, তখন সরকার নিজের থেকেই দেবে। আমরা রংপুরে শিল্পায়ন ও শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করব। সেই সাথে গ্যাস সংযোগের জন্য চেষ্টা করব। এটা সম্ভব হলে এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বেকার সমস্যার সমাধান হবে। এগিয়ে যাবে রংপুর।

জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমরা হয়তো অনেক সময় সফল হতে পারছি না। তার জন্য আমরা নিরাশ নই। সামনের দিকে আল্লাহর রহমতে আমরা যদি সংসদে যাই, তখন আমরা জোরালো ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে হলেও রংপুরের জন্য আমাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায় করব। আমার কাছে মনে হয় রংপুর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন এখন বড় সমস্যা। অল্প বৃষ্টি হলেই শহরে পানি জমে যায়। এটা শুধু রংপুরে নয় বাংলাদেশের প্রায় বড় বড় শহরগুলো এমন সমস্যা রয়েছে। পয়নিষ্কাশনের জন্য শ্যামাসুন্দরী খালকে যেমন খনন করা দরকার, তেমনি আরও কিছু খালের ব্যবস্থা করা।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগে শহরের পাড়া-মহল্লায় ছোট-বড় একটা করে পুকুর বা কুয়া থাকত। খেলার মাঠ থাকত, আরেকটা করে প্রাইমারি স্কুল থাকত। এসব সরকারি তরফ থেকে বা স্বায়ত্বশাসিতভাবে দেওয়া হতো। এখন শহর সম্প্রসারিত হওয়ার কারণে আমাদের বেসিক নিডসগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আগুন লাগলে পানি দেওয়ার মতো কোনো পুকুর-খাল-বিল কিছু নেই সব ভরাট হয়ে গেছে। রংপুর শহরের জন্য একটা মাস্টারপ্ল্যান দরকার। ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য এটা জরুরি।’

এ সময় নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্ধীদের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থীর মঙ্গল কামনা করে বলেন, আমি মনে করে ওনার (তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী) আরও উত্তরোত্তর মঙ্গল হোক। আমি ওনার ভালো কামনা করি। আমার যদি সুযোগ থাকত আমি ওনাকে প্রমোট করতাম। ওনি যাতে আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারেন এজন্য আমি তাকে সহযোগিতা করব।

মতবিনিময় সভায় রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আকবর আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন-জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ও জেলা সভাপতি এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর-৩ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এস এম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্যরা।

আবহাওয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

উত্তরবঙ্গ বিভিন্নভাবে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার : জিএম কাদের

প্রকাশের সময় : ০৮:০০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : 

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, উত্তরবঙ্গ বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। আমাদের জাতীয় পার্টি মোটামুটি একটা উত্তরবঙ্গের দল। হয়তো সে কারণেও বিভিন্নভাবে বঞ্চনার শিকার। রংপুর সিটি কর্পোরেশন আয়তনের দিক থেকে বিশাল। কিন্তু এখানে বরাদ্দ খুব সামান্য দেওয়া হয়। এটাও উত্তরবঙ্গের প্রতি একটা বৈষম্য, বিশেষ করে রংপুর বিভাগের প্রতি। আরেকটা বৈষম্য জাতীয় পার্টির প্রতি।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর চেম্বার ভবনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যৌথ উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চল উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষ হিসেবে রাজনীতি, অর্থনীতি, জাতীয় বরাদ্দ সব দিক থেকে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। আমাাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়। জাতীয়ভাবে উন্নয়ন বরাদ্দ কম দেওয়া হয়। তাই রংপুরের উন্নয়ন করতে হলে ‘রংপুরে শিল্পায়ন দরকার।

জিএম কাদের বলেন, রংপুরে শিল্পকলকারখানা গড়ে না উঠলে এখানে গ্যাস আসবে না। গ্যাস এখন বিশ্বব্যাপী অনেক এক্সপেনসিভ হয়েছে। সরকার বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ দেবে না। কেননা এটা আর লাভজনক নয়। সরকার এখন শিল্প-কলকারখানায় গ্যাস দেবে। কাজেই রংপুরে যখন শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে, তখন সরকার নিজের থেকেই দেবে। আমরা রংপুরে শিল্পায়ন ও শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করব। সেই সাথে গ্যাস সংযোগের জন্য চেষ্টা করব। এটা সম্ভব হলে এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বেকার সমস্যার সমাধান হবে। এগিয়ে যাবে রংপুর।

জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমরা হয়তো অনেক সময় সফল হতে পারছি না। তার জন্য আমরা নিরাশ নই। সামনের দিকে আল্লাহর রহমতে আমরা যদি সংসদে যাই, তখন আমরা জোরালো ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে হলেও রংপুরের জন্য আমাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায় করব। আমার কাছে মনে হয় রংপুর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন এখন বড় সমস্যা। অল্প বৃষ্টি হলেই শহরে পানি জমে যায়। এটা শুধু রংপুরে নয় বাংলাদেশের প্রায় বড় বড় শহরগুলো এমন সমস্যা রয়েছে। পয়নিষ্কাশনের জন্য শ্যামাসুন্দরী খালকে যেমন খনন করা দরকার, তেমনি আরও কিছু খালের ব্যবস্থা করা।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগে শহরের পাড়া-মহল্লায় ছোট-বড় একটা করে পুকুর বা কুয়া থাকত। খেলার মাঠ থাকত, আরেকটা করে প্রাইমারি স্কুল থাকত। এসব সরকারি তরফ থেকে বা স্বায়ত্বশাসিতভাবে দেওয়া হতো। এখন শহর সম্প্রসারিত হওয়ার কারণে আমাদের বেসিক নিডসগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আগুন লাগলে পানি দেওয়ার মতো কোনো পুকুর-খাল-বিল কিছু নেই সব ভরাট হয়ে গেছে। রংপুর শহরের জন্য একটা মাস্টারপ্ল্যান দরকার। ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য এটা জরুরি।’

এ সময় নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্ধীদের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থীর মঙ্গল কামনা করে বলেন, আমি মনে করে ওনার (তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী) আরও উত্তরোত্তর মঙ্গল হোক। আমি ওনার ভালো কামনা করি। আমার যদি সুযোগ থাকত আমি ওনাকে প্রমোট করতাম। ওনি যাতে আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারেন এজন্য আমি তাকে সহযোগিতা করব।

মতবিনিময় সভায় রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আকবর আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন-জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ও জেলা সভাপতি এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর-৩ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এস এম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্যরা।