Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ২২ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারাদেশে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের এই ২২ দিনে (১২ অক্টোবর – ২ নভেম্বর) সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এমন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি সর্বনিম্ন এক থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা-ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এ সময়ের অমাবস্যায়ও ইলিশ ডিম ছাড়ে।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণে সবশেষ গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের ছয় জেলার পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।

আবহাওয়া

ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ২২ দিন

প্রকাশের সময় : ০৪:১৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারাদেশে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের এই ২২ দিনে (১২ অক্টোবর – ২ নভেম্বর) সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এমন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি সর্বনিম্ন এক থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা-ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এ সময়ের অমাবস্যায়ও ইলিশ ডিম ছাড়ে।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণে সবশেষ গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের ছয় জেলার পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।