রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে কমে গেছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। তারপরও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ২০টি ফেরি ও ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করবে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিগুলোর খুঁটিনাটি সমস্যা মেরামতের কাজ চলছে। বহরে থাকা ছোট-বড় ১৮টি ফেরির সঙ্গে যুক্ত হবে আরও দুটি ফেরি। অর্থাৎ ১০টি রো রো ফেরি, পাঁচটি মাঝারি (ইউটিলিটি), তিনটি ছোট (কে-টাইপ) এবং দুটি ডাম্প ফেরি চলাচল করবে। এ ছাড়া যাত্রী পারাপারের জন্য ছোট-বড় ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করবে।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে প্রশাসন। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঘাট এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমূলক সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রাণী সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহাগ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. রেজাউল করিম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.ইব্রাহিম টিটিন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস, রাজাবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মার্জিয়া সুলতানা, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দীনসহ অর্ধশত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।