নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ডেঙ্গুতে শতশত মানুষ মারা যায়, অথচ তিনি পরিবার নিয়ে বিদেশে প্রমোদ ভ্রমণে ব্যস্ত থাকেন। আসলে এরা (আওয়ামী লীগ) দুর্বৃত্ত, মাফিয়া পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ গোষ্ঠী। এদের কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই। তারা এখন ব্যস্ত লুণ্ঠিত অর্থ নিরাপদ রাখার জন্য।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গোপীবাগে এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যাত্রাবাড়ী ও নয়াবাজারে বিএনপির সমাবেশ সফল করতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে জেলে নিয়েছেন। আজকে আমার এ বক্তব্যের জন্য আমাকেও জেলে যেতে হতে পারে। আর কত জেলে নিবেন। এরপরতো আপনাদের বাসায় রাখতে হবে। খালেদা জিয়া বন্দী, আন্দোলন থেমে নেই। অনেক ভাই শহিদ হয়েছেন। আমিও দেশনেত্রীর মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহিদ হতে প্রস্তুত। এখন ক্রান্তিলগ্ন, এ থেকে পেছনে ফেরা যাবে না। আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী। কতজনকে গুলি করবে। তারেক রহমান দেশ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যেভাবে আন্দোলন কর্মসূচি দিচ্ছেন তা সবাই সম্মেলিত বাস্তবায়ন করতে পারলেই মানুষ কষ্টার্জিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবে, ফিরে পাবে বাকস্বাধীনতা, ফিরে পাবে ভোটাধিকার।
তিনি আরো বলেন, আজকে যে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে শক্তি দাবি করে অথচ, তারা যুদ্ধের সময় দেশেই ছিলেন না। প্রমোদ ফূর্তিতে ব্যস্ত ছিল। পরে তারাই কৃতিত্ব নেয়ার চেষ্টা করে। আমি রণাঙ্গনের সম্মুখ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি। আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিএনপি।
ইশরাক বলেন, আমরা কোনো নোংরামি বা রেষারেষিতে যেতে চাই না। আমাদের এই শিক্ষা দেয়া হয়নি। দেশনেত্রীর রাজনৈতিক শিষ্টাচার আগামী দিনে ইতিহাস হয়ে থাকবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশকে যেদিকে নিয়ে যাচ্ছে আজ ওদের ভাষায় কথা বলা ছাড়া পথ নেই।
তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে মানুষ অন্যায়-অবিচার সহ্য করে আসছে। আজ দেশের মানুষ যখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘুরে দাড়াচ্ছে, সফলতার দিকে এগুচ্ছে, আন্দোলনে নামছে। এমন একটি সময়ে আদালতের মাধ্যমে বলা হলো, তার বক্তব্য প্রচার করা হবে না। দেশে কিসের আইন চলছে? যেদিন খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হলো সেদিনই কোর্টকে তছনছ করে দেয়া উচিত ছিল। যেদিন এক কাপড়ে দেশনেত্রীকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হলো তখন আমরা পরাধীনতা মেনে নিয়েছি। সেদিন আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি।
ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো: মোহনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সাত্তার, মহানগর নেতা সাব্বির আহমেদ আরেফ, মকবুল ইসলাম টিপু, এমএ শাহেদ মন্টু, লিয়াকত আলী, লতিফুল্লাহ জাফরু, তাজউদ্দীন আহমেদ তাইজু, আব্দুল কাদের, মোহাম্মদ আজিজ, কাউন্সিলর মামুন আহমেদ, যুবদলের দক্ষিণের আহবায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, শ্রমিক দলের আহবায়ক সুমন ভূইয়া, ছাত্রদলের পাভেল সিকদার প্রমুখ।