স্পোর্টস ডেস্ক :
ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেন টমাস টুখেল। নানা গুঞ্জনের মধ্যেই ৫১ বছর বয়সী এই জার্মান কোচের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিতে সিলমোহর দিলো ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।
এফএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে থ্রি লায়ন্সের দায়িত্ব বুঝে নেবেন টুখেল। তার দায়িত্বের মেয়াদ ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
ইংল্যান্ডের তৃতীয় নন-ব্রিটিশ কোচ হলেন টুখেল। এর আগে ইংলিশদের কোচ হয়েছিলেন সুইডেনের সভেন গরন এরিকসন ও ইতালির ফেবিও ক্যাপেলো।
লি কার্সলির অধীনে আরও দুটি ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। উয়েফা নেশনস লিগে আগামী মাসে গ্রিস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ইংলিশদের ডাগআউটে দাঁড়াবেন কার্সলি।
৫১ বছর বয়সী টুখেলের অধীনে ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল চেলসি। পরের বছরই তাকে ছাঁটাই করে ব্লুজরা। বাজিকরদের তালিকায় গ্যারেথ সাউথগেটের উত্তরসূরী হিসেবে টুখেলকেই ফেভারিট ভাবা হচ্ছিল। সর্বশেষ বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
সেখানে টুখেল বলেন, ইংল্যান্ড দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সম্মান পেয়ে আমি খুব গর্বিত। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই দেশের খেলার সঙ্গে ব্যক্তিগত সংযোগ অনুভব করেছি। এটি আমাকে ইতিমধ্যেই কিছু অবিশ্বাস্য মুহূর্ত দিয়েছে। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়া একটি বিশাল বিশেষত্ব। বিশেষ এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দলে কাজ করার সুযোগ খুব উত্তেজনাপূর্ণ।
টুখেলকে আগে থেকেই চেনা ইংল্যান্ডের। কেননা এর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসির (২০২১-২০২২) কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন এই জার্মান। তার অধীনেই চ্যাম্পিয়ন লিগ শিরোপা জিতেছিল চেলসি।
চেলসির দায়িত্ব ছেড়ে জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হন টুখেল। সেখানে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইনের সঙ্গে বোঝাপড়াও হয় দারুণ। যে কারণে বলা যায়, কোচ হিসেবে টুখেলের কোনো কিছুই অজানা নেই ইংল্যান্ডের।
এর আগে বুন্দেসলিগার ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ ছিলেন টুখেল। তার অধীনে জার্মান কাপ শিরোপা জিতেছিল ডর্টমুন্ড। এরপর ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের ক্লাব পিএসজির ম্যানেজার হন টুখেল। জার্মান কোচের অধীনে দুইবার লিগ শিরোপা জিতেছিল পিএসজি। ২০১৯-২০ মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ঘরোয়া ট্রেবল জিতেছেন টুখেল।