নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ট্রেনযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি আগামী ২১ মে থেকে শুরু হতে পারে। ওই দিন বিক্রি হবে ৩১ মে’র টিকিট। এরপর পর্যায়ক্রমে ১ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ঈদের আগাম যাত্রার টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩০ মে।
আগামী ৩১ মের টিকিট ২১ মে, ১ জুনের টিকিট ২২ মে, ২ জুনের টিকিট ২৩ মে, ৩ জুনের টিকিট ২৪ মে, ৪ জুনের টিকিট ২৫ মে, ৫ জুনের টিকিট ২৬ মে, ৬ জুনের টিকিট ২৭ মে পাওয়া যাবে।
ঈদ পরবর্তী ফেরত যাত্রার ৯ জুনের অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মে। এছাড়া ১০ জুনের টিকিট ৩১ মে, ১১ জুনের টিকিট ১ জুন, ১২ জুনের টিকিট ২ জুন, ১৩ জুনের টিকিট ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন এবং ১৫ জুনের অগ্রীম টিকিট ৫ জুন পাওয়া যাবে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপ-প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহম্মদ ইমরান জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের যাতায়াত সুবিধার জন্য এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ অথবা ৮ জুন দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে।
এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতে অংশ নিতে আগ্রহী মুসল্লিদের জন্য দুই জোড়া ট্রেন। এগুলোর একটি চলবে ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ রুটে এবং অন্যটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে। এছাড়া, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর রুটেও চলবে বিশেষ ট্রেন।
কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য তিনটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ২ জুন বিকেল ৫টায় দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে ক্যাটল স্পেশাল-১ এবং একই রুটে ৩ জুন চলবে আরেকটি বিশেষ ট্রেন। অন্যদিকে, ক্যাটেল স্পেশাল-২ ট্রেন ২ জুন দুপুর ৩টা ৪০ মিনিটে ইসলামপুর বাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
যাত্রীসেবায় বাড়তি সুবিধা হিসেবে এবারও পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে এবং পূর্বাঞ্চলের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করা হবে। এক জন যাত্রী অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রা মিলিয়ে সর্বোচ্চ একবারে চারটি করে টিকিট কিনতে পারবেন। তবে, এসব টিকিট ফেরত দেওয়া বা রিফান্ড করা যাবে না।