Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্টার মিলানকে রুখে দিয়েছে রামোসদের মন্টেরি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ২৩৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে বক্সের ভেতর জটলার মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে আকাশছোঁয়া লাফ। দুর্দান্ত হেড। গোলকিপারকে ফাঁক গিয়ে বল জালে। ক্যারিয়ারজুড়ে এমন কিছু কম দেখাননি সের্হিও রামোস। সেই ঝলক তিনি আরও একবার দেখালেন ৩৯ বছর বয়সে। তার দল মন্তেরেই জিততে দিল না ফেভারিট ইন্টার মিলানকে।

শক্তি-সামর্থ্যে দুই দলের তুলনাই চলে না। বিশ্বের শীর্ষ ক্লাবগুলির একটি ইন্টার মিলান, এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলা দল তারা। সেখানে বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে মন্তেরেই এফসিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। মেক্সিকোর লিগেও এখন তারা আছে সাত নম্বরে। কিন্তু অসম সেই দুই দলের মাঠের লড়াই শেষ হলো সমতায়।

ক্লাব বিশ্বকাপের ‘ই’ গ্রুপে ইন্টার মিলান ও মন্তেরেই এফসির ম্যাচ ড্র হয় ১-১ গোলে।

ম্যাচজুড়ে দাপট ছিল অবশ্য প্রত্যাশিতভাবেই ইন্টার মিলানের। বল নিয়ন্ত্রণে রাখার লড়াইয়ে তারা এগিয়ে ছিল অনেকটা (৬২ শতাংশ)। গোলে শট নেয় ১৫টি। কিন্তু আক্রমণ খুব গোছানো ও ধারাল ছিল না। স্রেফ ২টি ছিল লক্ষ্যে। মন্তেরেই ১১ বার বল গোলে তাক করে স্রেফ একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। সেটিই তাদেরকে এনে দেয় একটি পয়েন্ট।

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘ই’-এর প্রথম ম্যাচে মেক্সিকান ক্লাব মোন্তেররের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে ইন্টার মিলান। মঙ্গলবার (১৭ জুন) পাসাডেনার রোজ বোলে ৪০ হাজার ৩১১ দর্শকের সামনে জমে ওঠে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দুই দলের লড়াই।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে সের্জিও রামোসের হেড থেকে এগিয়ে যায় মোন্তেররে। কর্নার থেকে ওলিভার তোরেসের বল পেয়ে চমৎকার হেডে জালে বল পাঠান ৩৯ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ইন্টার ডিফেন্ডার ফ্রান্সেস্কো আচেরবির ভুল মার্কিংয়ের সুযোগ নেন রামোস।

তবে ৩১তম মিনিটে সেট-পিস থেকে সমতা ফেরান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস। আলবেনিয়ান মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান আসলানি ২৫ গজ দূর থেকে শট নেয়ার ভঙ্গিতে বলটা চিপ করে দেন বক্সে। সময়মতো ছুটে এসে কার্লোস আগুস্তো বল বাড়িয়ে দেন মার্তিনেসকে। বাকি কাজ সহজেই করেন এই আর্জেন্টাইন।

তবে ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল ইন্টারের। অষ্টম মিনিটেই বেঞ্জামিন পাভার্দ শট নিলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২২তম মিনিটে মাত্তেও দারমিয়ান সুযোগ নষ্ট করেন বারের ওপর দিয়ে মারলে।

৩৬ মিনিটে মার্তিনেস আবারো গোলের কাছাকাছি চলে যান। এর আগেই সেবাস্তিয়ানো এসপোসিতোর একটি গোলের প্রচেষ্টা ঠেকান মোন্তেররে গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদা। এক পর্যায়ে পাভার্দের হেডে রামোসের হাতে বল লাগলেও ভিএআর দেখে পেনাল্টির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে মার্তিনেস বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মিলেনি। তবে ম্যাচের শেষ দিকে জয় পেয়েও যেতে পারত মোন্তেররে। কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার নেলসন ডেওসা ইনটারের ডিফেন্স ভেদ করেও বল মারেন সাইড নেটে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পিএসজির কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ইন্টার মিলান। সেই হার কাটিয়ে ওঠার এই ম্যাচেও তারা গোল নষ্টের মাশুল গুনেছে, মাঠে আধিপত্য থাকলেও গোল সংখ্যায় এগিয়ে যেতে পারেনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

ইন্টার মিলানকে রুখে দিয়েছে রামোসদের মন্টেরি

প্রকাশের সময় : ০১:৫৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে বক্সের ভেতর জটলার মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে আকাশছোঁয়া লাফ। দুর্দান্ত হেড। গোলকিপারকে ফাঁক গিয়ে বল জালে। ক্যারিয়ারজুড়ে এমন কিছু কম দেখাননি সের্হিও রামোস। সেই ঝলক তিনি আরও একবার দেখালেন ৩৯ বছর বয়সে। তার দল মন্তেরেই জিততে দিল না ফেভারিট ইন্টার মিলানকে।

শক্তি-সামর্থ্যে দুই দলের তুলনাই চলে না। বিশ্বের শীর্ষ ক্লাবগুলির একটি ইন্টার মিলান, এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলা দল তারা। সেখানে বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে মন্তেরেই এফসিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। মেক্সিকোর লিগেও এখন তারা আছে সাত নম্বরে। কিন্তু অসম সেই দুই দলের মাঠের লড়াই শেষ হলো সমতায়।

ক্লাব বিশ্বকাপের ‘ই’ গ্রুপে ইন্টার মিলান ও মন্তেরেই এফসির ম্যাচ ড্র হয় ১-১ গোলে।

ম্যাচজুড়ে দাপট ছিল অবশ্য প্রত্যাশিতভাবেই ইন্টার মিলানের। বল নিয়ন্ত্রণে রাখার লড়াইয়ে তারা এগিয়ে ছিল অনেকটা (৬২ শতাংশ)। গোলে শট নেয় ১৫টি। কিন্তু আক্রমণ খুব গোছানো ও ধারাল ছিল না। স্রেফ ২টি ছিল লক্ষ্যে। মন্তেরেই ১১ বার বল গোলে তাক করে স্রেফ একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। সেটিই তাদেরকে এনে দেয় একটি পয়েন্ট।

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘ই’-এর প্রথম ম্যাচে মেক্সিকান ক্লাব মোন্তেররের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে ইন্টার মিলান। মঙ্গলবার (১৭ জুন) পাসাডেনার রোজ বোলে ৪০ হাজার ৩১১ দর্শকের সামনে জমে ওঠে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দুই দলের লড়াই।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে সের্জিও রামোসের হেড থেকে এগিয়ে যায় মোন্তেররে। কর্নার থেকে ওলিভার তোরেসের বল পেয়ে চমৎকার হেডে জালে বল পাঠান ৩৯ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ইন্টার ডিফেন্ডার ফ্রান্সেস্কো আচেরবির ভুল মার্কিংয়ের সুযোগ নেন রামোস।

তবে ৩১তম মিনিটে সেট-পিস থেকে সমতা ফেরান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস। আলবেনিয়ান মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান আসলানি ২৫ গজ দূর থেকে শট নেয়ার ভঙ্গিতে বলটা চিপ করে দেন বক্সে। সময়মতো ছুটে এসে কার্লোস আগুস্তো বল বাড়িয়ে দেন মার্তিনেসকে। বাকি কাজ সহজেই করেন এই আর্জেন্টাইন।

তবে ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল ইন্টারের। অষ্টম মিনিটেই বেঞ্জামিন পাভার্দ শট নিলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২২তম মিনিটে মাত্তেও দারমিয়ান সুযোগ নষ্ট করেন বারের ওপর দিয়ে মারলে।

৩৬ মিনিটে মার্তিনেস আবারো গোলের কাছাকাছি চলে যান। এর আগেই সেবাস্তিয়ানো এসপোসিতোর একটি গোলের প্রচেষ্টা ঠেকান মোন্তেররে গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদা। এক পর্যায়ে পাভার্দের হেডে রামোসের হাতে বল লাগলেও ভিএআর দেখে পেনাল্টির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে মার্তিনেস বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মিলেনি। তবে ম্যাচের শেষ দিকে জয় পেয়েও যেতে পারত মোন্তেররে। কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার নেলসন ডেওসা ইনটারের ডিফেন্স ভেদ করেও বল মারেন সাইড নেটে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পিএসজির কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ইন্টার মিলান। সেই হার কাটিয়ে ওঠার এই ম্যাচেও তারা গোল নষ্টের মাশুল গুনেছে, মাঠে আধিপত্য থাকলেও গোল সংখ্যায় এগিয়ে যেতে পারেনি।