Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরা দেশে উন্নয়ন করি, আর বিএনপি-জামায়াত দেশ ধ্বংস করে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানেই হলো খুনি সন্ত্রাসী, এরা ভোট চোর। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন মানুষের কল্যাণেই কাজ করে। আমরা দেশে উন্নয়ন করি। আর বিএনপি-জামায়াত দেশ ধ্বংস করে। আগুন দিয়ে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার ইতিহাস তাদের।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে কর্ণফুলীর কেইপিজেড মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উন্নয়ন করি আর ওই বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করে। আগুন দিয়ে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার ইতিহাস তাদের। জাতির পিতাকে হত্যার সঙ্গে ওই জিয়াউর রহমানসহ সকলেই জড়িত ছিল। এরা খুন করা ছাড়া আর কিছু জানে না। ওরা ক্ষমতায় থাকলে দুর্নীতি লুটপাট করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাজ হচ্ছে মানুষ খুন করা। দুর্নীতি ও লুটপাট করা। খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা ব্যাংকে না রেখে নিজের কাছে রেখে আজকে সাজাপ্রাপ্ত। আর ছেলে তারেক রহমান বিদেশে পালিয়ে আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে বেগে গিয়েছিল। আর কোটি কোটি টাকা মানিলন্ডারিং করেছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন করছে, আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

তিনি আরো বলেন, বরং খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল বলেই ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করে ক্ষমতা থেকে হটিয়েছিল। এটা তাদের মনে রাখা উচিত।

এ সময় বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের পতন ঘটাবে বলে নানা রকমের আন্দোলনের হুমকি দেয়। একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে গেছে। ওসব ভয়ভীতি আওয়ামী লীগকে দেখিয়ে লাভ নেই। বরং খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল বলেই, জনগণ আন্দোলন করে তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। এটা তাদের মনে রাখা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলেই আজ এই উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। নৌকা যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়। তবে আওয়ামী লীগ যখনই দেশের উন্নতি করে, বিএনপি-জামায়াত এসে সেগুলো ধ্বংস করে।

বিএনপি আগুন দিয়ে মানুষ মারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও আমার গোটা পরিবারকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল বিএনপি। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। সেই সময় এই চট্টগ্রামই ছিল সন্ত্রাসের রাজত্ব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই রাজত্ব শেষ করে চট্টগ্রামকে শান্তির অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া এবং ফিলিস্তিন যুদ্ধে সারা বিশ্বেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। তাই আমরা ১ কোটি মানুষকে পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। এর মাধ্যমে তাদেরকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত। তারা খুন করা ছাড়া আর কিছু জানে না। তারা আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে। তারা যখন ক্ষমতায় থাকে দুর্নীতি ও লুটপাট করে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেনেড হামলা করে আমাকে দিনে-দুপুরে হত্যা করতে চেয়েছিল। ওই হামলায় ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রাম ছিল সন্ত্রাসের রাজত্ব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই সন্ত্রাস দূর করে একটি শান্তির অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চট্টগ্রামের ভেতর ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। টানেলটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। যা দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ২৫০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ করে দেব। বে টার্মিনাল করা হচ্ছে। একাধিক পানি শোধনাগার করেছি। স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়েছি।

টানেলের নির্মাণকাজ সময়মতো সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ উপহার নিয়ে এসেছি। আমরা কর্ণফুলীর নদীর তলে টানেল করে দিয়েছি। এই টানেলের ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে সময় কম লাগবে। এই টানেল এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে।

তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় গত নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বলেই এই উন্নয়নটা হয়েছে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কার সরকার যখনই এসেছে দেশের উন্নতি হয়েছে। গত ১৫ বছরে চট্টগ্রামে যে উন্নতি করেছি। আমরা আঞ্চলিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার যাতে হয় সেই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা অনেক কাজ করেছি তা বলে শেষ করা যাবে না। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই কাজ দেশের মানুষের কল্যাণ করা। আর কোনো চাওয়া-পাওয়ার আমার কিছু নেই।

তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আজকে কর্ণফুলী টানেল, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আজকে উন্নয়ন। আপনারা আমাদের কাছে ওয়াদা করেন, আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে সেবা করার সুযোগ দেবেন কি না, হাত তুলে ওয়াদা করেন। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে ওয়াদা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দোয়া করবেন এই উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে। ওই লুটেরা সন্ত্রাসীদের হাতে যেন দেশ না পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা দেশকে গড়ে তুলছি। আমি আপনাদের কাছে একটা উপহার নিয়ে এসেছি। ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে’ নদীর তল দিয়েই গাড়ি চলাচল করবে। এই যে দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলার ব্যবস্থা, এটা হল টানেল। যত বেশি ব্রিজ করব, তত নদী ভাঙন বাড়বে। সেজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নদীর তল দিয়ে টানেল করে দেব। ঘুটঘুট করে বাড়ি চলে যাবেন। এ প্রকল্পে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা জড়িত ছিলেন, দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, সবাইকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আরও ১১টি প্রকল্প আপনাদের জন্য উপহার হিসেবে উদ্বোধন করে দিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩.৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম না, সমগ্র বাংলাদেশের আঞ্চলিক যোগাযোগে ‘বিরাট ভূমিকা রাখবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এতবড় টানেল এই প্রথম। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে সহযোগিতা দেওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চীন সফরে গিয় তাদেরকে বলেছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদেরর সরকারের লক্ষ্য, দেশ আরো উন্নত হোক। কক্সবাজার যেতে বহুত সময় লাগত, আজ এত সময় লাগবে না। ঢাকা থেকে এসে এখন চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। এশিয়ার হাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করব, যা আমাদের

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

আমরা দেশে উন্নয়ন করি, আর বিএনপি-জামায়াত দেশ ধ্বংস করে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানেই হলো খুনি সন্ত্রাসী, এরা ভোট চোর। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন মানুষের কল্যাণেই কাজ করে। আমরা দেশে উন্নয়ন করি। আর বিএনপি-জামায়াত দেশ ধ্বংস করে। আগুন দিয়ে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার ইতিহাস তাদের।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে কর্ণফুলীর কেইপিজেড মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উন্নয়ন করি আর ওই বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করে। আগুন দিয়ে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার ইতিহাস তাদের। জাতির পিতাকে হত্যার সঙ্গে ওই জিয়াউর রহমানসহ সকলেই জড়িত ছিল। এরা খুন করা ছাড়া আর কিছু জানে না। ওরা ক্ষমতায় থাকলে দুর্নীতি লুটপাট করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাজ হচ্ছে মানুষ খুন করা। দুর্নীতি ও লুটপাট করা। খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা ব্যাংকে না রেখে নিজের কাছে রেখে আজকে সাজাপ্রাপ্ত। আর ছেলে তারেক রহমান বিদেশে পালিয়ে আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে বেগে গিয়েছিল। আর কোটি কোটি টাকা মানিলন্ডারিং করেছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন করছে, আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

তিনি আরো বলেন, বরং খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল বলেই ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করে ক্ষমতা থেকে হটিয়েছিল। এটা তাদের মনে রাখা উচিত।

এ সময় বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের পতন ঘটাবে বলে নানা রকমের আন্দোলনের হুমকি দেয়। একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে গেছে। ওসব ভয়ভীতি আওয়ামী লীগকে দেখিয়ে লাভ নেই। বরং খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল বলেই, জনগণ আন্দোলন করে তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। এটা তাদের মনে রাখা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলেই আজ এই উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। নৌকা যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়। তবে আওয়ামী লীগ যখনই দেশের উন্নতি করে, বিএনপি-জামায়াত এসে সেগুলো ধ্বংস করে।

বিএনপি আগুন দিয়ে মানুষ মারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও আমার গোটা পরিবারকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল বিএনপি। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। সেই সময় এই চট্টগ্রামই ছিল সন্ত্রাসের রাজত্ব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই রাজত্ব শেষ করে চট্টগ্রামকে শান্তির অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া এবং ফিলিস্তিন যুদ্ধে সারা বিশ্বেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। তাই আমরা ১ কোটি মানুষকে পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। এর মাধ্যমে তাদেরকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত। তারা খুন করা ছাড়া আর কিছু জানে না। তারা আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে। তারা যখন ক্ষমতায় থাকে দুর্নীতি ও লুটপাট করে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেনেড হামলা করে আমাকে দিনে-দুপুরে হত্যা করতে চেয়েছিল। ওই হামলায় ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রাম ছিল সন্ত্রাসের রাজত্ব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই সন্ত্রাস দূর করে একটি শান্তির অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চট্টগ্রামের ভেতর ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। টানেলটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। যা দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ২৫০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ করে দেব। বে টার্মিনাল করা হচ্ছে। একাধিক পানি শোধনাগার করেছি। স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়েছি।

টানেলের নির্মাণকাজ সময়মতো সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ উপহার নিয়ে এসেছি। আমরা কর্ণফুলীর নদীর তলে টানেল করে দিয়েছি। এই টানেলের ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে সময় কম লাগবে। এই টানেল এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে।

তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় গত নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বলেই এই উন্নয়নটা হয়েছে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কার সরকার যখনই এসেছে দেশের উন্নতি হয়েছে। গত ১৫ বছরে চট্টগ্রামে যে উন্নতি করেছি। আমরা আঞ্চলিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার যাতে হয় সেই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা অনেক কাজ করেছি তা বলে শেষ করা যাবে না। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই কাজ দেশের মানুষের কল্যাণ করা। আর কোনো চাওয়া-পাওয়ার আমার কিছু নেই।

তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আজকে কর্ণফুলী টানেল, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আজকে উন্নয়ন। আপনারা আমাদের কাছে ওয়াদা করেন, আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে সেবা করার সুযোগ দেবেন কি না, হাত তুলে ওয়াদা করেন। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে ওয়াদা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দোয়া করবেন এই উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে। ওই লুটেরা সন্ত্রাসীদের হাতে যেন দেশ না পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা দেশকে গড়ে তুলছি। আমি আপনাদের কাছে একটা উপহার নিয়ে এসেছি। ‘দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলে’ নদীর তল দিয়েই গাড়ি চলাচল করবে। এই যে দইজ্জার তল দিয়ে গাড়ি চলার ব্যবস্থা, এটা হল টানেল। যত বেশি ব্রিজ করব, তত নদী ভাঙন বাড়বে। সেজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নদীর তল দিয়ে টানেল করে দেব। ঘুটঘুট করে বাড়ি চলে যাবেন। এ প্রকল্পে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা জড়িত ছিলেন, দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, সবাইকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আরও ১১টি প্রকল্প আপনাদের জন্য উপহার হিসেবে উদ্বোধন করে দিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩.৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম না, সমগ্র বাংলাদেশের আঞ্চলিক যোগাযোগে ‘বিরাট ভূমিকা রাখবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এতবড় টানেল এই প্রথম। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে সহযোগিতা দেওয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চীন সফরে গিয় তাদেরকে বলেছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদেরর সরকারের লক্ষ্য, দেশ আরো উন্নত হোক। কক্সবাজার যেতে বহুত সময় লাগত, আজ এত সময় লাগবে না। ঢাকা থেকে এসে এখন চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে ঢুকে যানজটে পড়তে হবে না। এশিয়ার হাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করব, যা আমাদের

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।