নিজস্ব প্রতিবেদক :
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘বিটিভিতে যে আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণভিত্তিক প্রোগ্রাম হবে, ভারতীয় দর্শকরাও যাতে তা দেখেন, আমরা সেটা চাইব।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতর কক্ষে তার সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে কো-অপারেশন আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনা প্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে বিশেষ করে এএনআই তাদের সঙ্গে একটা কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু বিটিভি ভারতে দেখানো হয়, কাজেই এই সংবাদ বিশ্লেষণের সময়টা আমরা আস্তে আস্তে বাড়াব। এটিকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে আসতে চেষ্টা করব। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবরাখবর থাকবে। আমরা চাইব ভারতীয় দর্শকদেরও আকৃষ্ট করার, যাতে তারা এগুলো দেখে। এছাড়া ভারতীয় ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও একটা সহযোগিতার চেষ্টা করব। বিভিন্ন ধরনের এক্সচেঞ্জ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। মুজিব চলচ্চিত্রের মতো আরও কোনো কো-প্রোডাকশন করা যায় কিনা, সেটা দেখতে হবে। অপপ্রচারের ব্যাপারে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের অভিজ্ঞতাগুলো নেওয়ার চেষ্টা করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে, বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ প্রোগ্রাম শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করা যায় কিনা, তা নিয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু বিটিভি ভারতে দেখানো হয়, সেহেতু ২ ঘণ্টার এই চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব।আমরা এটাকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোর খবরা-খবর থাকবে; এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবরা-খবর থাকবে। এখানে আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করার। এছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউশনের সঙ্গে একটা কোলাবরেশন করা।
আরাফাত বলেন, সম্প্রতি মুজিব শিরোনামে যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না সেটা খুঁজে দেখা হবে।
ভারতের নির্বাচন ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো আলোচনা হয়নি। যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি মনে করি, বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে৷ কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে সেটা আমরা যত বেশি নেওয়ার চেষ্টা করব সেগুলো আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য ভালো হবে।
ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমাগুলো ভারতে চালানো যায় কি না এমন প্রশ্ন উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোন জিনিসের চাহিদা থাকলে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















