Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরা কখনোই সংঘাত তৈরি করতে চাই না, বিএনপিই সংঘাত তৈরি করার অজুহাত খুঁজছে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা কখনোই সংঘাত তৈরি করতে চাই না। কারণ আমরা সরকারে আছি। দেশে যদি কোনো সংঘাত সৃষ্টি হয় তবে সরকারেরই বদনাম হয়। সুতরাং আমরা সংঘাত চাই না। বিএনপিই সংঘাত তৈরি করার অজুহাত খুঁজছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গ্রন্থমোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সেটার প্রভাব দেশের মানুষের মধ্যে নয়, বিএনপির মধ্যেই পড়বে। বিএনপির ভেতর থেকে তাদের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে। একই সঙ্গে দেশের মধ্যে তারা কোনো সংকট তৈরি করতে পারেনি। বরং বিএনপির মধ্যেই সংকট ঘনীভূত হয়েছে।

আগামী ২৭ জুলাই বিএনপি যে সমাবেশ ডেকেছে একই দিনে আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠনও সমাবেশ ডেকেছে। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এমন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকবে সেদিন এত বড় ঢাকা শহরে অন্য কেউ সমাবেশ ডাকতে পারবে না এমন তো নিয়ম নেই। বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে জনগণ তখন আতংকে থাকে।

তথ্যমন্ত্রী  বলেন, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা। এটা তাদের দায়িত্ব। সে কারণেই ২৭ জুলাই ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ যৌথভাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে মাত্র দেড় কিলোমিটার দুরত্বে আমরা এবং তারা বড় সমাবেশ করেছি। সেখানে কোনো সংঘাত হয়নি। সেখানে আমাদের দল সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় দিয়েছে। আমরা এখনও চাই বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করুক। কিন্তু বিএনপি অতীতে সময়ে সময়ে মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা করেছে, পুলিশ, পথচারী, গাড়ি ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে এবং সম্পদের ক্ষতি করেছে। যেহেতু আমরা সরকারি দল হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকে ২৭ জুলাই সমাবেশ ডাকা হয়েছে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে কোনো সংকট নেই। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট রয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে চায় কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের থেকে তারা সিদ্ধান্ত পায় না। এটা একটি বড় সংকট। বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করতে দেয় না। এমনকি সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন করতেও বারন করছে। এটি একটি দলের আভ্যন্তরীণ সংকটেরই বহিঃপ্রকাশ। অথচ তারা গণমানুষের দল হিসেবে নিজেদের দাবি করে। কখন যে সেই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে সেটাই এখন সময়ের অপেক্ষা।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যে ছোটখাটো একটা বিস্ফোরণ অবশ্য ঘটেছে। কিছু নির্বাচনে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ নির্বাচনে জয়ীও হয়েছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখলে এর প্রভাব বিএনপির মধ্যেই পড়বে।

শোকের মাসে জামায়াতের কর্মসূচির অনুমতির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দেবে। শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দেবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

আমরা কখনোই সংঘাত তৈরি করতে চাই না, বিএনপিই সংঘাত তৈরি করার অজুহাত খুঁজছে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:১০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা কখনোই সংঘাত তৈরি করতে চাই না। কারণ আমরা সরকারে আছি। দেশে যদি কোনো সংঘাত সৃষ্টি হয় তবে সরকারেরই বদনাম হয়। সুতরাং আমরা সংঘাত চাই না। বিএনপিই সংঘাত তৈরি করার অজুহাত খুঁজছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গ্রন্থমোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সেটার প্রভাব দেশের মানুষের মধ্যে নয়, বিএনপির মধ্যেই পড়বে। বিএনপির ভেতর থেকে তাদের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে। একই সঙ্গে দেশের মধ্যে তারা কোনো সংকট তৈরি করতে পারেনি। বরং বিএনপির মধ্যেই সংকট ঘনীভূত হয়েছে।

আগামী ২৭ জুলাই বিএনপি যে সমাবেশ ডেকেছে একই দিনে আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠনও সমাবেশ ডেকেছে। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এমন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকবে সেদিন এত বড় ঢাকা শহরে অন্য কেউ সমাবেশ ডাকতে পারবে না এমন তো নিয়ম নেই। বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে জনগণ তখন আতংকে থাকে।

তথ্যমন্ত্রী  বলেন, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা। এটা তাদের দায়িত্ব। সে কারণেই ২৭ জুলাই ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ যৌথভাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে মাত্র দেড় কিলোমিটার দুরত্বে আমরা এবং তারা বড় সমাবেশ করেছি। সেখানে কোনো সংঘাত হয়নি। সেখানে আমাদের দল সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় দিয়েছে। আমরা এখনও চাই বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করুক। কিন্তু বিএনপি অতীতে সময়ে সময়ে মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা করেছে, পুলিশ, পথচারী, গাড়ি ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে এবং সম্পদের ক্ষতি করেছে। যেহেতু আমরা সরকারি দল হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকে ২৭ জুলাই সমাবেশ ডাকা হয়েছে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে কোনো সংকট নেই। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট রয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে চায় কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের থেকে তারা সিদ্ধান্ত পায় না। এটা একটি বড় সংকট। বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করতে দেয় না। এমনকি সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন করতেও বারন করছে। এটি একটি দলের আভ্যন্তরীণ সংকটেরই বহিঃপ্রকাশ। অথচ তারা গণমানুষের দল হিসেবে নিজেদের দাবি করে। কখন যে সেই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে সেটাই এখন সময়ের অপেক্ষা।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যে ছোটখাটো একটা বিস্ফোরণ অবশ্য ঘটেছে। কিছু নির্বাচনে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ নির্বাচনে জয়ীও হয়েছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখলে এর প্রভাব বিএনপির মধ্যেই পড়বে।

শোকের মাসে জামায়াতের কর্মসূচির অনুমতির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দেবে। শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দেবে।