স্পোর্টস ডেস্ক :
ছেলেদের বিশ্বকাপে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন হলেও নারীদের ইভেন্টে সোনালি ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখা হয়নি ব্রাজিলের। এবার অবশ্য সেই আক্ষেপ দূর করার পণ করেছিলেন তারা। পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা ব্রাজিলের ফুটবল গ্রেট মার্তার এটা ছিল শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু কিংবদন্তির বিদায়টা চির স্মরণীয় করে রাখার যে পণ ছিল সেটা স্বপ্নই থেকে গেছে শেষ পর্যন্ত। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জ্যামাইকার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল।
নারীদের টুর্নামেন্টে ব্রাজিল একবারই ফাইনালে খেলেছিল। ২০০৭ সালের সেই ম্যাচে জার্মানির কাছে হেরে যায় তারা। ২০১১ সালে খেলেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। পরের দুটি আসরে শেষ ষোলোতেই বিদায় নিয়েছে।
পুরুষ ও নারী বিশ্বকাপ মিলিয়ে বৈশ্বিক ইভেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা মার্তা। ৩৭ বছর বয়সী বিশ্বকাপের মঞ্চে এখন পর্যন্ত ১৮টি গোল করেছেন। কিন্তু মেলবোর্নে বুধবার শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া মার্তা একবারও জাল কাঁপাতে পারেননি। তাতে ব্রাজিলের শেষটা হয়েছে হতাশাজনকভাবে। ২৮ বছরে এবারই প্রথম তারা নকআউটে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মেলবোর্ন রেক্টেঙ্গুলার স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েছে ব্রাজিল। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা বোর্জেস এদিন ছিলেন কিছুটা নিষ্প্রভ। প্রথমার্ধে তাই ব্রাজিলেরও খুব বেশি কিছু করা হয়নি।
গোলমুখে মার্তা কয়েকবার হুমকি ছড়ালেও তাতে কাজের কাজ হয়নি। এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবার শুরুর একাদশে থাকলেও তাই সময়টা উপভোগ করতে পারেননি ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই নারী ফুটবলার।
বিপরীতে জ্যামাইকা পুরো ম্যাচই পার করেছে রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গিতে। চার ডিফেন্ডার এবং এক হোল্ডিং মিডফিল্ডার নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন কোচ পিয়া স্নডহেগ। তার সেই কৌশল কাজেও লেগেছে। ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে গড়া জ্যামাইকার সামনে পথ খুঁজে পায়নি ব্রাজিল।
ম্যাচে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় সুযোগ এসেছিল ৭৯ মিনিটে। মিডফিল্ডার লুয়ানার ক্রসে হেড করেছিলেন জ্যামাইকান ডিফেন্ডার অ্যালিসন সোয়াবি। আত্মঘাতী গোলটা পেয়েই যেতে পারত ব্রাজিল। শেষ সময়ে ত্রাতা বনে যান জ্যামাইকার গোলরক্ষক রেবেকা স্পেনসার।
পুরো ম্যাচেই গোলবারের নিচে অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে ছিলেন জ্যামাইকার গোলরক্ষক। ৭টি সেইভ করে ব্রাজিলকে আটকে রাখার কৃতিত্ব ছিল তারই। শেষপর্যন্ত গোলশূন্য ড্র-তেই শেষ হয়েছে দুই দলের লড়াই। আর তাতেই নিশ্চিত হলো ব্রাজিলের ঘরে ফেরা।
গ্রুপপর্বের ম্যাচ শেষে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে নকআউট পর্বে যাচ্ছে জ্যামাইকা। গ্রুপসেরা ফ্রান্স ৩ ম্যাচে পেয়েছে ৭ পয়েন্ট।