Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ’লীগ একটি সন্ত্রাসী দল : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী দল বলে দাবি করে বলেন, এই সরকার এখন সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসী সরকারে পরিণত হয়েছে। জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এর জবাব দেবে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর রামপুরায় একটি হাসপাতালে ভর্তি সন্ত্রাসী হামলায় আহত নাটোর সদর থানা বিএনপির নেতা আবুল হোসেনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশের ছত্রছায়ায়  আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ, যুবলীগ আক্রমণ করে। আহত আবুল হোসেন নাটোর সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার পা দুটো ভেঙে দেয়, সত্যিকার অর্থে পুলিশ তাকে রক্ষা না করলে মেরেই ফেলত। তাদের লক্ষ্যই ছিল হত্যা করা।

নাটোরে আওয়ামী লীগ ভয়াবহ সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর আগে সেখানে সাবেক মন্ত্রী দুলু সাহেবের ওপর হামলা করেছে। শুধু নাটোর নয়, পরবর্তীতে খুলনা, হবিগঞ্জ, নোয়াখালীসহ সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।

গত ৮ এপ্রিল অবস্থান কর্মসূচিতে হামলায় গুরুতর আহত হন নাটোর সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বেপারী। আহত বিএনপির এই নেতাকে দেখতে সকালে রামপুরার ওই হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল।

গত শুক্রবার ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা মুখে এক কথা বলেন, আর কাজে করেন আরেকটা। তারা মুখে বলবে গণতন্ত্রের কথা, ছাড় দেওয়ার কথা। তারা ছাড় দেওয়ার কে? এটা তো আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আর যখনই এই সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাই, তখন তারা বল প্রয়োগ করে নির্যাতন করে, সন্ত্রাসী করে হত্যার চেষ্টা করবে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গ্রেপ্তার করবে। এটা কখনো এই দেশের মানুষ অতীতে মেনে নেয়নি, আগামীতেও নেবে না।

তত্ত্বাবধায় সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন একটাই, এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যেই জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজকে যদি একটি সুষ্ঠুনিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন হয় সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাহলে দেখবেন আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, তারা যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান না নিয়ে আসে তাহলে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকারের ট্র্যাপ। সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের পাতানো কোনো ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের আন্দোলন একটাই সেটা হচ্ছে এই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হবে না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। এছাড়া স্থানীয় নির্বাচন তো আমরা আরও অনেক আগেই বাদ দিয়ে দিয়েছি।

র‌্যাব প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, র‌্যাব হচ্ছে রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান তারা সরকারের আজ্ঞাবহ। সরকার তাদের যেভাবে বলছে তারা সেভাবে করছে। র‌্যাবকে তারা ব্যবহার করছে। এখানে মূল দায়িত্বটা এসে পড়ে সরকারের ওপর। এজন্য আমরা সরকারের পদত্যাগসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছি।

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

আ’লীগ একটি সন্ত্রাসী দল : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০১:০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী দল বলে দাবি করে বলেন, এই সরকার এখন সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসী সরকারে পরিণত হয়েছে। জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এর জবাব দেবে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর রামপুরায় একটি হাসপাতালে ভর্তি সন্ত্রাসী হামলায় আহত নাটোর সদর থানা বিএনপির নেতা আবুল হোসেনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশের ছত্রছায়ায়  আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ, যুবলীগ আক্রমণ করে। আহত আবুল হোসেন নাটোর সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার পা দুটো ভেঙে দেয়, সত্যিকার অর্থে পুলিশ তাকে রক্ষা না করলে মেরেই ফেলত। তাদের লক্ষ্যই ছিল হত্যা করা।

নাটোরে আওয়ামী লীগ ভয়াবহ সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর আগে সেখানে সাবেক মন্ত্রী দুলু সাহেবের ওপর হামলা করেছে। শুধু নাটোর নয়, পরবর্তীতে খুলনা, হবিগঞ্জ, নোয়াখালীসহ সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।

গত ৮ এপ্রিল অবস্থান কর্মসূচিতে হামলায় গুরুতর আহত হন নাটোর সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বেপারী। আহত বিএনপির এই নেতাকে দেখতে সকালে রামপুরার ওই হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল।

গত শুক্রবার ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা মুখে এক কথা বলেন, আর কাজে করেন আরেকটা। তারা মুখে বলবে গণতন্ত্রের কথা, ছাড় দেওয়ার কথা। তারা ছাড় দেওয়ার কে? এটা তো আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আর যখনই এই সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাই, তখন তারা বল প্রয়োগ করে নির্যাতন করে, সন্ত্রাসী করে হত্যার চেষ্টা করবে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গ্রেপ্তার করবে। এটা কখনো এই দেশের মানুষ অতীতে মেনে নেয়নি, আগামীতেও নেবে না।

তত্ত্বাবধায় সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন একটাই, এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যেই জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজকে যদি একটি সুষ্ঠুনিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন হয় সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাহলে দেখবেন আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, তারা যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান না নিয়ে আসে তাহলে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকারের ট্র্যাপ। সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের পাতানো কোনো ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের আন্দোলন একটাই সেটা হচ্ছে এই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হবে না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। এছাড়া স্থানীয় নির্বাচন তো আমরা আরও অনেক আগেই বাদ দিয়ে দিয়েছি।

র‌্যাব প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, র‌্যাব হচ্ছে রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান তারা সরকারের আজ্ঞাবহ। সরকার তাদের যেভাবে বলছে তারা সেভাবে করছে। র‌্যাবকে তারা ব্যবহার করছে। এখানে মূল দায়িত্বটা এসে পড়ে সরকারের ওপর। এজন্য আমরা সরকারের পদত্যাগসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছি।

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।