স্পোর্টস ডেস্ক :
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে করিম বেনজেমা, সাদিও মানে, এনগালো কান্তে ও রবার্তো ফিরমিনো হয়ে সর্বশেষ সংযোজন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। সৌদি ফুটবলে চলছে নিরব বিপ্লব। নেইমারের পর তালিকায় আরও এক বড় তারকার নাম যুক্ত হলো। কাতার বিশ্বকাপে মরক্কো রূপকথার নেপথ্য কারিগর ইয়াসিন বোনোকে দলে ভেড়ালো সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলাল।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে ৩২ বছর বয়সী ইয়াসিনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আল হিলাল। জানা গেছে, শিগগিরই হবে তার মেডিকেল।
তিন বছরের জন্য চুক্তিতে সেভিয়া থেকে সৌদি ক্লাবটিতে যোগ দিয়েছেন বোনো।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে খেলবেন ৩২ বছর বয়সী বোনো, কাতার বিশ্বকাপে যার অসাধারণ পারফরম্যান্স নজর কেড়েছিল পুরো ফুটবলবিশ্বের। তার নৈপুণ্যের ওপর ভর করে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠার গৌরব অর্জন করে মরক্কো। সেই সাফল্যের বছর না ঘুরতেই সেভিয়া ছাড়লেন তিনি। পরবর্তী ঠিকানা হিসেবে তিনি বেছে নিলেন সৌদি আরবকে, যেখানে এখন ফুটবল তারকাদের মেলা বসেছে।
স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ার হয়ে দারুণ ছন্দেই ছিলেন বোনো। গতবছরই ক্লাবকে জিতিয়েছেন ইউরোপা লিগের শিরোপা। কিন্তু তাকেই এবার ছেড়ে দিয়েছে সেভিয়া। দলবদল বিষয়ক নির্ভরযোগ্য সূত্র ফ্র্যাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, তিন বছরের চুক্তিতে স্প্যানিশ ক্লাবটি থেকে ২১ মিলিয়ন ইউরোতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা) মরক্কোর এই তারকাকে কিনেছে আল হিলাল।
২০২২ বিশ্বকাপে অনেকটা ‘ডার্কহর্স’ হিসেবেই কাতারে গিয়েছিল উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। গ্রুপ অব ডেথে বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়ার এবং কানাডার গ্রুপে ঠাঁই হয়েছিল তাদের। সবাই মরক্কোকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাতিলের খাতায় রেখেছিল, তবে সেখান থেকেই নিজেদের রূপকথার গল্প শুরু করে আশরাফ হাকিমি-হাকিম জিয়েশরা।
বিশ্বকাপে মরক্কোর এমন সাফল্যের বড় কারিগর ছিলেন গোলবারের নিচে থাকা ইয়াসিন বোনো। বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। স্পেনের বিপক্ষে দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে হয়েছিলেন মরক্কোর রূপকথার অংশ। সেই ইয়াসিন বোনোকেই এবার দেখা যাবে সৌদি আরবের লিগে। সেখানে আল হিলালে নেইমারের সতীর্থ এখন তিনি।
২০১৯ থেকে বোনো ছিলেন স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াতে। ২০১৯-২০ মৌসুমে লোনে খেলেন ৬ ম্যাচ। পরের মৌসুমে তাকে কিনে নেয় সেভিয়া। তিন মৌসুমে খেলেন ৯০ ম্যাচ।