Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের সৌভাগ্য, এদেশে জন্মেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : শেখ পরশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, আমাদের সৌভাগ্য, এদেশে জন্মেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদ ও সাহসী সংগ্রামের ফলে আমরা আমাদের এদেশের মানুষকে ওই হায়নাদের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পেরেছি।

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ভয়াল ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে স্বাধীনতাকামী শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে ‘কালরাত্রি স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আজকের অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-সামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নি-সন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল প্রশ্রয়দাতাদের ভূমিকা কী ছিল? নিশ্চয়ই তারা প্রশ্রয় দিয়েছেন।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটা রাত, ২৫ মার্চের কালরাত। অস্ট্রেলিয়ার ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। সেই থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর ওই দিনের হত্যাকাণ্ডের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল আমাদের দেশেরই রাজাকারদের দল। নিজের পরিবার, প্রতিবেশী অথবা নিজ দেশের নাগরিকের উপর পরিকল্পিতভাবে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সহযোগিতা করে মানুষ হিসেবে ওরা সমগ্র মানব জাতিকে কলঙ্কিত ও ছোট করেছে।

পরশ প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন এখনো ২৫ মার্চ গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় না? এসব ব্যাপারে তারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন তুলে? বা প্রতিবাদ করে? আমি সেটা জানতে চাই। এমনকি ২০০১ সালেও বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানী কায়দায় যখন আমাদের হিন্দু ভোটারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে তাদের উৎখাত করেছিল। তখনো কি এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন? বাংলাদেশে প্রায় এক যুগের বেশি সময় যে অগণতান্ত্রিক মিলিটারি শাসকদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছিল। সে ব্যাপারে এবং সেই সময়ও তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের রক্ষক হিসেবে সরব ছিল? ১৫ই আগস্টে যখন নারী শিশু হত্যা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল কিনা, আমার জানতে ইচ্ছে করে। কেন এখনো ২৫ মার্চের হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তরুণ প্রজন্মের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে এবং তার উদার গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ করতে হবে। তা না হলে আমরা একটা উন্নয়নশীল, মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারব না। আমাদের লক্ষ্য একটা সুখী-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল বাংলাদেশ।

পরশ বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে এবং একই সাথে শুধু দেশপ্রেমী নয়, বাঙালি সংস্কৃতির ও ইতিহাসের অনুরাগী হতে হবে। শুধু আবেগ নির্ভর রাজনীতি নয়, নৈতিক এবং যুক্তিশীল রাজনীতি করতে হবে। একই সাথে বাঙালি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে হবে। নিজেকে জানতে হবে এবং আত্মসমালোচনাও করতে হবে। কেবল তাহলেই শহীদের আত্মত্যাগের সম্মান আমরা দিতে পারব। ভুলে গেলে চলবে না, এদেশ সহজে স্বাধীন হয়নি। বহু বাঙালির মা-বাবা, ভাই-বোনদের রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং একই সাথে দায়িত্বশীল হতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৌলবাদী ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে প্রতিহত করে একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞানভিত্তিক, গঠনমূলক রাজনীতি তরুণ প্রজন্ম বেছে নিবে।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ২৫ মার্চ, ১৯৭১ পৃথিবীর ইতিহাসে একটি জঘন্যতম নির্মম হত্যাকাণ্ড। এদিন ঘুমন্ত বাঙালির ওপর সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই রাতেই তারা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আজকের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু সেদিন ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী হামলা করে নির্বিচারে বাংলার মানুষকে হত্যা করেছিল। তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবতা, তখনতো আপনারা পাকিস্তানি বাহিনীকে হুমকি দেননি। তাদের প্রতি কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। আসলে আপনারা কি চান, আপনারা চান বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। আর বিএনপি-জামায়াতও চায় বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক।

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করবে না। তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় রাজপথে যুবলীগের বন্ধুদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ১৪ দল আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন; স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত, প্রাক্তন অধিনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল রকিবুল হাসান।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রকিবুল হাসান, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

আমাদের সৌভাগ্য, এদেশে জন্মেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : শেখ পরশ

প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, আমাদের সৌভাগ্য, এদেশে জন্মেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদ ও সাহসী সংগ্রামের ফলে আমরা আমাদের এদেশের মানুষকে ওই হায়নাদের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পেরেছি।

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ভয়াল ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে স্বাধীনতাকামী শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে ‘কালরাত্রি স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আজকের অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-সামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নি-সন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল প্রশ্রয়দাতাদের ভূমিকা কী ছিল? নিশ্চয়ই তারা প্রশ্রয় দিয়েছেন।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটা রাত, ২৫ মার্চের কালরাত। অস্ট্রেলিয়ার ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। সেই থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর ওই দিনের হত্যাকাণ্ডের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল আমাদের দেশেরই রাজাকারদের দল। নিজের পরিবার, প্রতিবেশী অথবা নিজ দেশের নাগরিকের উপর পরিকল্পিতভাবে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সহযোগিতা করে মানুষ হিসেবে ওরা সমগ্র মানব জাতিকে কলঙ্কিত ও ছোট করেছে।

পরশ প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন এখনো ২৫ মার্চ গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় না? এসব ব্যাপারে তারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন তুলে? বা প্রতিবাদ করে? আমি সেটা জানতে চাই। এমনকি ২০০১ সালেও বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানী কায়দায় যখন আমাদের হিন্দু ভোটারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে তাদের উৎখাত করেছিল। তখনো কি এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন? বাংলাদেশে প্রায় এক যুগের বেশি সময় যে অগণতান্ত্রিক মিলিটারি শাসকদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছিল। সে ব্যাপারে এবং সেই সময়ও তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের রক্ষক হিসেবে সরব ছিল? ১৫ই আগস্টে যখন নারী শিশু হত্যা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল কিনা, আমার জানতে ইচ্ছে করে। কেন এখনো ২৫ মার্চের হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তরুণ প্রজন্মের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে এবং তার উদার গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ করতে হবে। তা না হলে আমরা একটা উন্নয়নশীল, মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারব না। আমাদের লক্ষ্য একটা সুখী-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল বাংলাদেশ।

পরশ বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে এবং একই সাথে শুধু দেশপ্রেমী নয়, বাঙালি সংস্কৃতির ও ইতিহাসের অনুরাগী হতে হবে। শুধু আবেগ নির্ভর রাজনীতি নয়, নৈতিক এবং যুক্তিশীল রাজনীতি করতে হবে। একই সাথে বাঙালি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে হবে। নিজেকে জানতে হবে এবং আত্মসমালোচনাও করতে হবে। কেবল তাহলেই শহীদের আত্মত্যাগের সম্মান আমরা দিতে পারব। ভুলে গেলে চলবে না, এদেশ সহজে স্বাধীন হয়নি। বহু বাঙালির মা-বাবা, ভাই-বোনদের রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং একই সাথে দায়িত্বশীল হতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৌলবাদী ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে প্রতিহত করে একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞানভিত্তিক, গঠনমূলক রাজনীতি তরুণ প্রজন্ম বেছে নিবে।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ২৫ মার্চ, ১৯৭১ পৃথিবীর ইতিহাসে একটি জঘন্যতম নির্মম হত্যাকাণ্ড। এদিন ঘুমন্ত বাঙালির ওপর সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই রাতেই তারা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আজকের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু সেদিন ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী হামলা করে নির্বিচারে বাংলার মানুষকে হত্যা করেছিল। তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবতা, তখনতো আপনারা পাকিস্তানি বাহিনীকে হুমকি দেননি। তাদের প্রতি কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। আসলে আপনারা কি চান, আপনারা চান বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। আর বিএনপি-জামায়াতও চায় বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক।

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করবে না। তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় রাজপথে যুবলীগের বন্ধুদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ১৪ দল আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন; স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত, প্রাক্তন অধিনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল রকিবুল হাসান।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রকিবুল হাসান, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।