Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের কিছু কাজে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেড়েছে : মির্জা ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৯১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের কিছু কাজে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেড়েছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের কিছু কাজে ফ্যাসিবাদ যেকোনো সময় ফিরে আসতে পারে। এ জন্য তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র পুনর্গঠনে লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। কোনোভাবেই এতদিনের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃস্টি না করে ঐক্যের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে, তবে তারা যেকোনো সময় ফিরে আসতে পারে। আজকে আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন কতগুলো কাজ করছি, যে কাজগুলোর মধ্য দিয়ে কিন্তু ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে।’

ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত রাতে ভারতীয় মিডিয়ার কয়েকজন ফোন দিয়েছিলেন। তাদের একটাই মাত্র প্রশ্ন, ইসকনের ব্যাপারে আপনারা কি করছেন? প্রশ্নটা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তারা একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। প্রথমবার ফেইল করেছে তারা, এখন আবার নতুন করে সে অবস্থাটা সৃষ্টি করতে চায়। এই ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে যেটা প্রয়োজন, সবাইকে শান্ত থেকে বিষয়গুলো অনুধাবন করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া। সবাইকে সাথে নিয়ে সামনের দিকে আগানো, এছাড়া আর কোনো পথ আছে বলে আমি মনে করি না। আমাদের পক্ষে একটা জিনিসই সম্ভব, আমরা সবাই একটা লক্ষ্য নিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সমাজ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করব।

বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমার মনে হয় এটা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেটা করছে পতিত ফ্যাসিবাদ। আমরা যারা পক্ষে ছিলাম, লড়াই করেছি তারা কেন বিভাজন সৃষ্টি করছি? আজকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কথা শুনলে ভয় হয়, আমরা এখনই পুরো আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নেবার চেষ্টা করছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে। আবার যে কোনো সময় ফিরে আসতে পারে। তবে আমরা যেন সেই রাস্তা তৈরি করে না দেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা এমন কতগুলোই কাজ করছি, যে কাজগুলোর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তুলে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সংস্কার নিঃসন্দেহে একটি জটিল কাজ। এই কাজটি আমাদের করতে হবে। এই কাজটি করতে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন- জনমানুষের উপযোগী একটি রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণ।

ফখরুল বলেন, কষ্ট হয়, দুঃখ হয়। এখানে (মতবিনিময় সভা) আসার আগে মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা তার ভাইকে নিয়ে আমার বাসায় এসেছিল। এসে বলছে, স্যার আজকে মন খুব খারাপ। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? বললো, গত কয়েকদিন ধরে যা দেখছি, তাতে করে আমার মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই এতদিন ধরে যে কষ্ট, যে পরিশ্রম, ত্যাগ, প্রিয় মানুষগুলোর চলে যাওয়া, সবকিছু ছাড়িয়ে কেমন যেন একটা ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হচ্ছে। আমারতো মনে হয়, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই অবস্থার সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং সেটা করছে ফ্যাসিবাদ।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যারা ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে ছিলাম, লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি, আমরা কেন এখানে বিভাজন সৃষ্টি করছি? আজকে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন কথা শুনলে রীতিমতো ভয় হয়। আজকে আমরা পুরো আন্দোলনকে একটা ভিন্নদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের তো এখন লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত। সেটা হলো- একটি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য যে সংস্কারগুলো প্রয়োজন, সেগুলো করে একটি নির্বাচন করে পার্লামেন্টে যাওয়া।

তিনি বলেন, আমাদের সবার উচিৎ, অনৈক্য সৃষ্টি না করে ঐক্যের মধ্যে থাকা। আমরা যে সুযোগটা পেয়েছি সেটি কাজে লাগিয়ে কিছুটা হলেও সামনে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্য ৫৩ বছর হয়ে গেছে, আমরা এখন পর্যন্ত পিসফুল ট্রান্সফার অব পাওয়ার করতে পারিনি। আমরা সবসময় যুদ্ধ করছি, লড়াই করছি, ভাইয়ে ভাইয়ের রক্ত ঝরাচ্ছি। কিন্তু আমরা ওই পথে যাওয়ার জন্য কেউ চেষ্টা করছি না।

তিনি আরও বলেন, আপনারা অনেকে দায়িত্বে এসেছেন। এই দায়িত্বটাকে দায়িত্বশীলভাবে পালন করতে হবে। গোটা জাতিকে সামনে রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা এমন কিছু করবো না, এমন কোনো হঠকারিতা করবো না, যে হটকারিতার মধ্য দিয়ে আমরা আবার অন্ধকারের মধ্যে চলে যাই।

জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বকারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি, লেখক ও বুদ্ধিজীবী সলিমুল্লাহ খান, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ রাশেদ খান প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

আমাদের কিছু কাজে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেড়েছে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের কিছু কাজে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা বেড়েছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের কিছু কাজে ফ্যাসিবাদ যেকোনো সময় ফিরে আসতে পারে। এ জন্য তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র পুনর্গঠনে লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। কোনোভাবেই এতদিনের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃস্টি না করে ঐক্যের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে, তবে তারা যেকোনো সময় ফিরে আসতে পারে। আজকে আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন কতগুলো কাজ করছি, যে কাজগুলোর মধ্য দিয়ে কিন্তু ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে।’

ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত রাতে ভারতীয় মিডিয়ার কয়েকজন ফোন দিয়েছিলেন। তাদের একটাই মাত্র প্রশ্ন, ইসকনের ব্যাপারে আপনারা কি করছেন? প্রশ্নটা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তারা একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। প্রথমবার ফেইল করেছে তারা, এখন আবার নতুন করে সে অবস্থাটা সৃষ্টি করতে চায়। এই ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে যেটা প্রয়োজন, সবাইকে শান্ত থেকে বিষয়গুলো অনুধাবন করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া। সবাইকে সাথে নিয়ে সামনের দিকে আগানো, এছাড়া আর কোনো পথ আছে বলে আমি মনে করি না। আমাদের পক্ষে একটা জিনিসই সম্ভব, আমরা সবাই একটা লক্ষ্য নিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সমাজ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করব।

বর্তমানের অস্থিতিশীল পরিবেশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমার মনে হয় এটা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেটা করছে পতিত ফ্যাসিবাদ। আমরা যারা পক্ষে ছিলাম, লড়াই করেছি তারা কেন বিভাজন সৃষ্টি করছি? আজকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কথা শুনলে ভয় হয়, আমরা এখনই পুরো আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নেবার চেষ্টা করছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে। আবার যে কোনো সময় ফিরে আসতে পারে। তবে আমরা যেন সেই রাস্তা তৈরি করে না দেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা এমন কতগুলোই কাজ করছি, যে কাজগুলোর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তুলে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সংস্কার নিঃসন্দেহে একটি জটিল কাজ। এই কাজটি আমাদের করতে হবে। এই কাজটি করতে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন- জনমানুষের উপযোগী একটি রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণ।

ফখরুল বলেন, কষ্ট হয়, দুঃখ হয়। এখানে (মতবিনিময় সভা) আসার আগে মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা তার ভাইকে নিয়ে আমার বাসায় এসেছিল। এসে বলছে, স্যার আজকে মন খুব খারাপ। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? বললো, গত কয়েকদিন ধরে যা দেখছি, তাতে করে আমার মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই এতদিন ধরে যে কষ্ট, যে পরিশ্রম, ত্যাগ, প্রিয় মানুষগুলোর চলে যাওয়া, সবকিছু ছাড়িয়ে কেমন যেন একটা ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হচ্ছে। আমারতো মনে হয়, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই অবস্থার সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং সেটা করছে ফ্যাসিবাদ।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যারা ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে ছিলাম, লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি, আমরা কেন এখানে বিভাজন সৃষ্টি করছি? আজকে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন কথা শুনলে রীতিমতো ভয় হয়। আজকে আমরা পুরো আন্দোলনকে একটা ভিন্নদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের তো এখন লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত। সেটা হলো- একটি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য যে সংস্কারগুলো প্রয়োজন, সেগুলো করে একটি নির্বাচন করে পার্লামেন্টে যাওয়া।

তিনি বলেন, আমাদের সবার উচিৎ, অনৈক্য সৃষ্টি না করে ঐক্যের মধ্যে থাকা। আমরা যে সুযোগটা পেয়েছি সেটি কাজে লাগিয়ে কিছুটা হলেও সামনে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্য ৫৩ বছর হয়ে গেছে, আমরা এখন পর্যন্ত পিসফুল ট্রান্সফার অব পাওয়ার করতে পারিনি। আমরা সবসময় যুদ্ধ করছি, লড়াই করছি, ভাইয়ে ভাইয়ের রক্ত ঝরাচ্ছি। কিন্তু আমরা ওই পথে যাওয়ার জন্য কেউ চেষ্টা করছি না।

তিনি আরও বলেন, আপনারা অনেকে দায়িত্বে এসেছেন। এই দায়িত্বটাকে দায়িত্বশীলভাবে পালন করতে হবে। গোটা জাতিকে সামনে রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা এমন কিছু করবো না, এমন কোনো হঠকারিতা করবো না, যে হটকারিতার মধ্য দিয়ে আমরা আবার অন্ধকারের মধ্যে চলে যাই।

জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বকারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি, লেখক ও বুদ্ধিজীবী সলিমুল্লাহ খান, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ রাশেদ খান প্রমুখ।