Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমি যদি ঘোষণা না-ও দিই, নিষিদ্ধের আগে রাজপথ ছাড়বেন না : হাসনাত আবদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যত ষড়যন্ত্র, বিভক্তি ও প্রেশার আসুক, কেউ আমাদের জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আলাদা করতে পারবে না। আমি যদি কোনো ঘোষণা না-ও দিই, আপনাদের মনজিলে মকসুদ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে শাহবাগ মোড়ে গণজমায়েতে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ হয়েছে, ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা গিয়েছে, আমরা সে ফ্যাসিবাদের পতনধ্বনির শেষ পেরেক মারব। আমরা গত পরশু থেকে রাস্তায় রয়েছি। যেকোনো সময়ে অসুস্থ হতে পারি। কোনো ষড়যন্ত্রে পড়ে আমার মুখ থেকে যদি আন্দোলন প্রত্যাহার করার কথা বের হয়, তাহলে আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, আমাদের মত-পথ আলাদা হতে পারে, তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আমরা এক। আওয়ামী লীগের সময়ে যারা গুম, খুন হয়েছেন, আয়নাঘরে ছিলেন, তাদের জন্য আমরা এখানে বসেছি। যারা গুম হয়েছেন, আমরা হয়তো তাদের ফিরিয়ে দিতে পারব না। তবে আমরা এই বার্তা প্রতিষ্ঠা করব, নমরুদ ও ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়, হাসিনারও সেভাবে পতন হয়।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহবান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ হয়েছে, ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা গিয়েছে, আমরা সে ফ্যাসিবাদের পতনধ্বনির শেষ পেরেক মারব।

তিনি বলেন, আমরা গত পরশু থেকে রাস্তায় রয়েছি। যেকোনো সময়ে অসুস্থ হতে পারি। কোনো ষড়যন্ত্রে পড়ে আমার মুখ থেকে যদি আন্দোলন প্রত্যাহার করার কথা বের হয়, তাহলে আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

হাসনাত আরও বলেন, যত ষড়যন্ত্র, বিভক্তি ও প্রেশার আসুক, কেউ আমাদের জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আলাদা করতে পারবে না। আমি যদি কোনো ঘোষণা নাও দেই, আপনাদের মনজিলে মকসুদ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ হয়েছে, ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা গিয়েছে, আমরা সে ফ্যাসিবাদের পতনধ্বনির শেষ পেরেক মারব। আমাদের মত-পথ আলাদা হতে পারে, তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আমরা এক।

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে যারা গুম, খুন হয়েছেন, আয়নাঘরে ছিলেন, তাদের জন্য আমরা এখানে বসেছি। যারা গুম হয়েছেন, আমরা হয়তো তাদের ফিরিয়ে দিতে পারব না। তবে আমরা এই বার্তা প্রতিষ্ঠা করব, নমরুদ ও ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়, হাসিনারও সেভাবে পতন হয়।

দাবদাহের মধ্যেও আন্দোলনে সক্রিয় থাকার বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘‘গত দু’দিন রাস্তায় থাকায় আমি যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। আগেই বলে রাখছি– কোনো ষড়যন্ত্রের চাপে পড়ে যদি কেউ আমার মুখ দিয়ে জোরপূর্বক ‘আন্দোলন প্রত্যাহারের’ ঘোষণা দেওয়ায় তাও আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।’’

এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত– একদিকে ফ্যাসিবাদী শক্তি, অন্যদিকে বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায় না, তারা ফ্যাসিবাদী; আর যারা নিষিদ্ধ করতে চায়, তারা প্রকৃত বাংলাদেশি শক্তি।’

জুলাই মাসে ঘোষিত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যতই ষড়যন্ত্র হোক, ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। আমি যদি পরবর্তী কর্মসূচি নাও দিতে পারি, আপনাদের মানজিলে মাকসুদ যেন হয়– আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা।’

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে টালবাহানা করলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না বলে জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ সমর্থন দিয়েছে। তারা আর রাজনীতি করতে পারবে না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া জুলাই প্লোক্লেমেশন জারি করতে হবে। এ সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে টালবাহানা করলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, সেই আওয়ামী লীগের আর রাজনীতি করার অধিকার নেই। শুধু মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একটি ফ্যাসিবাদ শক্তি। আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল একথা বলে যদি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হয়, সেটি জুলাইয়ের জনতা কোনোভাবেই মেনে নিবে না।

আখতার বলেন, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনালে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এছাড়াও জুলাই প্লোক্লেমেশন জারি করতে হবে। যদি এসরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে তালবাহানা করে, তাহলে দেশের জনগণ তা মেনে নিবে না।

এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে গণজমায়েতে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আরেক নেতা সারজিস আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের, শ্যামলী সুলতানা প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র হতে পারে : মির্জা ফখরুল

আমি যদি ঘোষণা না-ও দিই, নিষিদ্ধের আগে রাজপথ ছাড়বেন না : হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রকাশের সময় : ০৬:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যত ষড়যন্ত্র, বিভক্তি ও প্রেশার আসুক, কেউ আমাদের জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আলাদা করতে পারবে না। আমি যদি কোনো ঘোষণা না-ও দিই, আপনাদের মনজিলে মকসুদ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে শাহবাগ মোড়ে গণজমায়েতে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ হয়েছে, ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা গিয়েছে, আমরা সে ফ্যাসিবাদের পতনধ্বনির শেষ পেরেক মারব। আমরা গত পরশু থেকে রাস্তায় রয়েছি। যেকোনো সময়ে অসুস্থ হতে পারি। কোনো ষড়যন্ত্রে পড়ে আমার মুখ থেকে যদি আন্দোলন প্রত্যাহার করার কথা বের হয়, তাহলে আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, আমাদের মত-পথ আলাদা হতে পারে, তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আমরা এক। আওয়ামী লীগের সময়ে যারা গুম, খুন হয়েছেন, আয়নাঘরে ছিলেন, তাদের জন্য আমরা এখানে বসেছি। যারা গুম হয়েছেন, আমরা হয়তো তাদের ফিরিয়ে দিতে পারব না। তবে আমরা এই বার্তা প্রতিষ্ঠা করব, নমরুদ ও ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়, হাসিনারও সেভাবে পতন হয়।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহবান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ হয়েছে, ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা গিয়েছে, আমরা সে ফ্যাসিবাদের পতনধ্বনির শেষ পেরেক মারব।

তিনি বলেন, আমরা গত পরশু থেকে রাস্তায় রয়েছি। যেকোনো সময়ে অসুস্থ হতে পারি। কোনো ষড়যন্ত্রে পড়ে আমার মুখ থেকে যদি আন্দোলন প্রত্যাহার করার কথা বের হয়, তাহলে আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

হাসনাত আরও বলেন, যত ষড়যন্ত্র, বিভক্তি ও প্রেশার আসুক, কেউ আমাদের জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আলাদা করতে পারবে না। আমি যদি কোনো ঘোষণা নাও দেই, আপনাদের মনজিলে মকসুদ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে যে শাহবাগ হয়েছে, ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা গিয়েছে, আমরা সে ফ্যাসিবাদের পতনধ্বনির শেষ পেরেক মারব। আমাদের মত-পথ আলাদা হতে পারে, তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আমরা এক।

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে যারা গুম, খুন হয়েছেন, আয়নাঘরে ছিলেন, তাদের জন্য আমরা এখানে বসেছি। যারা গুম হয়েছেন, আমরা হয়তো তাদের ফিরিয়ে দিতে পারব না। তবে আমরা এই বার্তা প্রতিষ্ঠা করব, নমরুদ ও ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়, হাসিনারও সেভাবে পতন হয়।

দাবদাহের মধ্যেও আন্দোলনে সক্রিয় থাকার বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘‘গত দু’দিন রাস্তায় থাকায় আমি যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। আগেই বলে রাখছি– কোনো ষড়যন্ত্রের চাপে পড়ে যদি কেউ আমার মুখ দিয়ে জোরপূর্বক ‘আন্দোলন প্রত্যাহারের’ ঘোষণা দেওয়ায় তাও আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।’’

এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত– একদিকে ফ্যাসিবাদী শক্তি, অন্যদিকে বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায় না, তারা ফ্যাসিবাদী; আর যারা নিষিদ্ধ করতে চায়, তারা প্রকৃত বাংলাদেশি শক্তি।’

জুলাই মাসে ঘোষিত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যতই ষড়যন্ত্র হোক, ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। আমি যদি পরবর্তী কর্মসূচি নাও দিতে পারি, আপনাদের মানজিলে মাকসুদ যেন হয়– আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা।’

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে টালবাহানা করলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না বলে জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ সমর্থন দিয়েছে। তারা আর রাজনীতি করতে পারবে না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া জুলাই প্লোক্লেমেশন জারি করতে হবে। এ সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে টালবাহানা করলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, সেই আওয়ামী লীগের আর রাজনীতি করার অধিকার নেই। শুধু মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একটি ফ্যাসিবাদ শক্তি। আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল একথা বলে যদি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হয়, সেটি জুলাইয়ের জনতা কোনোভাবেই মেনে নিবে না।

আখতার বলেন, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনালে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এছাড়াও জুলাই প্লোক্লেমেশন জারি করতে হবে। যদি এসরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে তালবাহানা করে, তাহলে দেশের জনগণ তা মেনে নিবে না।

এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে গণজমায়েতে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আরেক নেতা সারজিস আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের, শ্যামলী সুলতানা প্রমুখ।