Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইইউ পার্লামেন্টের ৬ সদস্যের বিবৃতি বিএনপির মতোই: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলকে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয়জন সদস্য। এ চিঠিকে ‘বিএনপির ইউরোপীয় ইউনিয়ন শাখার বিবৃতি’ বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ’ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তাদের (ইইউ পার্লামেন্টের ছয়জন সদস্য) বিবৃতিটি দেখে মনে হয়েছে, বিএনপি বিবৃতি দিয়েছে। এটি বিএনপির ইইউ শাখার বিবৃতির মতোই হয়েছে। ইইউ পার্লামেন্টের ছয় সদস্যের এ বিবৃতি ভিত্তিহীন ও অনাকাঙ্ক্ষিত।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসীরা আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাশরুম খুবই সম্ভাবনাময়। এটি খুবই পুষ্টিকর, এতে প্রোটিন আছে ২২ ভাগের মতো। যেখানে চালে শতকরা ৮ ভাগ, গমে প্রায় ১২ ভাগ প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া এটি অর্থকরী ফসল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্র্যের হার আমরা শতকরা ৪০ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে আর চরম দারিদ্র্যের হার ১৮ ভাগ থেকে ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। মাশরুমের চাষ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। এছাড়া আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে আমরা মাশরুম বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।

এসময় দেশের প্রত্যেক উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের ২০০-৩০০ মাশরুম উদ্যোক্তা তৈরির জন্য নির্দেশ দেন তিনি।

সেমিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন। এছাড়া আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক নিরদ চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

৪৪৪

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইইউ পার্লামেন্টের ৬ সদস্যের বিবৃতি বিএনপির মতোই: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলকে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয়জন সদস্য। এ চিঠিকে ‘বিএনপির ইউরোপীয় ইউনিয়ন শাখার বিবৃতি’ বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ’ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তাদের (ইইউ পার্লামেন্টের ছয়জন সদস্য) বিবৃতিটি দেখে মনে হয়েছে, বিএনপি বিবৃতি দিয়েছে। এটি বিএনপির ইইউ শাখার বিবৃতির মতোই হয়েছে। ইইউ পার্লামেন্টের ছয় সদস্যের এ বিবৃতি ভিত্তিহীন ও অনাকাঙ্ক্ষিত।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসীরা আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাশরুম খুবই সম্ভাবনাময়। এটি খুবই পুষ্টিকর, এতে প্রোটিন আছে ২২ ভাগের মতো। যেখানে চালে শতকরা ৮ ভাগ, গমে প্রায় ১২ ভাগ প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া এটি অর্থকরী ফসল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্র্যের হার আমরা শতকরা ৪০ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে আর চরম দারিদ্র্যের হার ১৮ ভাগ থেকে ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। মাশরুমের চাষ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। এছাড়া আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে আমরা মাশরুম বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।

এসময় দেশের প্রত্যেক উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের ২০০-৩০০ মাশরুম উদ্যোক্তা তৈরির জন্য নির্দেশ দেন তিনি।

সেমিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন। এছাড়া আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক নিরদ চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

৪৪৪