Dhaka বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা দেশের সমগ্র মানুষকে এক করতে পেরেছি : মির্জা ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা দেশের সমগ্র মানুষকে এক করতে পেরেছি। দেশের রাজনৈতিক চিন্তার মানুষ (ডান-বাম) সবাইকে আমরা এক করতে পেরেছি। এখন শুধু চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর ) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেডআরএফ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের অনেক সমস্যা আছে। আজকে যারা ক্ষমতাসীন তারা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট। আর ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াইটা খুব সহজ নয়। এখানে মৌলিক পার্থক্য হলো- অস্ত্র-শস্ত্র, রাষ্ট্র ক্ষমতা সবকিছুকে নিয়ে সে আক্রমণ করে। আর আমরা জনগণকে নিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিহতের চেষ্টা করি। এখানে আমি মনে করি আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ দেশের রাজনীতি চরম সংকটে আছে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই যে আমরা এখন সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছি। এই সংকট ও শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের মানুষ ও দল এবং আমরা যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি তারা মোকাবিলা করছি। এসব মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, শুধু দেশে নয়, বাইরের যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তারাও কিন্তু আমাদের চাওয়ার ব্যাপারে একমত। এটা নিঃসন্দেহে আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে অর্জন করতে পেরেছি। এখন প্রয়োজন যারা দলের বাইরে থেকে কাজ করেন তারা এই বোধটাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে আরও ঐক্যবদ্ধ করতে চেষ্টা করবেন। তবে আমরা আশাবাদী। প্রতিদিনই আমাদের সমর্থক বাড়ছে। আগে কর্মসূচি করতে গেলে কর্মীদেরকে বেশি সক্রিয় হতে হতো। এখন কিন্তু সাধারণ মানুষ আগে আসছেন। আমি মনে করি যেসব নেতাকর্মী তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তার অবদান বৃথা যাবে না।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জেডআরএফ ২৪ বছর ধরে যেসব কাজ করেছে সেগুলো সামনে আনতে হবে। এটার নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কৃষকের মধ্যে উন্নতমানের বীজ, গবাদিপশু বিতরণসহ নানা সামাজিক কার্যক্রম করেছেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে প্রাধান্য দিয়ে কার্যক্রম করা উচিৎ। যদিও বিগত সময়ে দেশের দুঃখ দুর্দশায় বিশেষ করে করোনা ভাইরাস, বন্যা দুর্গত মানুষের মধ্যে অসাধারণ সেবামূলক কর্মকাণ্ড করেছে। সম্প্রতি জেডআরএফ ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী কাজ। এই ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার মাধ্যমে মেধাবী ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা সবার সামনে উঠে আসছে। যা জর্জ ওয়াশিংটন ফাউন্ডেশন, লিঙ্কন ফাউন্ডেশন, স্বামী বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশন করে থাকে। তারা গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডও করে থাকে। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনকেও এধরনের কর্মকাণ্ডে বেশি উদ্যোগী হতে হবে।’

ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অভিমত ব্যক্ত করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, ২০১৩ সালে গুমের শিকার দারুস সালাম থানা ছাত্রদল সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রাশেদের ছোট ছেলে রিমন রাশেদ, বংশাল থানা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজে ছোট মেয়ে হৃদি, ২০১৮ সালে পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো সিরাজগঞ্জ মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেরি বেগম, পুলিশের গুলিতে চোখের কর্ণিয়া হারানো জাহাঙ্গীর মাতবর, ২০২২ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চোখের কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক এজিএস মো. আরিফ বিল্লাহ, ২০১৩ সালে গুম হওয়া তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. কাউসারের মেয়ে মিমসহ কয়েকজন।

তাদের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জেডআরএফ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১৪৬ যাত্রী নিয়ে ব্যাংককের পথে এক ঘণ্টা উড়ে মিয়ানমার থেকে ফিরে এল বিমানের ফ্লাইট

আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা দেশের সমগ্র মানুষকে এক করতে পেরেছি : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা দেশের সমগ্র মানুষকে এক করতে পেরেছি। দেশের রাজনৈতিক চিন্তার মানুষ (ডান-বাম) সবাইকে আমরা এক করতে পেরেছি। এখন শুধু চূড়ান্ত বিজয়ের অপেক্ষা।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর ) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেডআরএফ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের অনেক সমস্যা আছে। আজকে যারা ক্ষমতাসীন তারা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট। আর ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াইটা খুব সহজ নয়। এখানে মৌলিক পার্থক্য হলো- অস্ত্র-শস্ত্র, রাষ্ট্র ক্ষমতা সবকিছুকে নিয়ে সে আক্রমণ করে। আর আমরা জনগণকে নিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিহতের চেষ্টা করি। এখানে আমি মনে করি আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ দেশের রাজনীতি চরম সংকটে আছে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই যে আমরা এখন সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছি। এই সংকট ও শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের মানুষ ও দল এবং আমরা যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি তারা মোকাবিলা করছি। এসব মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, শুধু দেশে নয়, বাইরের যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তারাও কিন্তু আমাদের চাওয়ার ব্যাপারে একমত। এটা নিঃসন্দেহে আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে অর্জন করতে পেরেছি। এখন প্রয়োজন যারা দলের বাইরে থেকে কাজ করেন তারা এই বোধটাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে আরও ঐক্যবদ্ধ করতে চেষ্টা করবেন। তবে আমরা আশাবাদী। প্রতিদিনই আমাদের সমর্থক বাড়ছে। আগে কর্মসূচি করতে গেলে কর্মীদেরকে বেশি সক্রিয় হতে হতো। এখন কিন্তু সাধারণ মানুষ আগে আসছেন। আমি মনে করি যেসব নেতাকর্মী তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তার অবদান বৃথা যাবে না।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জেডআরএফ ২৪ বছর ধরে যেসব কাজ করেছে সেগুলো সামনে আনতে হবে। এটার নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কৃষকের মধ্যে উন্নতমানের বীজ, গবাদিপশু বিতরণসহ নানা সামাজিক কার্যক্রম করেছেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে প্রাধান্য দিয়ে কার্যক্রম করা উচিৎ। যদিও বিগত সময়ে দেশের দুঃখ দুর্দশায় বিশেষ করে করোনা ভাইরাস, বন্যা দুর্গত মানুষের মধ্যে অসাধারণ সেবামূলক কর্মকাণ্ড করেছে। সম্প্রতি জেডআরএফ ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী কাজ। এই ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার মাধ্যমে মেধাবী ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা সবার সামনে উঠে আসছে। যা জর্জ ওয়াশিংটন ফাউন্ডেশন, লিঙ্কন ফাউন্ডেশন, স্বামী বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশন করে থাকে। তারা গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডও করে থাকে। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনকেও এধরনের কর্মকাণ্ডে বেশি উদ্যোগী হতে হবে।’

ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অভিমত ব্যক্ত করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, ২০১৩ সালে গুমের শিকার দারুস সালাম থানা ছাত্রদল সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রাশেদের ছোট ছেলে রিমন রাশেদ, বংশাল থানা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজে ছোট মেয়ে হৃদি, ২০১৮ সালে পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো সিরাজগঞ্জ মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেরি বেগম, পুলিশের গুলিতে চোখের কর্ণিয়া হারানো জাহাঙ্গীর মাতবর, ২০২২ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চোখের কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক এজিএস মো. আরিফ বিল্লাহ, ২০১৩ সালে গুম হওয়া তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. কাউসারের মেয়ে মিমসহ কয়েকজন।

তাদের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জেডআরএফ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।