Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশা জাগিয়ে পারলো না বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতলেও এখন ওয়ানডে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এবার ভালো কিছু করার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। কিউইদের মাটিতে ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেতে আরও অপেক্ষা করতে হচ্ছে টাইগারদের।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে কিউইদের কাছে বৃষ্টি আইনে ৪৪ রানে হেরেছে টাইগাররা। এই হারে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে সাদা বলে হারানোর অপেক্ষাও বাড়ল আরও।

২৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। ব্যাট হাতে আজ উদ্বোধনী জুটিতে নেমেছিলেন এনামুল হক বিজয় এবং সৌম্য সরকার। তবে অ্যাডাম মিলনের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ¯িøপে ক্যাচ তুলে দিয়ে শূন্য রানেই আজ সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্য। এরপর ক্রিজে বিজয়ের সঙ্গী হন শান্ত।

তবে অধিনায়ক শান্তও আজ দলের হাল ধরতে পারেননি। বিজয়ের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়লেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। সপ্তম ওভারে ইশ সোধির বলে বোল্ড হয়ে ১৫ রান করেই সাজঘরে ফিরেন তিনি।

এদিকে টাইগারদের হয়ে শুরু থেকেই প্রতিরোধ গড়েছিলেন আরেক ওপেনার এনামুল বিজয়। কিউই বোলারদের সামলে তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দিকে। তবে দ্বাদশ ওভারে ক্লার্কসনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৪৩ রানেই সাজঘরে ফিরেন তিনি।

বিজয় আউট হওয়ার পর লিটনও সাজঘরের পথ ধরেন দ্রæতই। ১৯ বলে ২২ রান করে ক্লার্কসনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ফলে চার টপ অর্ডার ব্যাটার হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

আর চাপে পড়া দল আরও বিপাকে পড়ে মুশফিকের বিদায়ে। অভিজ্ঞ এই টাইগার ব্যাটার আজ ১০ বলে ৪ রান করে ফিরেন রাচীন রবীন্দ্রের শিকার হয়ে। তবে এরপর কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন আফিফ হোসেন এবং হৃদয়।

এ দুজন মিলে কিউই বোলারদের সামলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫৬ রান। তবে ইশ সোধির বলে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে হৃদয় ৩৩ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। পরের ওভারেই ওভারেই আউট হন আফিফও। ৫ চার এবং ১ ছয়ে ২৮ বলে ৩৮ রান করে আফিফ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লাল-সুবুজ দল।

এরপর ২১ বলে মিরাজের ২৮ রান হারের ব্যবধান কমিয়েছে কেবল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেমেছে ত্রিশ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০০ রানেই। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম মিলনে, সোধি এবং জোশ ক্লার্কসন।

এর আগে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ডানেডিনে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় টসের পরপরই বৃষ্টি নামে। প্রায় ১ ঘন্টা সময় নষ্ট হয়। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে নেমে আসে ৪৬ ওভারে। টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

বৃষ্টির পর ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড শিবিরে শুরুতেই জোড়া আঘাত করেন শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের প্রথম ওভারেই এই পেসার দুই উইকেট নেন। চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের ওপর গুড লেংথে করেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। আউট সুইং করে বল বের হয়ে যাওয়ার সময় রাচিন রবীন্দ্রের ব্যাটের বাইরের দিকের কানায় লেগে মুশফিকের গøাভসে জমা পড়ে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে।

ষষ্ঠ বলে আবারও উইকেটের দেখা পান শরিফুল। ব্যাক অব লেংথের বল এবারও আউট সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়েছেন ব্যাটার। সামনের পায়ে ভর করে অফের দিকে খেলতে গিয়ে ¯িøপে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ধরা পড়েন হেনরি নিকোলস। ২ বল খেলে রানের রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।

কিউইরা এরপর উইল ইয়াং ও টম লাথামের ব্যাটে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিউইরা যখন ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় তখন দ্বিতীয়বার হানা দেয় বৃষ্টি। ১৪তম ওভারের খেলা চলাকালে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়ার।

ত্রিশ মিনিট পর আবারও শুরু খেলা হয়। দ্বিতীয় দফা বৃষ্টিতে হারিয়ে গেল আরও ৬ ওভার। ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে এলো ৪০ ওভারে। দুই দফা বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলেও খুব বেশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রায় ৬ ওভারের মতো খেলার পর আবারও বেরসিক বৃষ্টির হানা। বৃষ্টির কারণে তৃতীয়বার খেলা বন্ধ হয়। অবশেষে বৃষ্টি শেষে খেলা আবারো শুরু হলে খেলা ৩০ ওভারে নেমে আসে।

অবশেষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইদের তৃতীয় উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ২৬তম ওভারের প্রথম বলে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথামকে বোল্ট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই বাঁহাতি ৭৭ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯২ রান করেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে ১৪৫ বলে ১৭১ রান তোলেন ল্যাথাম।

শেষ দিকে দ্রæত কিছু উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। সকটিই রান আউট। এরমধ্যে সৌম্য সরকারের করা ৩০তম ওভারে তিনটি রান আউট হয়। ১১ বলে ২০ রান করা মার্ক চ্যাপমান রান আউট হন। তবে ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন উইল ইয়ং। এই ডানহাতিও রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৮৪ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৫ রান করেন। পরে টম বøান্ডেল ও জশ ক্লার্কসনও রান আউট হন।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে শরিফুল ২টি ও মিরাজ একটি উইকেট পান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আশা জাগিয়ে পারলো না বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০১:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতলেও এখন ওয়ানডে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এবার ভালো কিছু করার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। কিউইদের মাটিতে ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেতে আরও অপেক্ষা করতে হচ্ছে টাইগারদের।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে কিউইদের কাছে বৃষ্টি আইনে ৪৪ রানে হেরেছে টাইগাররা। এই হারে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে সাদা বলে হারানোর অপেক্ষাও বাড়ল আরও।

২৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। ব্যাট হাতে আজ উদ্বোধনী জুটিতে নেমেছিলেন এনামুল হক বিজয় এবং সৌম্য সরকার। তবে অ্যাডাম মিলনের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ¯িøপে ক্যাচ তুলে দিয়ে শূন্য রানেই আজ সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্য। এরপর ক্রিজে বিজয়ের সঙ্গী হন শান্ত।

তবে অধিনায়ক শান্তও আজ দলের হাল ধরতে পারেননি। বিজয়ের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়লেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। সপ্তম ওভারে ইশ সোধির বলে বোল্ড হয়ে ১৫ রান করেই সাজঘরে ফিরেন তিনি।

এদিকে টাইগারদের হয়ে শুরু থেকেই প্রতিরোধ গড়েছিলেন আরেক ওপেনার এনামুল বিজয়। কিউই বোলারদের সামলে তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দিকে। তবে দ্বাদশ ওভারে ক্লার্কসনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৪৩ রানেই সাজঘরে ফিরেন তিনি।

বিজয় আউট হওয়ার পর লিটনও সাজঘরের পথ ধরেন দ্রæতই। ১৯ বলে ২২ রান করে ক্লার্কসনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ফলে চার টপ অর্ডার ব্যাটার হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

আর চাপে পড়া দল আরও বিপাকে পড়ে মুশফিকের বিদায়ে। অভিজ্ঞ এই টাইগার ব্যাটার আজ ১০ বলে ৪ রান করে ফিরেন রাচীন রবীন্দ্রের শিকার হয়ে। তবে এরপর কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন আফিফ হোসেন এবং হৃদয়।

এ দুজন মিলে কিউই বোলারদের সামলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫৬ রান। তবে ইশ সোধির বলে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে হৃদয় ৩৩ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। পরের ওভারেই ওভারেই আউট হন আফিফও। ৫ চার এবং ১ ছয়ে ২৮ বলে ৩৮ রান করে আফিফ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লাল-সুবুজ দল।

এরপর ২১ বলে মিরাজের ২৮ রান হারের ব্যবধান কমিয়েছে কেবল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেমেছে ত্রিশ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০০ রানেই। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম মিলনে, সোধি এবং জোশ ক্লার্কসন।

এর আগে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ডানেডিনে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় টসের পরপরই বৃষ্টি নামে। প্রায় ১ ঘন্টা সময় নষ্ট হয়। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে নেমে আসে ৪৬ ওভারে। টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

বৃষ্টির পর ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড শিবিরে শুরুতেই জোড়া আঘাত করেন শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের প্রথম ওভারেই এই পেসার দুই উইকেট নেন। চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের ওপর গুড লেংথে করেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। আউট সুইং করে বল বের হয়ে যাওয়ার সময় রাচিন রবীন্দ্রের ব্যাটের বাইরের দিকের কানায় লেগে মুশফিকের গøাভসে জমা পড়ে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে।

ষষ্ঠ বলে আবারও উইকেটের দেখা পান শরিফুল। ব্যাক অব লেংথের বল এবারও আউট সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়েছেন ব্যাটার। সামনের পায়ে ভর করে অফের দিকে খেলতে গিয়ে ¯িøপে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ধরা পড়েন হেনরি নিকোলস। ২ বল খেলে রানের রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।

কিউইরা এরপর উইল ইয়াং ও টম লাথামের ব্যাটে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিউইরা যখন ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় তখন দ্বিতীয়বার হানা দেয় বৃষ্টি। ১৪তম ওভারের খেলা চলাকালে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়ার।

ত্রিশ মিনিট পর আবারও শুরু খেলা হয়। দ্বিতীয় দফা বৃষ্টিতে হারিয়ে গেল আরও ৬ ওভার। ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে এলো ৪০ ওভারে। দুই দফা বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলেও খুব বেশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রায় ৬ ওভারের মতো খেলার পর আবারও বেরসিক বৃষ্টির হানা। বৃষ্টির কারণে তৃতীয়বার খেলা বন্ধ হয়। অবশেষে বৃষ্টি শেষে খেলা আবারো শুরু হলে খেলা ৩০ ওভারে নেমে আসে।

অবশেষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইদের তৃতীয় উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ২৬তম ওভারের প্রথম বলে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথামকে বোল্ট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই বাঁহাতি ৭৭ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯২ রান করেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে ১৪৫ বলে ১৭১ রান তোলেন ল্যাথাম।

শেষ দিকে দ্রæত কিছু উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। সকটিই রান আউট। এরমধ্যে সৌম্য সরকারের করা ৩০তম ওভারে তিনটি রান আউট হয়। ১১ বলে ২০ রান করা মার্ক চ্যাপমান রান আউট হন। তবে ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন উইল ইয়ং। এই ডানহাতিও রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৮৪ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৫ রান করেন। পরে টম বøান্ডেল ও জশ ক্লার্কসনও রান আউট হন।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে শরিফুল ২টি ও মিরাজ একটি উইকেট পান।