রাজধানীর ধানমণ্ডিতে এমপি হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌ কর্মকর্তাকে মারধরের মামলার আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি এবি সিদ্দিক দিপুই নৌবাহিনীর কর্মকর্তার শরীরে আঘাত করেছিলেন।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে দিপুকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক।
তিনি বলেন, এই মামলার অন্যতম আসামি এবি সিদ্দিক দিপুকে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নৌ কর্মকর্তাকে সিদ্দিকই বেশি আহত করে। দিপু হাজী সেলিম পুত্র ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের অন্যতম সহযোগী ও হাজী সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার।
আরও পড়ুন : ইরফান সেলিমের টর্চার সেলে র্যাবের অভিযান
তার আগে সোমবার সকালে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফ। পরে এ মামলায় গ্রেফতার হন-ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান।
ওইদিন দুপুরে র্যাব পুরান ঢাকার বড় কাটরায় হাজি সেলিমের বাড়িতে অভিযান শুরু করে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র, মাদক, দুরবিন, ওয়াকিটকি, ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি সেটসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। পরে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান ও তার বডি গার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধানমন্ডি কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের গাড়ির সঙ্গে নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা ল্যাফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিলো। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নেভির ওই কর্মকর্তাকে মারধর করে ইরফান সেলিমসহ তার দেহরক্ষীরা।