Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি যে বলে, তাদের এতো জনপ্রিয়তা সেটি তারা যাচাই করুক। কিন্তু তারা তো ২০ মিনিটেই ময়দান ছেড়ে চলে গেছে। তারা কতটুকু মাঠে নামে আমরা একটু দেখি। তাদের এত জাঁদরেল নেতা আছে যারা আওয়াজ শুনেই মঞ্চ ছেড়ে চলে গেছে! কোনো গুলি হয় নাই, কোনো টিয়ার গ্যাসও ছোড়া হয়নি। তারা নির্বাচনে আসুক। এসে দেখুক তাদের কতটুকু জনপ্রিয়তা। কর্মীরা কতটুকু নামে। এই নেতাদের ওপর কতটুকু আস্থা রাখে। আমরা চাই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে। নির্বাচনের শিডিউলের মধ্যে তারা এলে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে।

রোববার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের অপেক্ষা তো আমরা করতে পারি না। নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে একটা শিডিউল থাকবে। সেই শিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সেই শিডিউলে তারা নির্বাচনে এলে তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে। আমরা চাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যদি না আসে তাহলে দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো একটি দল না এলেও আরও অনেক দল তো থাকবে। দেশের জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

যদি তারা না আসে? এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচন হতে হবে। কোনো একটি দল না এলেও আরও অনেক দল তো অংশগ্রহণ করবে। জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি শহর প্রতিটি গ্রাম বদলে যাচ্ছে, অন্যদিকে দেশ ধ্বংসের জন্য পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে জনগণের ওপর, জনগণের গাড়ি-ঘোড়ার ওপর এবং তারা কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না।

অবরোধ ডেকে আগের দিনই বিএনপি হামলা চালাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে? এগুলোকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বললেও কম বলা হয়। তারা রাস্তায় নেমে এসে ব্যারিকেড দিক। আমরা অবরোধ দেখেছি, আপনারা পালন করুন। সেটি তো তারা করে না, চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না।

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের বিবৃতির বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, তাদের (বিএনপি) আন্দোলন করার অধিকার আছে। সরকারের পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে, আমার পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে। সেই অধিকার মানে তো গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো নয়। এটিকে কেউ সমর্থন করেনি, করে না। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের অনেকে তাদের এ কর্মকাণ্ডকে কনডেম করেছে। তারা অনেককে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তাদের এই কর্মকাণ্ডকে কেউ সমর্থন করে না করতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বৈঠকের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে যে বৈঠকটি হয়েছে সেটি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। সেই বৈঠকের বিষয় একান্তই তাদের। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি পত্রপত্রিকায় এসেছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন, উন্নয়ন- এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অবশ্যই ভারত যেটি বলেছে, যথার্থ বলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ঠিক করবে নির্বাচনের মাধ্যমে কারা ক্ষমতায় আসবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছে- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের হাতে নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের হাতে, আদালতের হাতে। সরকার চাইলেই তো মুক্তি দিতে পারবে না। সরকারের কাছে যেটুকু ক্ষমতা ছিল সেটা দিয়ে তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে ঘরে থাকার ব্যবস্থা সরকার করে দিয়েছে, বাকিটা আদালতের বিষয়।’

বিএনপি নির্বাচন করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া সেটি যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারো নেই। নির্বাচন প্রতিহতের কথা বলা মানেই দেশবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা। সুতরাং দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী বক্তব্য যারা রাখবে কিংবা অপচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। সরকার, জনগণ, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখা। সেজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, সেগুলো করা হবে। তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্যে স্পষ্ট। দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। স্বপ্ন দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটেছে, আগামী কত বছর কাটবে জানি না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৫০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি যে বলে, তাদের এতো জনপ্রিয়তা সেটি তারা যাচাই করুক। কিন্তু তারা তো ২০ মিনিটেই ময়দান ছেড়ে চলে গেছে। তারা কতটুকু মাঠে নামে আমরা একটু দেখি। তাদের এত জাঁদরেল নেতা আছে যারা আওয়াজ শুনেই মঞ্চ ছেড়ে চলে গেছে! কোনো গুলি হয় নাই, কোনো টিয়ার গ্যাসও ছোড়া হয়নি। তারা নির্বাচনে আসুক। এসে দেখুক তাদের কতটুকু জনপ্রিয়তা। কর্মীরা কতটুকু নামে। এই নেতাদের ওপর কতটুকু আস্থা রাখে। আমরা চাই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে। নির্বাচনের শিডিউলের মধ্যে তারা এলে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে।

রোববার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের অপেক্ষা তো আমরা করতে পারি না। নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে একটা শিডিউল থাকবে। সেই শিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সেই শিডিউলে তারা নির্বাচনে এলে তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে। আমরা চাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যদি না আসে তাহলে দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো একটি দল না এলেও আরও অনেক দল তো থাকবে। দেশের জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

যদি তারা না আসে? এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচন হতে হবে। কোনো একটি দল না এলেও আরও অনেক দল তো অংশগ্রহণ করবে। জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি শহর প্রতিটি গ্রাম বদলে যাচ্ছে, অন্যদিকে দেশ ধ্বংসের জন্য পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে জনগণের ওপর, জনগণের গাড়ি-ঘোড়ার ওপর এবং তারা কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না।

অবরোধ ডেকে আগের দিনই বিএনপি হামলা চালাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে? এগুলোকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বললেও কম বলা হয়। তারা রাস্তায় নেমে এসে ব্যারিকেড দিক। আমরা অবরোধ দেখেছি, আপনারা পালন করুন। সেটি তো তারা করে না, চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না।

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের বিবৃতির বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, তাদের (বিএনপি) আন্দোলন করার অধিকার আছে। সরকারের পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে, আমার পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার আছে। সেই অধিকার মানে তো গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো নয়। এটিকে কেউ সমর্থন করেনি, করে না। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের অনেকে তাদের এ কর্মকাণ্ডকে কনডেম করেছে। তারা অনেককে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তাদের এই কর্মকাণ্ডকে কেউ সমর্থন করে না করতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বৈঠকের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে যে বৈঠকটি হয়েছে সেটি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। সেই বৈঠকের বিষয় একান্তই তাদের। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি পত্রপত্রিকায় এসেছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন, উন্নয়ন- এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অবশ্যই ভারত যেটি বলেছে, যথার্থ বলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ঠিক করবে নির্বাচনের মাধ্যমে কারা ক্ষমতায় আসবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছে- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের হাতে নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের হাতে, আদালতের হাতে। সরকার চাইলেই তো মুক্তি দিতে পারবে না। সরকারের কাছে যেটুকু ক্ষমতা ছিল সেটা দিয়ে তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে ঘরে থাকার ব্যবস্থা সরকার করে দিয়েছে, বাকিটা আদালতের বিষয়।’

বিএনপি নির্বাচন করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া সেটি যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারো নেই। নির্বাচন প্রতিহতের কথা বলা মানেই দেশবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা। সুতরাং দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী বক্তব্য যারা রাখবে কিংবা অপচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। সরকার, জনগণ, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখা। সেজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, সেগুলো করা হবে। তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্যে স্পষ্ট। দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। স্বপ্ন দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটেছে, আগামী কত বছর কাটবে জানি না।